সারাদেশে ব্লক রেইড আতঙ্ক
২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে দেয়া হচ্ছে ‘ব্লক রেইড’। এই ব্লক রেইডের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গতকাল পর্যন্ত গত ১২ দিনে ৯ হাজার ৪শ’ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতাল ও নিহতের সূত্রে এ পর্যন্ত ২১২ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। তবে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্র, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, চলমান অভিযানে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত-ছাত্রশিবিরসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
‘ব্লক রেইড’ দিয়ে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও ব্লক রেইড দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইডি কার্ড দেখামাত্রই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসব আতঙ্কিত পরিবারগুলোর অনেকেই ইতোমধ্যেই তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে এবং অনেকেই ঢাকা ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সারি সারি গাড়ি যাচ্ছে তাদের এলাকায় কখনোবা সূর্যাস্তের পর। এসব বাহিনীর সদস্যরা গাড়িগুলো থেকে তড়িৎগতিতে লাফিয়ে নামছে, মুহূর্তেই ঘিরে ফেলছে এলাকা, অবস্থান নিচ্ছে বিভিন্ন পয়েন্টে। কখনো হাতে শক্ত করে ধরা বন্দুক, তর্জনী ট্রিগারে। অভিযানের সময় বলা হচ্ছে, আপনার বাসার ভেতরে যান, বাইরে আসার চেষ্টা করবেন না মেগাফোনের এই ঘোষণা ভবনের দেয়ালগুলোতে প্রতিধ্বনিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এলাকা জুড়ে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টার্গেট করা বাড়ির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং রাস্তার আলো একে একে নিভে যায়। শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে লাগানো বাতি জ্বলতে থাকে। পরবর্তী এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ডাকা হয় অতিরিক্ত বাহিনী, যারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান শুরু করে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাসায় প্রবেশ করেই জানতে চায় কোন ছাত্র আছে কিনা। ছাত্র থাকলে তার জামা খুলে দেখা হয় শরীরে কোন গুলি বা মারধরের আঘাত রয়েছে কিনা। এছাড়া ওই ছাত্রসহ পরিবারের সকল সদস্যের মোবাইল ফোনও চেক করে তারা। এ সময় তারা বাসায় তল্লাশি করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, অভিযানের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দরজায় কড়া নাড়ছে, ভেতরে প্রবেশ করছে এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িত বা তাদের সংস্পর্শে থাকা সন্দেহভাজন কাউকে পেলে গ্রেপ্তার করছে। এসব অভিযান চালানো হয়েছে রাজধানীর মাতুয়াইল, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, কাজলা, বসুন্ধরা, শাহিনবাগ, মিরপুর ডিওএইচএস, ইসিবি চত্বর ও মাটিকাটা এলাকায়।
ব্লক রেইড দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, শিশুদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মানবাধিকারের লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, শিশুদের গ্রেপ্তার করার কথা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলা হচ্ছে। এ কাজে (সহিংসতা) টাকার বিনিময়ে কিশোর গ্যাংদের কাজে লাগানোর তথ্য আছে। পুলিশকে যেভাবে পৈশাচিকভাবে মেরেছে। একইভাবে আমরা দেখেছি আত্মসমর্পণ করার পরও পুলিশকে গুলি করেছে। কাকে আমরা বিনা ইসে ধরেছি। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী পুলিশকে তালিকা করে দিয়েছে, প্রত্যেকটি গ্রেপ্তার ভিডিও ফুটেজ দেখে করা হচ্ছে।
ব্লক রেইডের ব্যাপারে মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের পর আমরা যেটা লক্ষ্য করছি এলাকা ভাগ করে করে ব্লক রেইড দিচ্ছে পুলিশ এবং কখনো কখনো অন্যান্য বাহিনী। বিভিন্ন বাসাবাড়ি, মেসকে টার্গেট করে তারা প্রবেশ করছে এবং অনেকক্ষেত্রে মধ্যরাতেও প্রবেশ করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগও করছে। মানুষের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। গেট খুলতে দেরি করলে মারধর করছে, সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নিচ্ছে। যাকে ইচ্ছা তাকে তারা গ্রেপ্তার করছে, আটক করছে। নূর খানের পর্যবেক্ষণ হলো, এখানে ফৌজদারি অপরাধের কোনো বিষয়কে আমলে নেয়া হচ্ছে না। ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সমাজে এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একটা সভ্য সমাজে, গণতান্ত্রিক সমাজে চিরুনি অভিযানের নামে এভাবে ঢালাওভাবে যাকে তাকে গ্রেপ্তার করা, আটক করা, নির্যাতন করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। এটা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।
রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গতকাল আমি মগবাজার এক বন্ধুর বাসায় যাচ্ছিলাম। মৌচাক মার্কেট ক্রস করতেই একদল পুলিশ রাস্তায় আমার রিকশা আটক করে। পরে তারা জোর করে আমার মোবাইল ফোন নিয়ে দেখার চেষ্টা করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি কোন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত না থেকেও এ ঘটনার পর এখন রাস্তায় বের হতে ভয় পাই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকার একটি কলেজের ছাত্র তরিকুল (ছদ্র নাম) ইনকিলাবকে বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও। গত শনিবার ঢাকা থেকে জরুরী প্রয়োজনে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় আমাদের বাসটি পৌছালে বাসটি থামানো হয়। পরে আমাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে আমাদের জামা খুলে শরীরে কোন আঘাত আছে কিনা তা দেখা হয়। তাছাড়া নানা ধরনের প্রশ্ন করেও তাদের চরমভাবে নাজেহাল করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
যাত্রাবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ইনকিলাবকে বলেন, গত শুক্রবার রাতে পাঁচটি ট্রাকে করে অসংখ্য পুলিশ এবং অনেক পুলিশ ভ্যান ও অন্যান্য গাড়ি আমাদের এলাকা ঘিরে ফেলে। তারা বিভিন্ন ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের বাইরে এসে রাস্তায় এক সারিতে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়। সড়কের বাতি বন্ধ ছিল কিন্তু তাদের গাড়ির হেডলাইটগুলো আমাদের দিকে তাক করা ছিল। তারা বলেছে এবার আমাদের তারা গ্রেপ্তার করবে না, কিন্তু তিন দিনের মধ্যে আমাদের ঢাকা ছাড়তে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকার বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিটি রুম তল্লাশি করেছে পুলিশ। তার আগে পুলিশ আমাদের রুমের ও বাড়ির ছবি তুলেছে। তাদের অভিযান সম্পর্কে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে গেছে।
মাতুয়াইলের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অভিযানের সময় স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে ছিল। আন্দোলনকারীরা কোন কোন বাড়িতে থাকে বা আন্দোলনকারীদের জন্য কোন কোন বাড়ি থেকে খাবার ও পানি দেয়া হয়েছে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের ভবনে ২২টি পরিবারের মধ্যে এখন আছে মাত্র আটটি। বাকি সব পরিবার ঢাকা ছেড়েছে। যারা যেতে পারেননি, তারা অন্য কোথাও চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। পুলিশ সাধারণ মানুষকে চরমভাবে নার্ভাস করে তুলছে। এটি কোনোভাবেই ঠিক নয় এবং এটি পরিস্থিতি উন্নতিতে সাহায্য করবে না।
গত দু’দিন মিরপুর ১২ ডিওএইচএসের বিভিন্ন বাসায় বিপুলসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অভিযান চালিয়েছে। ডিওএইচএসের কাছাকাছি এলাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী সেখানে বসবাস করেন। তারা জানিয়েছেন, ব্লক রেইডের সময় তারা শিক্ষার্থীদের খোঁজ করেছে এবং শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন চেক করেছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের এলাকায় ব্লক রেইড করতে দেখেছেন। অভিযানের আগে পুলিশ ঘোষণা দিয়েছিল যে বিকেল ৫টার পর কেউ বাড়ির বাইরে থাকবেন না। সন্ধ্যা গড়াতেই সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
ব্লক রেইডের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলন ঘিরে যারা সহিংসতা চালিয়েছেন, তাদের ধরতে অভিযান চলছে। যত দিন পর্যন্ত জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা যাবে, তত দিন অভিযান চলবে। কোন এলাকা আর কী কী বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অভিযান চালানো হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-তিন দিন বিরতি দিয়ে এলাকা ধরে ধরে কিছু কৌশল নিয়ে আগানো হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সব অপরাধীকে ধরা যাবে, অন্যদিকে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানির শিকার হতে হবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বনশ্রীর এক বাসিন্দা ইনকিলাবকে জানান, গত শনিবার রাত ১টায় তার বাসায় রেইড দেয়া হয়। পুলিশের কয়েকজন সদস্য বাসার বাইরে রাস্তায় অবস্থান নেন। আর কয়েকজন তাদের বাসায় প্রবেশ করেন। তাদের কাছে থাকা তালিকার সঙ্গে নাম-ঠিকানা মিলিয়ে নেন। আগামী কয়েক দিন ঢাকার বাইরে থাকা আত্মীয়দের বাসায় আনতে নিরুৎসাহিত করে তারা চলে যান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

