ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর : প্রথমবারেই বাজিমাত বাঘা শরীফ
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১ এএম
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসরে প্রথমবার অংশ নিয়েই বাজিমাত করে উপস্থিত দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী। কুমিল্লার মোহনা উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ স্থানীয়দের কাছে বাঘা শরীফ নামে পরিচিত। গতকাল জব্বারের বলীখেলায় শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে পেয়েছেন শিরোপার মুকুট। ফাইনালে একই জেলার বাসিন্দা রাশেদের সাথে ১১ মিনিট লড়াই করার পর রাশেদ নিজ থেকেই পরাজয় স্বীকার করে নিলে রেফারি শরীফের হাত তুলে ধরে বিজয়ী ঘোষণা করলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে তাকে নাচতে দেখা যায়।
এর আগে প্রথম সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হয়ে খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমাকে হারিয়ে ফাইনালে যান রাশেদ। দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে সীতাকুÐের রাসেলের প্রতিপক্ষ ছিলেন বাঘা শরীফ। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শাহজালাল বলী ও চকরিয়ার জীবন বলী নাম লিপিবদ্ধ করে মাঠে হাজির হলেও খেলায় অংশ নেননি। জীবন বলী শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন এবং শাহজালাল বলী কুস্তি রিং-এ গিয়েও তার শিষ্য বাঘা শরীফকে খেলার সুযোগ করে দিয়ে নিজে সরে দাঁড়ান আসর থেকে। তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি বাঘা শরীফ বলী।
লালদীঘি মাঠের মাঝখানে বলীখেলার জন্য বালুর মঞ্চে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। চ্যাম্পিয়ন ৩০ হাজার, রানার্স আপ ২০ হাজার, তৃতীয় স্থান খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা ১০ হাজার ও চতুর্থ স্থান সীতাকুÐের রাসেল ৫ হাজার টাকা প্রধান অতিথির কাছ থেকে গ্রহণ করেন। এর আগে খেলার উদ্বোধন করেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে বলীখেলা উপভোগ করেন।
এবারের আসরে ১০০জন নাম লিপিবদ্ধ করলেও আয়োজক ৮৪জনকে খেলার অনুমতি দেয়। দুপুরের পর থেকে লালদীঘি ময়দানে হাজার হাজার দর্শক জড়ো হন ঐতিহ্যবাহী এই বলীখেলা দেখতে। বিকেল ৪টার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ। ঢোল-বাজনার তালে তালে আর করতালিতে বলীদের সমর্থন জোগাতে থাকেন দর্শকরা। ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এ বলীখেলার সূচনা করেন। সেই থেকে প্রতিবছর বৈশাখের ১২ তারিখে এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়। বলীখেলাকে ঘিরে গত বুধবার থেকে বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। লালদীঘির আশপাশ এলাকায় দোকানদারেরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মেলায় বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র, ঝাড়ু, ঝাটা, মাদুর, পাটি, পাখা, পাপোশ, কুলা, ঢালা, মোড়া, হরেক রকমের ঘর সাজানো কারুপণ্য, নানা ধরনের টব, শিশুদের খেলনা, হাড়ি-পাতিল, দা-বটি-খুস্তি, সাজের গয়না, বিভিন্ন গাছের চারাসহ নানারকম জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। প্রচÐ গরমে হাত পাখার বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে। আজ মেলার শেষ দিন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় আ. লীগের ঐক্যের প্রার্থীর সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ
কালিয়াকৈরে বনবিভাগের অবৈধ দখলে থাকা কোটি টাকার জমি উদ্ধার
৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব
দুইসপ্তাহ জুড়ে পথচারীদের মাঝে পানিও স্যালাইন বিতরণ
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে বৃষ্টির বাধা
দরকারী কাগজে নাপাকি লাগলে কী করণীয় প্রসঙ্গে।
দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত
‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক
মোদির মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণায় এবার উপজীব্য ভোট জিহাদ, তারপর কী?
সুদহার শিগগিরই বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে: গভর্নর
মুস্তাফিজকে ছাড়াই চেন্নাইয়ের বড় জয়
শাহজালালে তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
ইসলামবিরোধী হিন্দুত্ববাদী কারিকুলাম প্রত্যাখ্যান করুন
উখিয়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা যুবককে জবাই করে হত্যা
জনসমর্থন না থাকায় বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে: কুষ্টিয়ায় হানিফ
ইসলামী শিক্ষা নিয়ে যে কোন দূরভিসন্ধি রুখে দিতে হবে পীর সাহেব চরমোনাই
লক্ষ্যটা নাগালেই রাখল বাংলাদেশ
ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী