রমজানে পুরান ঢাকায় ইফতারির পাশাপাশি ভিড় থাকে স্থাপত্য দর্শনেও
১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৪ এএম | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৪ এএম

উপমহাদেশের মুসলিম শাসনের ইতিহাসে দীর্ঘসময় শাসন করেন মুঘলরা। চারশো বছর আগে মুঘলদের নানা স্থাপত্য ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র এখনও বিখ্যাত। রাজধানি ঢাকায় পূর্বে মুঘল বেনে ও বণিক শ্রেণির ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য বুড়িগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে বাজার গড়ে ওঠেছিল যার মধ্যে অন্যতম চকবাজার। যার যত-খ্যাতি এখনও রয়েছে। রমজান এলেই শুরু হয় জমজমাট ব্যবসা বিশেষ করে খাবারে ঐতিহ্য এখনও রয়েছে। দেশের ও রাজধানির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসে স্বচক্ষে দেখে যান পুরান ঢাকার পুরনো সেসব ঐতিহ্য। রমজান এলেই চক বাজারের শাহী মসজিদের সামনে বসে ঐত্যিহের নানা ইফতারি। ইফতারের আগ মূহুর্তে মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে দাড়ানোর জায়গা থাকে না। রমজানের ইফতারকে কেন্দ্র করে বাড়তি দশর্কদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শত বছরের পুরনো মসজিদে নামাজ পড়তে চলে আসেন অনেকেই। রাস্তাসহ অলিগলিতে স্ত¦দ্ধ হয়ে যায় শুক্রবারের জুমা নামাজে। কেউ কেউ শহরে বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন বিকেলে এসব স্থান ঘুরে ফিরে দেখে সন্ধ্যায় চকবাজারের ইফতার করে চলে যান। মোহাম্মদপুর থেকে আসা রমিজ আকন্দ বলেন, পুরান ঢাকার চকবাজারে ইফতারের সময় অনেক ভিড় হয়, মানুষের ভিড়ে পা রাখার জায়গা থাকে না। দুপুরে এসে বিভিন্ন পুরনো দর্শনীয় স্থান ঘুরে ফিরে দেখলাম ভালোই লাগে। কয়েকজন বিদেশি পর্যটক ছিল তারাও ঘুরে ঘুরে দেখছেন, ছবি তুলে নিচ্ছেন।
চকবাজারে লালবাগ কেল্লা, হোসেনী দালানের দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমজানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ আসে। বিদেশি দর্শকও আসে। তবে রোজায় চকবাজারের ইফতারি বিখ্যাত হওয়ার কারণে এই এলাকায় লোক সমাগম বেশি থাকে তারা দুপুর থেকে বিকেলে এসব স্থান ঘুরে দেখেন। সুলতানি ও নবাবী আমলে বাংলার এই অঞ্চল ছিল মনোমুগ্ধকর। বাংলা নানা ইতিহাসগ্রন্থ থেকে জানা যায়, ঘনবসতির পূর্বে পুরান ঢাকা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, সুন্দর ও ছিমছাম একটি শহর ছিল। সম্রাট বাবরের আমল থেকে ঢাকা মসজিদের শহরে পরিণত হয়। ঢাকায় হাজার বছরের পুরনো মসজিদ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নতুনভাবে নির্মিত হাজার হাজার মসজিদ। তবে নতুন নতুন মসজিদের ভিড়ে এখনো সৌন্দর্যের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে প্রাচীন মসজিদগুলো। অসাধারণ ডিজাইন ও সুনিপুণ স্থাপত্যের পরিচয় ধারণ করে থাকা এই মসজিদগুলো রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। তবে পুরান ঢাকায় এমন মসজিদের সংখ্যা বেশি। সময়ের সাথে সাথে কোনো কোনোটির যেমন সংস্কার হয়েছে, তেমনি কোনো কোনো মসজিদ অযতেœর ফলে হারিয়েছে এর শত বছরের সৌন্দর্য। প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরনো স্থাপনা ঢাকার চকবাজার শাহী জামে মসজিদ। মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খান ১৬৭৬ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত এই মসজিদটি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। চমৎকার এবং সুনিপুণ স্থাপত্যশৈলীর মসজিদটি একাধিকবার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে অক্ষত রাখা হয়েছে মূল ভবন। ঢাকার যে কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ রয়েছে তারমধ্যে এটি বেশ পুরনো। শুরুর দিকে এই মসজিদের কাঠামোতে তিনটি গম্বুজ ছিল। কয়েক দফা সংস্কার কাজের পর সেগুলো এখন আর নেই। ইতিহাসবিদরা বলেন, মসজিদে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে বোঝা যায়, শাহী মসজিদটি এই অঞ্চলের তৎকালীন সময়ে উঁচু প্লাটফর্মের উপর নির্মিত প্রাচীনতম ইমারত স্থাপনা। প্লাটফর্মটির নিচে কতগুলো বর্গাকৃতি ও আয়তাকৃতি কক্ষ আছে। এগুলোর মাথার উপরে খিলান ছাদ রয়েছে। উপরের অংশ আবার সমান্তরাল। এই মসজিদের প্লাটফর্মের নিচের কক্ষগুলোতে মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের আবাসন ছিল। এ ধরনের ভবনগুলোকে বলা হয় আবাসিক মাদ্রাসা-মসজিদ। মসজিদটির আদি গড়নে ছিল তিনটি গম্বুজ। বিভিন্ন সময়ে সংস্কার কাজ ও নতুন অংশ নির্মাণের ফলে বর্তমানে এর আদি রূপটি আর দেখা যায় না। মসজিদের ভিতরকার নকশা তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল। যার মাঝখানটা ছিল বর্গাকার, কিন্তু দুপাশ ছিল আয়তাকার। তিনটি অংশের উপরেই গম্বুজ দিয়ে আচ্ছাদিত ছিল। মাঝের গম্বুজটি ছিল তুলনামূলক বড় আকৃতির। কেন্দ্রীয় মেহরাবটি অষ্টকোণাকৃতির। যেটি আজও তেমনটাই রয়েছে। এই মসজিদে এখন দুটি মিনার আছে। এর একটিতে রয়েছে সিরামিকের ভাঙা টুকরোর কারুকাজ। এটি আয়তনে ছোট। এর চেয়ে বড় মিনারটি লালরঙা। মসজিদের মূল ভবনের বাইরের দেয়ালে রয়েছে কালো রঙের একটি ফলক। মসজিদটির কেন্দ্রীয় প্রবেশপথের ওপর স্থাপন করা হয়েছে একটি ফারসি শিলালিপি। ভেতরে সুবিস্তীর্ণ নামাজের জায়গা। প্রতি ওয়াক্ত নামাজে প্রচুর মুসল্লি আসেন। কখনো কখনো নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়ানোর জায়গাও পাওয়া যায় না। মসজিদের প্রবেশ পথের সামনে চমৎকার নকশা শোভিত একটি অর্ধগম্বুজ ভল্ট রয়েছে। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য পূর্ব দিকে তিনটি প্রবেশ পথ রয়েছে। এই প্রবেশপথগুলোর সমান্তরালে পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব। মেহরাবগুলোর আদিরূপ আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মেহরাবটি আগের মতোই অর্ধ অষ্টকোণাকৃতি করা হয়েছে। বাকি দুটো আয়তকার। মেহরাবগুলো আধুনিক টাইলসে মোড়ানো। মসজিদটির মোতাওয়াল্লী ইয়ার মোহাম্মদ বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে নামাজ আদায় করেন। আমরা ২৭ জন মানুষ মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছি। আমি ছোট সময় থেকেই এই মসজিদে আছি। এখানেই বড় হয়েছি। মরহুম মাওলানা ক্বারি ওবায়দুল্লাহ সাহেব এখানকার ইমাম ছিলেন। এটা মুঘল সম্রাটের বানানো মসজিদ। মার্বেল পাথরে সেটি খোদাই করে লেখা আছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর মাহে রমজানে নগরীর এই ঐতিহাসিক মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে। এবার রমজানেও মসজিদ ছাড়িয়ে ছাদ, বারান্দা এমনকি সড়কেও ছড়িয়ে যায় মুসল্লিদের কাতার। শুক্রবার পবিত্র জুমার দিনেও মুসল্লিদের ভিড়ের কারণে মসজিদের সামনের অলিগলিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।কালের সাক্ষী হয়ে প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শায়েস্তা খানের চকবাজার শাহী মসজিদ। দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে চকবাজারে আরেকটি স্থান হোসেনী দালানে। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শিয়া অনুসারিদের অন্যতম স্থান হোসেনী দালান। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে সারাবিশ্বে মুসলমানরা আশুরা পালন করেন। আর এরই স্মরণে ১৭ শতকে সম্রাট শাহজাহানের আমলে নির্মাণ করা হয় হোসেনি দালান। ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক এই হোসেনি দালান ইমামবাড়া নামেও পরিচিত। আবার অনেকে হুসনি দালান বা হোসায়নি দালানও বলেন। হোসেনি দালান মূলত শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদ এবং কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি শিয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মহররম পালনের প্রধান কেন্দ্রভূমি। শিয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় আচার পালন করা হয়। হোসেনি দালান বা ইমামবাড়ার দক্ষিণাংশে রয়েছে একটি বর্গাকৃতির পুকুর এবং উত্তরাংশে রয়েছে কবরস্থান। দালানটি সাদা বর্ণের এবং এর বহিরাংশে নীল বর্ণের ক্যালিগ্রাফির কারুকাজ রয়েছে। একটি উঁচু মঞ্চের ওপর ভবনটি নির্মিত। মসজিদের ভেতরেও সুদৃশ্য নকশা আছে। মোগল সম্রাট শাজাহানের আমলে এটি নির্মিত হয় বলা হলেও এর নির্মাণকাল নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। হোসেনি দালান বা ইমামবাড়ার প্রাচীরের শিলালিপি থেকে জানা যায়, শাহ সুজার সুবেদারির সময় তার এক নৌ-সেনাপতি মীর মুরাদ এটি নির্মাণ করেন। হিজরি ১০৫২ সনে অর্থাৎ ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দের প্রথমে তাজিয়া কোনা নির্মাণ করেন তিনি। পুরো স্থাপত্য তারই পরিবর্ধিতত রূপ বলে বিভিন্ন নথিতে পাওয়া যায়। তবে কিছুকাল পর এটি ভেঙে যায় এবং নায়েব-নাজিমরা নতুন করে আবার নির্মাণ করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮৩২ সাল পর্যন্ত আদি স্থাপনাটি টিকে ছিল। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে দুই দফায় এর সংস্কার হয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ভবনটি প্রায় বিধ্বস্ত হয়। পরে খাজা আহসানউল্লাহ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে এটি পুনঃনির্মাণ করেন। ২০১১ সালে ইরান সরকারের উদ্যোগে পুরো হোসেনি দালানের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। ইরান সরকার এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে। ইরানের স্থপতিবিদ ও শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ফলে ইরানের ধর্মীয় স্থাপনার বাহ্যিক রূপ ও নান্দনিকতা এখনকার হোসেনি দালানের প্রতিফলিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতœতত্তের¡ ইতিহাসবিদ এ কে এম শাহনাওয়াজ বলেন, পুরনো ঢাকার এই চকবাজারের সূচনা হয়েছিলো মুঘল আমলে। ব্যবসার পাশাপাশি এই চকবাজারে আছে হোসেনি দালান, বড় কাটরা, ছোটো কাটড়া কিংবা শাহী মসজিদের মতো নানা ধরণের স্থাপত্যকর্ম। তবে এই চারশো বছর পরে এসে ঢাকা অনেক বিস্তৃত হয়েছে সব দিকেই। কিন্তু ব্যবসায়িক বিবেচনায় গুরুত্ব হারায়নি চকবাজার। অর্থনীতির পাশাপাশি সামাজিক ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিলো চকবাজার। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর ব্রিটিশ, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ আমলেও এর ভেতরকার কোনো পরিবর্তন হয়নি। জনসংখ্যা আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। রাস্তাঘাট অলিগলি সেই সরুই রয়ে গেছে। নামকরণের ইতিহাস সর্ম্পকে জানান, চক শব্দটা এসেছে ফার্সি শব্দ থেকে। বাণিজ্যিক গুরুত্ব নিয়েই গড়ে উঠেছে এই চকবাজার। মুঘলরা আসার পর থেকে চকবাজার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে সতের শতকে। পরে বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবেই দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু চকবাজারের রাস্তাঘাট নিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা কেউ করেনি। এক সময় বিয়ের কেনাকাটার প্রধান বাজার ছিলো চকবাজার। এমনকি বরযাত্রীদের চকবাজার ঘুরে যাওয়ার একটা রীতি ছিলো। কিন্তু এখন সেইসব রীতিনীতি বিদায় নিলেও পুরনো অনেক স্থাপত্যে সমৃদ্ধ হয়ে আছে বাংলাদেশের ঢাকার পুরনো অংশের এই চকবাজার।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব কমিটিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-হাইকোর্টের রুল জারি

তুলাকে শিগগিরই কৃষিপণ্য ঘোষণা করবে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাগেরহাটে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্মারকলিপি

সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বরিশাল মহানগরীতে জাতীয় মহাসড়কের ওপর সিটি কর্পোরেশনের মরনফাঁদ অপসারন করবে কে?

সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি যুবদলের আহ্বান

র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি মির্জাপুরে অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য গ্রেপ্তার

মর্মস্পর্শী ভিডিওর মাধ্যমে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল দিল ফিলিস্তিন

পাংশায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ একজন গ্রেপ্তার

পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না : প্রধান উপদেষ্টা

সিআইডির প্রধানের দায়িত্ব নিলেন ডিআইজি গাজী জসীম উদ্দিন

সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : বাড়িঘর ভাংচুর

এসবিএসি ব্যাংকের এমডি হাবিবুর রহমানের পদত্যাগ

জেলেনস্কি-কার্নির বৈঠক, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চাপ ও সামরিক সহায়তা

ডিএমটিসিএল কর্মীদের মারধরের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

নিয়মিত অফিস করেন না উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ সহিদ উল্লাহ

মতলবে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ

ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলাচল করবে ১৭টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ

আমাদেরকে একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে : মির্জা ফখরুল

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অফিসিয়াল ফোন ক্লোন করে অর্থ দাবি