দাগনভূঞায় সড়ক দুর্ঘটনায় মহিলা নিহত

টানা ১৫ ঘণ্টা ভাষণ, জেলনস্কির রেকর্ড ভাঙলেন মুইজ্জু

খাদ্য সম্পর্কিত জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে এবার কৃষকের জরিমানা দুই লাখ টাকা

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে হামলা পাকিস্তানি হ্যাকারদের!

জাককানইবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা সহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৩০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

ভারত-পাকিস্তান ভ্রমণে দেশের নাগরিকদের সতর্ক করল ব্রিটেন

হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ শহীদ মিনারে হাতে মশাল নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিষিদ্ধ জাল বিনষ্ট, জেলেকে জরিমানা

ডিজিটাল আইডেন্টিফিকেশন এন্ড ফ্যাক্ট চেকিং প্রশিক্ষণ নিলেন জেলা তথ্য কর্মকর্তারা

মারা গেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আবিদ আলী

ডা. জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তায় থাকছে যেসব ব্যবস্থা

কওমি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও কর্মদক্ষতা জাতিকে সমৃদ্ধ করবে ধর্ম উপদেষ্টা

ছাগলনাইয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবারকে জেলা জামায়াতের আর্থিক সহায়তা

এপ্রিল মাসের সেরার লড়াইয়ে মিরাজ

ঝিকরগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি

নালিতাবাড়ীতে গলায় লিচুর বিচি আটকে শিশুর মৃত্যু

দোয়ারাবাজারে ছুরিকাঘাতে শিশুর মৃত্যু