জাহাঙ্গীরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করলেন মা ও নির্বাচিত মেয়র জায়েদা
০৩ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের জন্য সুপারিশ করেছেন জায়েদা খাতুন। শপথ গ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মেয়র জায়েদা।
সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ নেন নবনির্বাচিত পাঁচ সিটি মেয়র। মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি ছেলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মেয়র জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করার বিষয়টি প্রাধনমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন। এতে প্রাধনমন্ত্রী ইতিবাচক মত দেন।
ওই সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব কথাই হয়েছে। তাদের (প্রধানমন্ত্রী ও মেয়র জায়েদা খাতুন) দুজনের কথা হয়েছে। এনিয়ে আমার বলা কি ঠিক হবে? আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আপনারা অপেক্ষা করেন। ভালো কিছু দেখতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে আসছি। সকল প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গাজীপুরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছি। মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার আস্থা ও ভরসার স্থান। গাজীপুরের জনগণ আমার সঙ্গে আছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আমি আওয়ামী লীগের জন্য এবং এই মহানগরীর উন্নয়নের জন্য মায়ের পাশে থেকে কাজ করে যাব।
এদিন গাজীপুরের ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণও শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জায়েদা খাতুন ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করেন। মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন পান ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পান ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন গাজীপুরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে মেয়র হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এই সিটিতে গত ২৫ মের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু দল মনোনয়ন দেয় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি তার মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের
পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম
ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী
আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই
ফিলিপাইনে ৪০০ বিদেশি অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার
ইসরাইলি ৪শ’ সেনা নিহত গাজায় স্থল অভিযানে
কুষ্টিয়ায় কৃষি যন্ত্র বিতরণে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
ভোলায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
গাজীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার
বিভিন্ন বিভাগ ছোট হচ্ছে পাকিস্তানে
আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকানীকে গুলি
গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করল জার্মানি-ফ্রান্স
৪ ভূখ-কে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলি মানচিত্র প্রকাশ
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চলতি বছর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস
যুক্তরাষ্ট্রের নাম মেক্সিকান আমেরিকা রাখার পরামর্শ