আমদানির আড়ালে বন্যপ্রাণী পাচার!
১৮ জুন ২০২৩, ০১:০৯ এএম | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩, ০১:০৯ এএম
বাংলাদেশে পাচারের ক্ষেত্রে সব ধরনের বন্যপ্রাণী থাকে টার্গেটে। বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযান প্রক্রিয়ার সঙ্গে মামলা জরিমানাও করে বন বিভাগ। কিন্তু কোনোভাবে বন্যপ্রাণী পাচার সিন্ডিকেটকে দমানো যাচ্ছে না। দেশের সম্পদশালী ব্যবসায়ি সরকারের প্রভাবশালী আমলা সাংসদদের অনেককেই বিলুপ্ত বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী পুষতে দেখা যায়। গত বছর এক সংসদ সদস্যের বাগানবাড়ি থেকে ৩টি মুখপোড়া হনুমান জব্দ করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিপন্ন প্রজাতির এ হনুমান লালন-পালন করা আইনে নিষিদ্ধ। আভিজাত্যের প্রতিক হিসেবে বাসা বাড়ি অফিসে প্রদর্শন করে রাখা হচ্ছে বাঘ সিংহ হরিণের চামড়া এবং হাতির দাঁত হরিণ গন্ডারের শিং।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব প্রাণী বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবৈধভাবে সংগৃহীত। মিথ্যা চালানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে আনা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মালি থেকে আনা চারটি বিপন্ন প্রজাতির গ্রিভেট বানর আটক করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ফ্রেইট ইউনিট। এ জাতীয় বানরের একেকটির মূল্য সাড়ে ৪ হাজার ডলার বা তার বেশি। আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচার কার্যক্রমের বড় রুট হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে। বন্যপ্রাণী চোরাচালানের আন্তর্জাতিক রুটে সরবরাহকারী ও গন্তব্য-দুই ভূমিকাই পালনের অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশী চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে। আবার দেশের মধ্যেই তারা গড়ে তুলেছে বন্যপ্রাণী কেনাবেচার বাজার, যার ক্রেতাদের বড় অংশ হলো অভিজাতরা।
বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের জন্য নিয়মিত ব্যবহৃত হয়, এমন রুটগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা থেকে নানা বৈচিত্র্যময় প্রাণী-লামা, পুডু, ক্যাপুচিন বানর থেকে শুরু করে সিংহ, চিতাবাঘ, জেব্রা পর্যন্ত-আক্ষরিক ও রূপক উভয় অর্থেই আন্তঃসীমান্ত বন্দরগুলোতে স্রোতের মতো চোরাচালান হয়ে আসছে। ব্যবসায়ীরা ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের জ্ঞানের অভাবকে কাজে লাগিয়ে এ অপকর্ম করছে।
আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী চোরাচালানে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে এস এ ইন্টারন্যাশনালের মালিক সালেহ আহমেদ সবুজের বিরুদ্ধে। তিনি বিভিন্ন সময় মিথ্যা ডমেষ্টিক রেবিট আর ডমেষ্টিক মারা মারা প্রাণী আমদানির আড়ালে বিলুপ্ত আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়ান মারা মারা, ওলাভি রেবিট ও কেপিবাড়ার মত আরও অন্যান্য প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী নিয়ে এসে ভারতে পাচার করেছেন। অন্যদিকে আগারগাও বন ভবন থেকে সাইটিস-২(CITES-II) পাখির অনুমোদন নিয়ে সাইটিস-১(CITES-I) বহির্ভূত অনেক বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক ও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আমদানি করে ভারতে পাচার করে।
রাজধানীর দক্ষিনখান থানার আনলে অবস্থিত তার খামার। এই খামারের তথ্য বন্যপ্রানী অধিদপ্তর জেনে যাওয়ার পর সকল দামি বিলুপ্ত প্রাণী তার অন্য খামারে স্থানান্তর করে ফেলে। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালি থানার রাজধরপুর গ্রামে প্রায় ৩ কোটি টাকার জমি কিনে গড়ে তুলেছেন অবৈধ বিলুপ্ত প্রানীর খামার যেখানে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের বিলুপ্ত বিপন্ন প্রজাতির বিভিন্ন প্রানী রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় বণ্যপ্রানী চোরাচালানের হোতা হিসেবে তার নাম রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালেহ আহমেদ সবুজের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলে কাকুয়ায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষ থেকে সুবিধা বঞ্চিত গরীব অসহায়দের শীতবস্ত্র বিতরণ
নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহীর আদালতে আ:লীগের সাবেক এমপি আসাদের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজশাহীর আদালতে আ:লীগের সাবেক এমপি আসাদের রিমান্ড মঞ্জুর
বগুড়ায় পুলিশের উদাসীনতায় রাতের আঁধারে জবর দখল করে ছাদ ঢালাই
লাকসামে সরকারি খাল পাড়ের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়
কালিহাতীতে মারামারির সন্ধিগ্ধ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড দলে নেই স্টোকস, ফিরলেন রুট
ঝিকরগাছায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
কেবল সেবন নয় মাদক ব্যবসায়ও জড়িত তারকারা, ডিসেম্বরের পরে দেখে নেবে কে?
গাবতলীতে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি লালু
যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত