ভোট চুরি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ অনুসন্ধানে দুদক
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭ এএম
২০১৮ সালে বিএনপি-জামায়াতকে মেরে-কেটে ক্ষমতায় বসতে শেখ হাসিনা দু’হাতে অর্থ ছিটান। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী,পুলিশ, আমলা, ডিসি,এসপিদের দেয়া হয় এ অর্থ। দলীয় ক্যাডারদের মাঝে অর্থ বিলানো হয় বস্তা বস্তা। তবে সরকারি হিসেবে এ অর্থের পরিমাণ ছিলো ৭শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ পুলিশকে আগাম অর্থ বরাদ্দ দেন ২শ’ ৭২ কোটি টাকা। অ্যাডভান্স পাওয়া টাকার মধ্যে ৬৩ কোটি ২২ হাজার টাকা। র্যাবকে ১০ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার। কোস্টগার্ডকে ১ কোটি ৫৬ লাখ। বিজিবিকে ৩৩ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আনসার ও ভিডিপিকে দেয়া হয় ১শ’ ৬৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় কথিত এ ‘নির্বাচন’। এর আগে ওই বছর ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাতওয়ারি ৭শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই নির্বাচনে একেকটি কেন্দ্রে ১৪ থেকে ১৬জন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি নিরাপত্তাকর্মীকে প্রাপ্য অর্থের দ্বিগুণ, তিন গুণ করে দেয়া হয়। যে নির্বাচন পরবর্তীতে ‘রাতের ভোটের নির্বাচন’ কুখ্যাতি পায়। বাস্তবে জালিয়াতি ও প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে হয়নি। ভোট গ্রহণের আগের রাতে দলীয় কর্মী, পুলিশ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা ব্যালট বাক্স ভরে রাখেন। প্রহসনের ওই নির্বাচনের যাবতীয় খরচ কার্যত ছিলো রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় এবং আত্মসাৎ। নির্বাচনের নামে অর্থ অপচয়, আত্মসাৎ,জালিয়াতি ও জাতির সাথে প্রতারণার অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অসুন্ধানের জন্য একটি শক্তিশালী টিম গঠন করেছেন সংস্থাটি।
গতকাল বুধবার কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্থার মহাপরিচালক মো: আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে করার অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। এ লক্ষ্যে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া দুদক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম, যেমন- দিনের ভোট রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি, অনেক কেন্দ্রে অবিশ্বাস্যভাবে ৯০ শতাংশের বেশি কাস্টিং দেখানো, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি নানা অভিযোগ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া দুদকে ওই নির্বাচন সংক্রান্ত দুর্নীতি,জালিয়াতি ও প্রতারণার পৃথক কিছু অভিযোগও জমা পড়েছে।
এসব অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগীয়, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, যেমন- পুলিশের তৎকালিন আইজি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের তৎকালিন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকি, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ.টি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তার যোগসাজসের তথ্য রয়েছে। অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন, সংবাদ, নির্বাচনের ফলাফল সংযুক্ত করা হয়েছে।
দুদক সূত্রটি জানায়,ওই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব ও পুলিশকে যে অর্থ দেয়া হয় তার দুই-তৃতীয়াংশই প্রতিষ্ঠান দু’টির শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাত করে।
এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য একজন দুদকের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ১১৬ ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এসব কর্মকর্তা হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা, গায়েবী মামলা, গুম,খুন এবং আয়না ঘরে আটক রাখেন। তারা ২০১৮ সালের আলোচিত ‹রাতের ভোট›-এর নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে এসব কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের কর-সংক্রান্ত নথিপত্র তলব করা হয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচনের নামে ২০১৮ সালে যা ঘটিয়েছিলেন হাসিনা : নিজ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা আগে থেকেই নানা রকম ফন্দি আটেন। নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৭ সাল থেকে নানা লেয়ারে সাজাতে থাকেন ব্যুরোক্রেসি ও পুলিশ প্রশাসন। অনুগত রাজনৈতিক দলগুলোকে জোটভুক্ত করে আগেই পক্ষে নিয়ে নেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে করা মামলায় কারাদ- দিয়ে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলায় কারাদ- দিয়ে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য করেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পুরো পরিবারকেই মামলার পর মামলা দিয়ে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে পর্যুদস্ত করা হয়। অন্যদিকে নির্বাচনকে ‘বৈধতা’ দিতে কৌশলে গণফোরা নেতা ড. কামাল হোসেনকে দিয়ে ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ গঠন করান। বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে ওই জোটে বিএনপিকেও যুক্ত করা হয়। এসব তৎপরতা সুস্পষ্ট হয় ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে। ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ নামের নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করে ওই বছর ১৩ অক্টোবর।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্বাচনকালিন নিরপেক্ষ সরকার গঠন,দশম জাতীয় সংসদ বাতিলসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয় জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট থেকে। ২৪শে অক্টোবর এসব দাবি নিয়ে সিলেট শহরে প্রথম জনসভা করে কামাল হোসেনের এ জোট। ২৮ অক্টোবর জোটের পক্ষ থেকে হাসিনার সরকারকে ৭ দফা দাবি উল্লেখ করে চিঠি দেয়া হয়। এতে সরকারকে আলোচনার প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবটিযে শেখ হাসিনারই একটি পরিকল্পনা ছিলো সেটির প্রমাণ মেলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংলাপে বসতে রাজী হওয়ার মধ্য দিয়ে। এতে বিষ্মিত হন বিএনপিসহ তৎকালিন বিরোধী নেতারা। ৭ নভেম্বর আ’লীগ সরকার ও ঐক্যফ্রন্ট সংলাপ হয়। এ সংলাপে কার্যত: কোনো ফলাফল না হলেও অংশ নেয়া বিএনপি নেতারা কে কিভাবে আপ্যায়িত হয়েছেন, সেই খাবার গ্রহণের ছবি আওয়ামী অনুগত মিডিয়ায় নেতিবাচকভাবে প্রচারিত হয়। ফলে হাসিনার বাসভবন ‘গণভবন’ এ অনুষ্ঠিত কথিত এ সংলাপ ঠাট্টা-তামাশায় পরিণত হয়। তা সত্ত্বেও ১১ নভেম্বর নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নেয় ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’। ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে বিস্তর মত-পার্থক্য এবং নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও পরদিনই হাসিনার নির্দেশে তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। প্রথম ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে সেটি পিছিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ সাব্যস্ত হয়। ঐক্যফ্রন্ট নির্র্বাচনে গেলেও ড. কামাল হোসেন কোনো মনোনয়নপত্র জমা দেননি। নিবন্ধন বাতিল ও প্রতীক কেড়ে নেয়ায় ধানেরশীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জামায়াত প্রার্থীরা। ৯ই ডিসেম্বর আ’লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শরীকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হয়। ১০ই ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করে। হাসিনা গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া থেকে ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরু করেন। ড. কামাল হোসেনের জোট শুরু করেন সিলেট থেকে।
কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে বিরোধী কোনো প্রার্থীই প্রচারে অংশ নিতে পারছিলেন না। ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী-সমর্থকদের ওপর আ’লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলা, পুলিশী হামলা ও ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। পক্ষান্তরে প্রায় খালি মাঠে একচেটিয়া প্রচারণার সুযোগ নেয় আ’লীগ প্রার্থীরা। পুলিশী হয়রানির অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে ২৫শে ডিসেম্বর বৈঠক করেন ড. কামাল হোসেন। এক পর্যায়ে ওই বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবি করেন।
