জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি : দুদক
১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল বিষয়ে আদেশ আজ। গতকাল (রোববার) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ তারিখ ধার্য করেন আপিল বিভাগ। এ মামলায় বিচারিক আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। শেখ হাসিনা সরকারের আপিল করলে হাইকোর্ট দণ্ডাদেশ বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে সম্প্রতি লিভ টু আপিল করেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
গতকাল আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে লিভ টু আপিলের শুনানি হয়। বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।
শুনানিতে তিনি বলেন, বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো অর্থই আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে। তবে সুদে আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে এখনো। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।
আদালতের অনুমতি নিয়ে এ মামলায় বিচারিক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় বেগম খালেদা জিয়ার দেয়ার জবানবন্দি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জবানবন্দি ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বেগম খালেদা জিয়ার এ জবানবন্দি তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব বহন করে।
বিচার চলাকালে জবানবন্দিতে বেগম খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে কথিত বিচারের প্রেক্ষাপট, হয়রানির বিষয় তুলে ধরেন। বিচার বিভাগের উপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণের নানা দিক তুলে ধরা হয় এ জবানবন্দিতে।
এসময় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা ও ব্যরিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক লিভ টু আপিল করেন বেগম খালেদা জিয়া।
এদিকে, ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকার উৎখাত হওয়ার পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড মওকুফ করেন মহামান্য প্রেসিডেন্ট। তবে প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমার পরেও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে বিএনপির আইনজীবী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রেসিডেন্ট তার সাজা মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমায় বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটি আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে তিনি আইনজীবীদের বলেছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এবার কৃষ্ণসার হত্যা নিয়ে কথা বললেন সালমান খান
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে-- ডিআইজি ড. আশরাফুর রহমান
চকরিয়ায় বাইক-ডাম্পার মুখোমুখি সংঘর্ষে বায়ো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার নিহত
প্রকাশনা জালিয়াতি করে পদোন্নতির অভিযোগ রাবি অধ্যাপক সাহালের বিরুদ্ধে
সখিপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ইবিতে র্যাগিংয়ের ঘটনা, প্রতিবেদন চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
‘মানুষ একদিন বলবে আ.লীগ নামে কোন দল ছিল না সন্ত্রাসীরাই আ.লীগ’
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার, বরখাস্ত ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল
পান্তকে রেকর্ড দামে কিনে নিল লাক্ষ্ণৌ
তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন
বিএনপি’র জন্য ফাঁকা মাঠ এমন ভাবার কোন অবকাশ নাই: তারেক রহমান
রায়গঞ্জে বাস চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
ঈদগাঁওতে ছোট ভাইয়ের আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু
টেকনাফে সাগরে ভেসে যায় তিন শিশু, মৃত্যু উদ্ধার-১, নিখোঁজ দুই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ
একতরফা ও গায়ের জোরের নির্বাচন দেখতে চাই না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
যশোরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নয়াদিল্লি-লন্ডনের নতুন প্রেস মিনিস্টার ফয়সাল ও আকবর
বিএনপির কেউ অন্যায় করলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে: রিজভী
আবারও আলোচনার তুঙ্গে শাকিব-পূজা,নেটিজেনদের দৃষ্টি কেড়েছে দুজনের ম্যাচিং পোশাক