দ্বীনের মশালচি অনন্য প্রতিভা হজরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.)

Daily Inqilab আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী

২৬ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৬ পিএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০৭ এএম

অনুরূপ ভাবে “কদমবুছির তথ্য” আল্লামা দুবাগী (রহ.) এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। ৬৪ পৃষ্ঠার এ কিতাব খানার প্রথম প্রকাশ ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। পুস্তকের শেষ পৃষ্ঠায় প্রমাণ পঞ্জীতে আল্লামা দুবাগী (রহ.) ৮১টি কিতাবের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি ভুমিকার প্রথমেই রচনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন; “হজরত রাছুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া ছাল্লামের জামানা হতে স্বীয় মাতা-পিতা, গুরু, মুর্শিদ, উস্তাদ, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী এবং মুরব্বীগণের কদম বুছি করার ছুন্নত হিসেবে প্রচলিত। কিন্তু আজকাল শুনা যায় যে, কোন কোন আলিম কদমবুছি নাযায়েয, বেদাত এমনকি শিরক বলেও ফতওয়া দিয়েছেন এবং কদমবুছিকারীকে কঠোর ভাবে নিষেধ করেন।“

আরবিতে একটি বহুল প্রচলিত বাক্য; “খাইরুল কালামে মা ক্বাল্লা ওয়া দাল্লা ওয়া লাম ইউমিল্লা।” অর্থাৎ- উত্তম বাক্য যা সংক্ষিপ্ত অর্থপূর্ণ এবং যুক্তিযুক্ত অথচ বিরক্তিকর নয়। হজরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) এর রচিত ছোট্ট একটি পুস্তিকা “হজ্জ্ব ও যিয়ারত”এর মধ্যে রয়েছে আরবি বাক্যটির পূর্ণ প্রতিফলন। ২৩৯ পৃষ্ঠার এ ক্ষুদ্র পুস্তিকা খানার ব্যাপক জনপ্রিয়তা এতেই প্রমাণিত হয়। এটি ১৯৮৯ সালে প্রথম প্রকাশ করেন মাওলানা জিল্লুর রহমান চৌধুরী। এটি দ্বিতীয়বার প্রকাশিত হবার পর তৃতীয়বার ১৯৯৩ সালের আগষ্ট মাসে এটি প্রকাশ করেন, মাওলানা অলিউর রহমান চৌধুরী। ইসলামের অন্যতম রোকন হজ্জ্ব বিষয়ক অতি জটিল মাছআলা-মাছায়েল সংক্ষেপে সহজ ও সরলভাবে অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা কেবল আল্লামা সাহেবের পক্ষেই সক্ষম হয়েছে। এতে হজ্জ্ব ও যিয়ারত সংক্রান্ত জরুরী সব বিষয় সহজ বোধগম্য ভাবে তাঁর লেখনীর আওতায় এসে গেছে। আল্লামা ফুলতলী সাহেব কেবলা এবং শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমানের মূল্যবান অভিমত ছাড়াও ড: শহীদুল্লাহ এর “হজ্জ্ব যাত্রী” কবিতা পুস্তিকাটির গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি হজ্জ্ব যাত্রীদের জন্য হজ্জ্ব পালন করা অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে।

“শিফায়ে রূহ” পঞ্জিকা সাইজের উপদেশ মূলক দুরুদ ও মোনাজাতের পুস্তিকা আল্লামা দুবাগী (রহ.) রচতি গ্রন্থাবলীর মধ্যে খুবই ক্ষুদ্র হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রকাশ করেন মোহাম্মদ মহবুবুর রহমান চৌধুরী, ২০০৭ সালের জুন মাসে সিলেট হতে। বইটির সূচি পত্রে প্রতি দৃষ্টিপাত করলে এর গুরুত্ব উপলব্ধি করা যাবে।

আত্মশুদ্ধির সরঞ্জাম, নিত্য প্রয়োজনীয় নছিহত, পীরের প্রতি মুরীদের কর্তব্য, হজরত বড় পীর সাহেবের নছিহত, মাওলানা হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেবের নছিহত, হাফিজ সৈয়দ ওয়াবেছ আলী শাহ (রহ.) এর নছিহত, হজরত জালাল উদ্দীন রুমীর নছিয়ত এবং মানুষের মৃত্যু ও কবরের বিবরণ। এর পরের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম, দুরূদে তাজ, দুরূদে নারিয়া, ৩৩ আয়াত ও তার আমল, ঈদুল ফিতরের খুতবা, বিবাহের খুতবা এবং তেলাওয়াতের পরের দোয়া ইত্যাদি।

এ পুস্তকের পূর্বাভাষে আল্লামা দুবাগী (রহ.) কিছু তথ্য ভিত্তিক তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন এবং মুদ্রণের সহযোগিতা দানকারীদের মঙ্গল কামনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন; “যারা এ কিতাবখানা মুদ্রণে সাহায্য করেছেন, বিশেষ করে আমার একমাত্র মেয়ে ক্বারী মাজেদা বেগম চৌধুরী, কিতাব খানার পান্ডুলিপির কপি প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য শুকরিয়া ও তাদের কল্যাণ কামনা করি।”

বর্ণিত গ্রন্থাবলী ছাড়াও হজরত আল্লামা মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) এর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ রচনা রয়েছে। যেমন- সংক্ষিপ্ত মিলাদ, ফতোয়ায়ে মুজাহিদিয়া, আল মাছাইলুল নাদিরাহ প্রভৃতি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সমায়িকীতে বহু গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচনা ও প্রবন্ধাবলী সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা- মূল্যায়ণ করলে ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে আল্লামা দুবাগী (রহ.) এর ব্যক্তি জীবনের এক অপূর্ব চারিত্রিক নৈতিক রূপ উদ্ভাসিত হয়ে উঠে।

হজরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) ছিলেন অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ব্যক্তিত্ব। তাঁর পারিবারিক পরিচয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, তিনি ছিলেন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের কৃতি সন্তান। তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী- আরবি, ফার্সি, ঊর্দু এ তিন ভাষায় তিনি ছিলেন সুদক্ষ সুপন্ডিত। পারিবারিক ভাবেও তাঁর পরিবার এলাকায় অত্যন্ত ধর্মানুরাগী পরিবার হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজে যেমন ছিলেন বিখ্যাত আলেমে দ্বীন, তেমনি তাঁর পরিবারকে একটি আদর্শ পরিবার ও ইসলামী আদর্শে গড়ে তুলেন। তাঁর সংসার জীবনে তাঁর মহিয়ষী স্ত্রী হচ্ছেন হজরত সৈয়দ জালালউদ্দীন (রহ.) বংশধর সিলেটের জকিগঞ্জের বুরহানপুর নিবাসী মরহুম মাওলানা সৈয়দ মোবারক আলী সাহেবের দ্বিতীয় কণ্যা সৈয়দা আনোওয়ারা বেগম। তিনিও একজন আবিদা, সালিহা ও আলেমা মহিলা এবং সম্ভ্রান্ত বংশের রমনী। ব্যক্তি জীবনে তিনি ধর্ম কর্ম পালনে অতুলনীয়। ধর্মীয় ব্যাপারে তিনি তাঁর মহান স্বামীর পদাংক অনুকরণ করে চলেন বলে জানা যায়। তাদের তিন ছেলে ও এক কণ্যা। ছেলেরা সবাই ধর্মীয় শাস্ত্রে শিক্ষিত এবং সবাই ক্বারী, মাওলানা। বড় দুই জন (মাওলানা জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা অলিউর রহমান চৌধুরী) বিলাতের দুটি প্রশিদ্ধ মসজিদের ইমাম ও খতিব। তৃতীয় ছেলেও মাওলানা, ক্বারী ও ইঞ্জিনিয়ার (মাহবুবুর রহমান চৌধুরী), মেয়েও খাটি ইসলাম অনুসারী ও কোরআনের বিশুদ্ধ ক্বারী। তাঁর একমাত্র মেয়ে সহ তিন ছেলেই পবিত্র কোরআনের সর্বোচ্চ মানের ক্বারী যা দুর্লভ ঘটনা।

