‘সচিবালয়ে আগুনের পেছনে আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্র রয়েছে’
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
সচিবালয়ের আগুনের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর পেছনে আওয়ামী দোসর ও ভারতীয় বাহিনীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সোমাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নেটিজেনরা এই মন্তব্য করেন।
নেটিজেনরা বলছেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে অনেক দুর্যোগ ও বিভিন্ন সঙ্কট গেছে। তারপরও কোনো সময় সচিবালয়ে আগুন লাগেনি। কিংবা কেউ আগুন দেওয়ার সাহস পায়নি। তাহলে কেন এখন সচিবালয়ে আগুন লাগলো। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক এই সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন লাগলো। তাহলে সবার মনে প্রশ্ন এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। আগুন দিয়েছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর।
নেটিজেনরা আরও বলছেন, আওয়ামী লীগ চেয়েছিল মানুষদের হত্যা করে লাশের ওপর বসে তারা ক্ষমতায় থাকতে। এখনও তারা চাইছে। ভারতের ইন্ধনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দোসর বাহিনী একের পর এক ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার মানুষকে খুন করে তারা কোনো অনুতপ্ত হয়নি বা এখন পর্যন্ত ক্ষমা চায়নি। বাংলার মানুষদের একটাই দাবি অতি দ্রুত প্রশাসনের সব জায়গায় স্বৈরাচার দোসরদের চিহ্নিত করুন। পরে তাদের শাস্তির আওতায় আনুন। এছাড়া আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করুন। নয়তো দেশের উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ হবে।
নেটিজেনরা বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যখন দেশ যখন ছাড়লো ঠিক তখনই থানাগুলোতে আগুন দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়িয়ে দেওয়া হলো। আর এগুলো আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীরাই করেছে। আওয়ামী লীগ চাইছে তাদের দুর্নীতির তথ্যগুলো যাতে পুড়ে যাক। যাতে তারা বেঁচে যাই। আর এখনও তারাই এই কাজ করেছে। সারাদেশের আওয়ামী লীগের অপকর্ম, নৈরাজ্য, খুন, ধর্ষণ ও গণহত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যখন বিচার কাজ চলছে তখনই সচিবালয় আগুনে পুড়লো। কাজেই আমাদের বুঝতে বাকি নেই যে- এটা আওয়ামী লীগের প্রেত্মাতারা করে নাই। অবশ্যই তাদের কাজ এটা। আমরা চাই অতি দ্রুত এসব কাজের বিচার করা হোক। সেই সাথে আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা হোক।
অনেকেই বলেছেন, ৫ আগস্টের পর আমরা যখন দেশে পাহাড়া দিয়েছি। এখনও দিবো। উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বলেন, কাজেই আপনারা হতাশ না হয়ে এগিয়ে যান। অতি দ্রুত প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী শয়তান ও পশুদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন। আমাদের বিশ্বাস ড. মুহাম্মদ ইউনূসেই পারবে গণহত্যাসহ আওয়ামী লীগের বিচার করতে।
হাবিবুর রহমান জুয়েল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, নথি নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে। ফলে দেশ ও জাতির বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।
মো. ইবরাহীম খলিল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, নিঃসন্দেহে এটা পরাজিত শক্তির কাজ। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের অপচেষ্টা অব্যাহত। এদেরকে প্রতিহত করে আইনের আনতে হবে।
সাইফুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, শাসন ব্যবস্থা কঠোর করুন। জিরো টলারেন্সে নিয়ে যান। না হলে আপনাদের দুর্ভোগ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
নাজিম উদ্দিন নয়ন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সচিবালয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে মনে করি। এটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়ের প্রতিটি স্থান এখনও ফ্যাসিবাদের আমলাদের দখলে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই প্রিয় দেশকে সব ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করুক, আমিন।
মো. মহিউদ্দিন হাসান খান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আপনারা ফ্যাসিস্টদের সাথে নমনীয় আচরণ করার ফলাফল এগুলো। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন। আর শেখ হাসিনাসহ সব স্বৈরাচারের দোসরদের অতি দ্রুত ফাঁসি দিন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম