উপজেলা নির্বাচনে ৫ কারণে ভোট কম পড়েছে -ইসি
১০ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। খোদ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের এ হারকে ‘কম’ আখ্যা দিয়ে এর জন্য ৫টি কারণও চিহ্নিত করেছে। নির্বাচন কমিশনের চোখে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার মোটাদাগে পাঁচটি কারণ ধরা পড়েছে। ভোটের একদিন পর গতকাল নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে সে কারণগুলোই তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেছেন, মোটাদাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। কারণগুলো হলো- বৈরী আবহাওয়া, বিএনপির ভোটে অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়া।
ইসি আলমগীর বলেন, ধান কাটার মৌসুম চলছে। বিশেষত হাওরাঞ্চলে বোরো ধান কাটায় সবাই ব্যস্ত এখন। সেসব এলাকার মাঠ প্রশাসন থেকে আমাদের আগেই জানানো হয়েছে, ধান কাটার মৌসুমের কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। ভোট কম পড়তে পারে।
তিনি বলেন, এছাড়া গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় রাজনৈতিক দল (বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে) নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ভোট কম পড়েছে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা নয়, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরও কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন।
তিনি জানান, প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এ নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আবার এমন উপজেলাও আছে, যেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ।
কেন্দ্রে ঢুকে সিল মারার যে সংস্কৃতি, তা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় জানতে চাইলে সাবেক এ ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, রাজনীতি তো সংস্কৃতির অংশ। তাই এ নিয়ে বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। যারা গবেষণা করেন তাদের সঙ্গেও বসতে হবে। অন্য এক প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, গতকালের উপজেলা নির্বাচনে আমাদের কড়া বার্তা ছিল, কোনোভাবে অনিয়ম হওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন চেয়েছে বলেই অনিয়ম হয়নি, বিষয়টি তা নয়। সবার সহযোগিতায় ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে ছোটখাটো ত্রæটি হতেই পারে, সেটিকে বড় করে দেখার কোনো কারণ নেই। যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা খুব অ্যাকটিভলি কাজ করেছেন।
মো. আলমগীর জানান, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, যেখানে ভোট পড়ার হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে ১১৭টি উপজেলায়। মোট ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আর সর্বনিম্ন ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বগুড়ার সোনাতলায়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
টানা দ্বিতীয়বার গোল্ডেন বুট হালান্ডের
আগামীকাল দুইটি উপজেলায় নির্বাচন হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলায় আ’লীগে আ’লীগে টক্কর
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন ডিপজল
জরুরি বৈঠকে ইরানের মন্ত্রীসভা; ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
শিল্পী সমিতির ভোটে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ
পুত্র সন্তানের মা হলেন ইয়ামি গৌতম
ইরানকে সাহায্যের জন্য রাশিয়া সবকিছু করতে প্রস্তুত রয়েছে: পুতিন
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু ২ বাইক আরোহীর, রচনা লেখার শর্তে জামিন চালককে
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, সম্পাদক পদে বসতে পারবেন না ডিপজল
রাত পোহালে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানে হলো নির্বাচনী সরঞ্জাম
মিরপুরে অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে ৪ মামলা
মৃত্যু যখন দোরগোড়ায়… রাইসির শেষ ভিডিও প্রকাশ করল ইরান
চোর সন্দেহে ঝালকাঠিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট কে এই মোহাম্মদ মোখবার?
বিলাস বহুল পাজেরো স্পোর্ট কারে মিলল ৭লাখ ইয়াবা,চার মাদক কারবারি আটক
রাইসির মৃত্যুতে 'ইসরাইল জড়িত নয়', দাবি এক কর্মকর্তার
আজ মৌমাছি দিবস, এর যে সাতটি বৈশিষ্ট্য খুবই চমকপ্রদ
লৌহজংয়ে রাত পোহালে ভোট, ৬১ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টা ঝুঁকিপূর্ণ
দোয়ারাবাাজরে বজ্রপাতে নিহত ২
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সিরিজে আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা