বিশাল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ইউনূস
১২ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ এএম | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ এএম

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যখন গত আগস্টে বাংলাদেশে ফেরেন, তখন তাঁর চারপাশে ছিল বিভীষিকাময় দৃশ্য। রাজপথগুলোতে লেগে ছিল রক্তের দাগ, মর্গে রাখা ছিল এক হাজারেরো বেশি বিক্ষোভকারী ও শিশুদের মরদেহ, যাঁদের শরীর ছিল পুলিশের ছোড়া বুলেটের ক্ষতবিক্ষত।
দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করে গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেছেন, ‘যে ক্ষতি তিনি ( শেখ হাসিনা) করে গেছেন, তা বিশাল। এটি আরেকটি গাজার মতো পুরোপুরি বিধ্বস্ত এক দেশে পরিণত হয়েছে। পার্থক্য হলো, এখানে ভবন নয়, তিনি ধ্বংস করেছেন প্রতিষ্ঠান, নীতিমালা, মানুষ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।’
১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন এক বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। হাসিনার নৃশংসতার প্রতিশোধ নিতে জনগণ তার বাসভবন আক্রমণ করলে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যান তিনি। হাসিনার শাসনামল ছিল স্বৈরশাসন, সহিংসতা ও দুর্নীতির অভিযোগে ভরা।
জুলাই ও আগস্ট মাসে কয়েক সপ্তাহের রক্তপাতের মধ্য দিয়ে এর চূড়ান্ত পতন হয়। তাঁর নিপিড়নমূলক শাসন, পুলিশের সহিংস দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ১ হাজার ৪শ’ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। জাতিসঙ্ঘের মতে, এসব কর্মকা- ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তবে, তিনি (হাসিনা) অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের পথিকৃৎ হিসেবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস ৮৪ বছর বয়সে দীর্ঘদিন আগেই তার রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা ত্যাগ করেছিলেন। হাসিনা তাকে রাজনৈতিক হুমকি হিসেবে দেখে বছরের পর বছর ধরে নিন্দা ও নির্যাতনের মুখে রেখেছিলেন। এবং ইউনূস তার বেশিরভাগ সময় বিদেশে কাটিয়েছেন। কিন্তু যখন ছাত্র বিক্ষোভকারীরা তাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে বলেন, তখন তিনি সম্মত হন।
ইউনূসের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হিসেবে দেখা হয়েছিল। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে হাসিনার সুরক্ষাবলয়ে থাকা বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- চালানো ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করেছেন। যেসব গোপন আটক কেন্দ্রে হাসিনার সমালোচকদের নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো খালি করা হয়েছে। মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং হাসিনার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ আনা হয়েছে, যেগুলো তিনি (হাসিনা) অস্বীকার করেছেন।
ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। কিন্তু ঢাকার রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে এমন অনুভূতি হয় যে, দেশটি একটি খাদে পড়ে রয়েছে। ইউনূস এখনো ব্যাপকভাবে সমাদৃত হলেও তার শাসন ক্ষমতা এবং প্রতিশ্রুত সংস্কারের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলি, বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ক্ষমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং ইউনূসের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার উপর ক্রমবর্ধমান চাপ প্রয়োগ করছে। বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররাও তাদের নিজস্ব দল গঠন করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন খুব শিঘ্র নাও হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এ সরকার শুধুমাত্র একটি অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে রয়েছে। এই মুহূর্তে দৈনন্দিন কাজের জন্য কাউকেই জবাবদিহি করা যাচ্ছে না এবং সংস্কার করার মতো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, নির্দেশনা ও সক্ষমতা তাদের নেই।’
অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলার
হাসিনার আমলে তাদের কর্মকা-ের জন্য জনরোষ এবং ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি পুলিশ তাদের পদে ফিরে যেতে অনিচ্ছুক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ঢাকার রাস্তায় অপরাধী চক্রের তৎপরতা ব্যাপকহারে বেড়েছে এবং সংখ্যালঘুরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। গত সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবিÑক্রমবর্ধমান অপরাধ রোধে ব্যর্থতার জন্য তাকে পদ থেকে অপসারণের দাবি উঠেছে।
শেখ হাসিনার শাসনামলের চেয়ে বর্তমানে রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা কম, এমন কথা অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক ইউনূস। তবে অন্যরা সতর্ক করেছেন যে, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তাঁর সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। প্রখ্যাত ছাত্রনেতা এবং নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান নাহিদ ইসলাম গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান অসম্ভব।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান, যিনি শেখ হাসিনার দেশত্যাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, হাসিনার বিদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি গত সপ্তাহে একটি বক্তব্যে তিনি কঠোর ভাষায় বলেন, দেশ অরাজকতার মধ্যে রয়েছে এবং যদি বিভাজনের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতা চলমান থাকে, তাহলে এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলে আসছেন যে, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাঁর ‘খুবই ভালো সম্পর্ক’ রয়েছে এবং সেনাপ্রধানের দিক থেকে ‘কোনো চাপ’ নেই। তবে, কেউ কেউ বক্তব্যকে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বেও প্রতি কঠোর তিরস্কার এবং এমনকি, সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের সতর্কবার্তা হিসেবে মনে করছেন।
দেশের দুর্দশাকে শেখ হাসিনার শাসনের পরিণতি হিসেবে তুলে ধরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইউনূস বলেছেন, ‘হাসিনার আমলে কোনো সরকার ছিল না, এটি ছিল দস্যুদের একটি পরিবার। নেতার কাছ থেকে যেকোনো নির্দেশ এলে তা পালন করা হতো। কেউ সমস্যা সৃষ্টি করছে? আমরা তাদের গায়েব করে দেব। নির্বাচন করতে চান? আমরা নিশ্চিত করব যে আপনি সব আসনে জয় পাবেন। আপনি টাকা চান? এখানে ব্যাঙ্ক থেকে নেয়া লাখ লাখ ডলারের ঋণ রয়েছে, যা আপনাকে কোনো দিন পরিশোধ করতে হবে না।’
শেখ হাসিনার অধীনে যে মাত্রায় দুর্নীতি হয়েছে, তা দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাকে চরম হারে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া হাসিনার আত্মীয়দের মধ্যে তার ভাগ্নী, যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাংসদ টিউলিপ সিদ্দিকও রয়েছেন। হাসিনার শাসনামলের সাথে জড়িত সম্পদ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার পর এবং বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসায় সিদ্দিক ট্রেজারির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে শেখ হাসিনার মিত্রদের হাতিয়ে নেয়া আনুমানিক ১ হাজার ৭শ’ কোটি ডলার উদ্ধারের জন্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের আর্থিক কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম চলছে। তবে সেই অর্থ শিঘ্রই দেশে ফিরিয়ে আনার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। ইউনূস বলেন, ‘সরকারের সক্রিয় অংশগ্রহণে ব্যাঙ্কগুলোকে মানুষের অর্থ লুট করতে পূর্ণ অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তারা তাদের কর্মকর্তাদের বন্দুকসহ পাঠিয়ে সবকিছু স্বাক্ষর করিয়ে নিত।’
অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কট্টর ইসলামি ডানপন্থীদের উত্থান নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনার আমলে জামায়াতে ইসলামীর মতো ইসলামি দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ইসলামপন্থী রাজনৈতিক নেতারা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তারা এখন স্বাধীনভাবে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছেন এবং তাদের সমর্থনও বাড়তে দেখা গেছে।
তবে, একই সময়ে নিষিদ্ধ ইসলামি সংগঠনগুলোও আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ইসলামি কট্টরপন্থীদের বাধার মুখে কিশোরীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবং গত শুক্রবার খিলাফতের দাবিতে ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের মিছিলে অংশ নেওয়া শত শত সদস্যকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক গড়ার প্রচেষ্টা
অধ্যাপক ইউনূসের ওপর সবচেয়ে বড় কিছু চাপ এসেছে বাংলাদেশের বাইরে থেকে। ক্ষমতায় থাকাকালীন, হাসিনার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর এখন তিনি সেখানে পালিয়ে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। ইউনূস ক্ষমতায় থাকাকালে এই সম্পর্ক উন্নয়নে খুব কম আগ্রহ দেখাচ্ছে ভারত। সম্প্রতি নয়াদিল্লি ঢাকার বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিকীকরণ’-এর অভিযোগ তুলেছে।
বিচারের লক্ষ্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে গত ডিসেম্বরে ভারতের কাছে তাঁকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, ভারত সরকারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। তবে তিনি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য হাসিনাকে এখনও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, এমনকি তিনি অনুপস্থিত থাকলেও।
অধ্যাপক ইউনূসের সমালোচনা করতে ক্রমশ গলা চড়াচ্ছেন শেখ হাসিনার। সম্প্রতি তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে ‘দাঙ্গাবাজ’ বলে অভিহিত করেছেন, যিনি বাংলাদেশে ‘সন্ত্রাসীদের’ মুক্তি দিচ্ছেন। অপর দিকে ইউনূস বলেছেন, ‘ভারত হাসিনাকে আতিথেয়তা দিলে তা সহ্য করা হবে, কিন্তু আমরা যা করেছি, তা নস্যাৎ করার জন্য ভারতকে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করে তাঁকে প্রচারণা চালিয়ে যেতে দেয়াটা বিপজ্জনক। এটি দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।’
শুধুমাত্র ভারত সরকারই অধ্যাপক ইউনূসের একমাত্র সমস্যা নয়। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনও তাঁর জন্য একটি খারাপ খবর। বাইডেন প্রশাসন রাজনৈতিক এবং আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই ইউনূসের অন্যতম বড় সমর্থক ছিল। তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ট্রাম্পের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকার সম্ভাবনা কম।
এদিকে, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডের কার্যক্রম স্থগিত করায় একটি ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশকে ১শ’ কোটি ডলারের বেশি অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সম্প্রতি এক বক্তব্যে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত লাখ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে দেশটির রাজনৈতিক পরিসর শক্তিশালী করতে এবং তাদের সহায়তা করতে, যারা একজন কট্টর বাম কমিউনিস্টকে ভোট দিতে পারে। অবশ্য, এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের পক্ষে আনার প্রচেষ্টা হিসেবে সম্প্রতি ট্রাম্পের মিত্র ও বিশে^র অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ককে তার স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে চালু করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এপ্রিলে ইলন মাস্ক বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস আশা করছেন যে ট্রাম্প বাংলাদেশকে একটি বাণিজ্যিক অংশীদার এবং ‘বিনিয়োগের ভালো সুযোগ’ হিসেবে দেখতে পারেন। ইউনূস বলেছেন, ইলন মাস্কের ঢাকা সফরকালে তাঁর সামনে বিষয়টি তুলে ধরার কথা ভাবছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প একজন ব্যবসাবান্ধব মানুষ। সুতরাং আমি তাঁকে বলছি: আসুন, আমাদের সাথে চুক্তি করুন।’ অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘তিনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে বাংলাদেশ হয়তো কিছুটা আঘাত পাবে, কিন্তু এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।’
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

আওয়ামী দোসর সচিবদের দ্রুত অপসারণের দাবি

মির্জাপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার

আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের দাবি

ফরিদপুর কিশোর গ্যাংয়ের হাতে শ্রমিক খুন, প্রধান আসামী রাজশাহীতে আটক

শ্রেণিকক্ষ থেকে কর্মজীবন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্মশক্তি গঠনে উদ্যোগ

বিয়ের প্রস্তাবই কাল হলো রাজুর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে

অপারেশন বুনিয়ানাম মারসুস: পাকিস্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে ১১ জন সৈন্য শহীদ, ৭৮ জন আহত

পুঁজিবাজারও ১৭ ও ২৪ মে শনিবার খোলা

নাটকের নামে কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট,অশ্লীলতা বন্ধে দরকার সরকারি পদক্ষেপ

গাজায় জাতিসংঘ নয়, বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে ত্রাণ দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি শুরু

পাকিস্তানের কাছে হেরেও ‘বড় গলা’ মোদির

মোদি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বীকৃত সন্ত্রাসী’: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

মিয়ানমারে স্কুলে জান্তা বাহিনীর বর্বর হামলায় শিশুসহ নিহত ২২

ক্ষোভে ফুঁসছে ভারত, ‘ইয়ুম-ই-তাশাকুর’: যুদ্ধজয়ের উল্লাস পাকিস্তানে

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কমছে সেনা উপস্থিতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন জয়

যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গরা

চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত বৃহৎ উভচর বিমান, বহন করবে ১২ টন পানি

সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব নিলেন মো. ছিবগাত উল্লাহ