‘হাসিনা নিজেই খুন-গুমের নির্দেশ দিতেন’
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম
জোরপূর্বক গুম বা খুনের বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিতেন বলে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে (এইচআরডাব্লিউ) জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা সংস্থাটিকে এ বিষয়ে অবগত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তার সময়ে গোপন কারাগার আয়নাঘরে বন্দি থাকা অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য গঠন করা হয়েছে গুম কমিশন। গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে তারা। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেছে কমিশন।
গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে কমিশনের সদস্যরা এখন পর্যন্ত পাওয়া এক হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন। এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গুম করার পদ্ধতির কিছু বর্ণনা আছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কমিশন গুমের পর ‘মেরে ফেলার পদ্ধতি সম্পর্কে যাচাইকৃত বিস্তারিত প্রতিবেদন’ পেয়েছে। একটি কার্যকর পদ্ধতি হলো- মাথায় গুলি করা। এরপর মরদেহ সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
‘র্যাবে কর্মরত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা এ পদ্ধতিকে মরদেহ ডুবিয়ে দেওয়ার আদর্শ পদ্ধতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন’, প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়।
হত্যার উপযুক্ত স্থান হিসেবে বুড়িগঙ্গা নদী, শীতলক্ষ্যা নদী (কাঞ্চন সেতু) এবং পোস্তগোলা সেতুর কাছাকাছি এলাকার উল্লেখ আছে। সুন্দরবনের জলদস্যুদের কাছ থেকে জব্দ করা একটি নৌকার উল্লেখ আছে প্রতিবেদনে, যেটি পোস্তগোলা সেতুর কাছে রাখা হয়েছিল।
র্যাবের এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, র্যাবের তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান পরিচালিত একটি সেশনে ‘র্যাবে ঢোকার অংশ হিসেবে' একটি সেতুতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগে নিযুক্ত আরেক সৈনিকের বরাতে এতে বলা হয়, ‘এক ভুক্তভোগী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে নদী থেকে উঠিয়ে আনা হয় এবং পরে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়।’
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১ টাকা
গ্রাফিতি মুছে ফেলায় উত্তাল উত্তরা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ইয়ামিনের অসুস্থ বাবার পাশে ইউএনও
খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা পুনর্গঠন সম্পন্ন
দ্রত বর্ধনশীল পেকিন জাতের হাঁস পালনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে নওগাঁর গ্রামীণ গৃহবধূরা
ভৈরবের সুমন মিয়া অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার চেষ্টায় ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু
জনগণ আমাদেকে সুযোগ দিলে শাসক হবো না, চৌকিদার হবো : ড. ফারুকী
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন শাপুর জাদরান
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবিতে টঙ্গীবাড়ি জাসাসের কর্মী সম্মেলন
পাকিস্তানে ত্রিদেশিয় সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলে ডাফি
জুলাই গনহত্যার জড়িতদের বিচারের দাবিতে সিলেটে ছাত্রশিবিরের 'গণমিছিল'
মতলবের মেঘনায় মরা মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
টঙ্গীর তুরাগ তীর মুখি মুসুল্লিদের ঢল অব্যাহতঃ ইজতেমা ময়দানে সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
নরসিংদীতে ২৫ জন মহিলা কোরআনের হাফেজাদের সংবর্ধনা
গ্রাফিতি মুছে ফেলায় আন্দোলনে উত্তাল উত্তরা
প্লে অফে মুখোমুখি রিয়াল-সিটি
সিলেটে গণসমাবেশ: সকল পাথর ও বালু মহাল খুলে দেওয়ার দাবি, নইলে কঠোর কর্মসূচি
লেবার কোর্ট বার এসোসিয়েশন নির্বাচনে ১৫ সদস্যের মধ্যে সাত্তার-শাহেদ প্যানেলের ১১টিতে জয়
ছয় মাসেও অধরা মানুষ মারার গল্পে ভাইরাল এসপি ইকবাল
মধুচন্দ্রিমা শেষে চাপ বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের