বিএনপি অংশ না নিলে অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে নির্বাচন: সিইসি
১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:১৪ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:১৪ এএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। বিভিন্ন ছোট-খাটো দল নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা বিএনপির সমকক্ষ নয়।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) প্রকাশিত বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দুটো দল পাঁচটা দল, দশটা দল ছোট-খাট দল বাংলাদেশের বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে এটা অনস্বীকার্য যে মূল বিরোধী দল যে বিএনপি তাদের সমকক্ষ ওরা নয়। এটা আমরা অস্বীকার করি না বা কেউ অস্বীকার করবে না।
তিনি বলেন, ওই দলটা যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে একটা অনিশ্চয়তা বা একটা শঙ্কা একটা অসম্পূর্ণতা থেকে যেতে পারে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
সিইসি মনে করেন, নির্বাচন যদি কোনো সংঘাত বা সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তারা ‘খুশি হবেন’ বটে, কিন্তু গণতান্ত্রিক চেতনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নির্বাচন ‘অসম্পূর্ণ’ থেকে যাবে।
তিনি জানান, নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরির জন্য আগে থেকেই প্রশাসনে রদবদলের কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রশাসনে রদবদল করলেই যে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে সে নিশ্চয়তা নেই। তবে নির্বাচনে অংশ নেবার পর বিরোধী দল যদি প্রশাসনে রদবদলের কথা বলে তাহলে সেটি বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন।
কাজী হাবিবুল বলেন, আমরা এটা-সেটা রদবদল করলাম, যেটা কখনো হয়নি। তারপরও ওনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন না, কাজে সেটা খুব অর্থবহ প্রক্রিয়া হবে বলে আমি মনে করি না।
দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন সাড়া পায়নি জানিয়েছেন সিইসি।
তিনি বলেন, দুবার রিফিউজড হওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমি ব্যক্তিগত ডিও লেটার দিয়ে শুধুমাত্র ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নয়, তাদের সহমর্মী যে দলগুলো, যারা নির্বাচন বর্জন করছেন, তাদের যে প্রধান তাদেরকেও চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের রুটিন অনুযায়ী অনেকগুলো কাজ আছে। রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়া।
‘তারা যদি নমিনেশন সাবমিট করেন, তাহলে তো অংশগ্রহণমূলক হয়ে গেল। তখন আমাদের পক্ষে আলাদা করে আহ্বান জানানো, মিটিং করা ওই সময়টুকু আমাদের হবে না। কিন্তু ওনাদের মধ্যে যদি কোনোরকম সংলাপ হয়ে থাকে প্রকাশ্যে বা গোপনে যার অধীনে ওনারা যদি সম্মত হন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে. ওনারা যদি নমিনেশন সাবমিট করেন তাহলে আমরা বুঝে গেলাম যে ওনারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং আমরা অত্যন্ত খুশী হবো সেক্ষেত্রে,’ যোগ করেন কাজী হাবিবুল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, সংবিধান এবং গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমিশন প্রস্তুত জানিয়ে কাজী হাবিবুল বলেন, আরপিওতে যেভাবে নির্দেশনা রয়েছে, সেভাবে আমরা সোজা এগিয়ে যাচ্ছি। ডানে বামে তেমন তাকাচ্ছি না। আমাদের প্রস্তুতি আপ টু-ডেট আছে।
তিনি বলেন, একটা সংকট, অনাস্থা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই যে খুব মসৃণ ওয়েতে দেশ আগাচ্ছে নির্বাচনের দিকে সেটা বলা যাবে না। তবে আমাদের এখনো প্রত্যাশা মাঝে মাঝে দেখছি যে সিভিল সোসাইটি একটু উদ্যোগী হয়ে উঠেছে যে নির্বাচনটাকে ইনক্লুসিভ করতে।
সিইসি মনে করেন, নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক’ এবং ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক’ হওয়া দুটি ভিন্ন বিষয়। নির্বাচন ‘অন্তভূর্ক্তিমূলক’ না হলেও সেটি ‘অংশগ্রহণমূলক’ হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সবসময় ‘অংশগ্রহণমূলক’ এবং ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ – দুটোই চান নির্বাচনের ক্ষেত্রে।
‘অংশগ্রহণ-মূলকের এখন দুটো অর্থ দাঁড়িয়ে গেছে। একটি হচ্ছে ব্যাপক জনগণ যদি নির্বাচন কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তাহলে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক। আবার আরেকটি বক্তব্য হচ্ছে, সকল দল অংশগ্রহণ করলো। আবার ওটার দিকে ইংলিশটা হচ্ছে ‘ইনক্লুসিভ’ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক,’ যোগ করে সিইসি এক্ষেত্রে সমঝোতা, রাজনৈতিক সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, একটা দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, মাঠে তার ভিন্ন প্ল্যান থাকতে পারে। ভিন্ন ধরনের কৌশল থাকতে পারে। তাদের প্ল্যান বা কৌশলকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়।
কাজী আউয়াল বলেন, কিন্তু আমরা আমাদের নৈতিক অবস্থান থেকে সকল দলকে বারংবার আহ্বান করেছি নির্বাচনকে অর্থবহ করতে হলে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সত্যিকার অর্থে প্রতিযোগিতামূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়।
দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি দাবি করেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করবে।
সিইসি বলেন, যেটা আপনি বলেছেন, এটা হচ্ছে পলিটিকাল লিটারেচার বা পলিটিকাল ফিল্ডের কথা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে কি হবে না। সে বিষয়ে আমরা কোনোরকম মন্তব্য করব না। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
গম সহ কৃষি পণ্যে উৎপাদন ও গুনগত মান ব্যহতের আশংকা
'শাহরুখ খান ফরএভার' ক্রিসের এমন বার্তার কি জবাব দিলেন শাহরুখ?
ট্রাকের ধাক্কায় দূর্ঘটনায় শিকার শাবি শিক্ষকদের বাস !
'ট্রাম্প ২.০' বা হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বিশ্বকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?
'শাহরুখ খান ফরএভার' ক্রিসের এমন বার্তার কি জবাব দিলেন শাহরুখ?
বন্ধুর বন্ধনের উদ্যোগে ছাগলনাইয়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ
সিরাজদিখানে বাস চালক মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাছের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ৬
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতভিটা পুড়ে ছাই
নাটোরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ১ জন নিহত
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা ১১তম উলিপুরের তরঙ্গ
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের, মন্ত্রণালয়ের নয়’
কুড়িগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ'লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
লালমোহনে পৌর কর মেলার উদ্বোধন
আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটে রিসিভার নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
ভারতে অনুপ্রবেশ কালে বিজিবির হাতে আট বাংলাদেশি আটক
জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এবি পার্টি: মজিবুর রহমান মঞ্জু
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালে পানি সরবরাহ করলো “ফায়ার সার্ভিস”
ভোক্তার অভিযোগের জন্য ওয়েব পোর্টাল চালু