কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সকল উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে প্রদত্ত আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’। দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ ঃ গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলও’র ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।
রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সকল কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্পকারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সাথে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল সর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেহেরপুর গোভিপুর গ্রামে স্বামীর হাঁসুয়ার কোপে স্ত্রী নিহত
ভালো শুরুর পর একই ওভারে সৌম্য-তানজিদের বিদায়
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর
দিনাজপুর সীমান্তে সাপের বিষ উদ্ধার
বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের লন্ডনে বিজনেস গ্রোথ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ
বাঘায় দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মাগুরার শ্রীপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৪
হাঙ্গেরি চীনকে বহুমুখী বিশ্বের স্তম্ভ হিসাবে দেখে: অরবান
৭ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু পথনির্দেশ দিয়েছিলেন : গণপূর্তমন্ত্রী
যুদ্ধে পুতিনের সাফল্য কামনা করেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট
আমাদের সমাবেশে এ পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি মারামারি, সংঘর্ষ বিরোধ কিছু হয়নি: ওবায়দুল কাদের
কুবি ক্যাম্পাসে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকার ছড়াছড়ি
চীনের ঋণ পরিশোধের জন্য ভেনিজুয়েলা উন্মুক্ত: মাদুরোর আইনপ্রণেতা পুত্র
টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন
ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফেতে দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্য নিয়ে আলোচনা
ডিজিটাল হজ্জ ব্যবস্থাপনা প্রধানমন্ত্রী নিজেই তদারক করছেন : পলক
এই দুঃশাসন জনগণ বেশি দিন মানবে না: রিজভী
মানবতার দুশমন ইসরাইলকে সমুচিত জবাব দিতে হবে- জাতীয় উলামা মুভমেন্ট
ভারতে পাচারকালে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার করেছে বিজিবি