এরই মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন। ওইদিন ২৯৯ টি আসনে ‘ভোট গ্রহণ’ দেখানো হয়। এর মধ্যে আ’লীগ এবং জাতীয় পার্টি ও মহাজোট ২৮৮টি আসনে ‘জয়ী’ দেখানো হয়। পক্ষান্তরে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি জোটকে ‘জয়ী’ দেখানো হয় ৭টি আসনে। অন্যদের দেয়া হয় ৩টি আসন। প্রতারণা, প্রহসনমূলক পাতানো এ নির্বাচনে আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখতে দেখা যায়। দিনের বেলায়ও অনেক কেন্দ্রে বাইরে থেকে দরজা আটকিযে কেন্দ্রের ভেতর ছাত্রলীগ,যুবলীগ নেতা-কর্মী,পুলিশ,আনসারদের নৌকায় সীল মারতে দেখা যায়। ফলে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ঐক্য ফ্রন্ট। পুন:নির্বাচন দাবি করে। তবে এ নির্বাচন অত্যন্ত ‘সুষ্ঠু হয়েছে’ দাবি করে ঐক্যফ্রন্টের দাবি নাকচ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আ’লীগকেই ‘জয়ী’ ঘোষণা করে ইসি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় বসা হাসিনার ক্ষমতা তৃতীয়বারের মতো সংহত হয়।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ক্যুখ্যাতি পায় ‘আমি-ডামি’ নির্বাচন হিসেবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা শুধু পুলিশকেই দেন ১ হাজার ২শ’২৬ কোটি টাকা। এ সময় পুলিশের আইজি ছিরেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২০১৮ সালের চেয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে কেন পুলিশের প্রায় দ্বিগুণ টাকা লাগবে-জানতে চাওয়া হয়েছিলো তার কাছে। জবাবে বলেছিলেন, নির্বাচনে যেকোনো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এতে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে গেলে এর ব্যয়ভার বেড়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা, যাতায়াতের জন্য যানবাহনের জ্বালানি ক্রয় ও অতিরিক্ত সোর্স মানি ব্যবহার করে আসামি ধরার কাজে বেশি অর্থ ব্যয় হবে। নিরাপত্তা সরঞ্জাম কিনতে মোটা টাকা ব্যয় হওয়ার পাশাপাশি সাঁড়াশি অভিযানেও অর্থ ব্যয় হতে পারে।
ওই নির্বাচনে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি জাতীয় নির্বাচনী মনিটরিং সেল গঠন হয়। এ ছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন বিভাগ একটি রোডম্যাপ তৈরি করে। রোডম্যাপ অনুযায়ী ‘নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে’ বিশেষ অভিযান চালানো হয়। পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরঞ্জাম, অতিরিক্ত জ্বালানি, বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, চিহ্নিত আসামি গ্রেফতার, ফুট প্যাট্রোলিং বাড়ানো, মোবাইল ও টহল পার্টি বাড়ানো, জেলা এবং এলাকাভিত্তিক ব্লক রেইড বাড়ানো ও সাইবার মনিটরিংয়ের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় দেখায় পুলিশ। ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে হাসিনা বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা করে। এসব মামলায় অন্তত: ৪০ লাখ আসামি করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতকে ছেড়ে কেন চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা?
রাজনৈতিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে জাপান
প্রবাসী উপদেষ্টার আশ্বাসে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের আন্দোলন স্থগিত
মহার্ঘভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা
পুরো বইমেলা মনিটরিং হবে ড্রোনে-ডিএমপি কমিশনার
যানবাহন চালক-পথচারীদের জন্য ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
মাস্ক বা অন্য কেউ টিকটক কিনলে বিনিয়োগ করবে প্রিন্স তালালের কোম্পানি
মৃত বাবার রেখে যাওয়া ঋণ পাওনাদার নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে?
খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকশিত হয় -ডিসি তৌফিকুর রহমান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি বিএসএফ বৈঠক
জিয়াউল হক মাইজভা-ারী ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে সিলেটজুড়ে স্বস্তি
৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী
মাদারীপুরে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্তঃসম্পর্কবিষয়ক কর্মশালা
রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর
মাদারীপুরে হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
এক বছরে উখিয়া-টেকনাফে ১৯২ জন অপহরণ
‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ দেয়ালে লিখে হত্যার হুমকি
বিমানের এই কর্মকা- সহ্য করার মতো নয় -সিলেট সুধীজন
বাণিজ্যমেলায় শেষ মুহূর্তে নিত্যপণ্য কেনাকাটার ধুম