হজরত আল্লামা দুবাগী (রহ.) জীবদ্দশায় যোগ্য পিতার যোগ্য পুত্র কণ্যা, পিতা-মাতার যথাযথ খেদমত করার যোগ্যতা লাভ করেছেন বলে যানা যায়। শুনেছি আল্লামা দুবাগী সাহেবের বাসভবনে বড় বড় বহু আলমেরীতে ইসলামের নানা বিষয় এবং বিভিন্ন ভাষায় কেতাবাদিতে পূর্ণ এবং সেগুলো তাঁর হরদম মোতালায় অধ্যায়ন গবেষণায় থাকত। তিনি নিজ দেশে অবস্থানকালে একজন সুদক্ষ শিক্ষক হিসেবে মসজিদের ইমাম খতীব হিসেবে এবং একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, প্রচারক হিসেবে গৌরবময় ভুমিকার সূচনা করেছিলেন, যার সমাপ্তি ঘটান একটি ইসলাম বিদ্বেষী দূর দেশের প্রবাসী হওয়ার পর।

হজরত আল্লামা ক্বারী মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) এর কর্ম জীবনের সিংহ ভাগ অতিবাহিত হয় যুক্তরাজ্যে, যেখানে সম্পূর্ণ ইসলাম বৈরী পরিবেশে গমন করে প্রথমে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করেন এবং মসজিদ মাদ্রাসা স্থাপনে অভিযানে অবতীর্ণ হন। এ কাজে অগ্রগতির সাথে সাথে তিনি ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের কাজ আরম্ভ করেন এবং সেখানে ইসলাম প্রচারের কৌশল হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচীর অধীনে তৎপরতা শুরু করেন। তিনি একজন বিচক্ষণ সংগঠক ও ছিলেন, ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের মুরব্বীয়ানকে নিয়ে লেস্টার শহরে এক সভার আয়োজন করে সর্বপ্রথম “ইউকে আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ” প্রতিষ্ঠা করেন।

মোট কথা, আল্লামা দুবাগী (রহ.) বিলাতে প্রবাসী একজন দক্ষ ও বিজ্ঞ আলেমে দ্বীন, মুফতি, ফকীহ, খতীব, মোবাল্লেগ, আধ্যাত্মিক মুর্শিদ হিসেবে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন এবং সাংগঠনিক তৎপরতা, নানা স্থানে ইসলামী সভা সম্মেলনে ভাষণ, বক্তৃতা এবং পাশাপাশি লিফলেট প্রচার-পত্র ছাপিয়ে তা বিতরণের এক অব্যাহত ধারার প্রবর্তণ করেন। তিনি ভক্ত-অনুসারীদের তালীম-তালকীন ও আত্মশুদ্ধির জন্য খানকাহ স্থাপন করেন। কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মজলিস সমাবেশে ওয়াজ-বক্তৃতা এবং প্রচার পত্র ছাড়াও কলম ধারণ করেন এবং গ্রন্থ ও পুস্তকাদি রচনা করে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।

মনে পড়ে প্রথম ফোনালাপে পরিচয়ের দিন একটি আবেগময় আশাব্যঞ্জক উক্তির কথা। তিনি ছিলেন এ লেখকের বড় ভাই তুল্য, এই লেখকের জন্ম ১৯৩৪ সালে এবং শিক্ষা জীবন (টাইটেল) সমাপ্ত ১৯৬০ সালে। প্রায় একই সময়ে তাঁরও শিক্ষা জীবন সমাপ্ত হয়। তাঁর কর্ম জীবনের সিংহ ভাগ অতিবাহিত হয় সুদূর বিলাতে। কাজেই যোগাযোগ পরিচয়ের সুযোগও ছিলনা বললে চলে। তাঁর অন্তিম জীবনে অতি স্বল্প সময়ের ফোনালাপে তাঁর বিশাল ব্যক্তিত্বের সঠিক পরিচয় লাভের জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। তাই হজরত আল্লামা দুবাগী (রহ.) এর রচনাবলীকে সম্বল করে, তাঁর শানে সংক্ষেপে নিজের কিছু অনুভুতি ব্যক্ত করা হল। তাঁর সে দিনের মহা মূল্যবান আশার বাণী পরোকালের জন্য আমার পথেয় হয়ে থাকবে। এ আশা ব্যক্ত করে শেষ করছি।

মানুষ যত বড় জ্ঞানী-গুণীই হন কিংবা আল্লাহ তা’আলার নৈকট্যের যত উচ্চ দরজার অধিকারী হন না কেন, একদিন মৃত্যুর স্বাদ অবশ্যই নিতে হবে। নবীকুল শিরোমণি সর্বশেষ রসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) যার উসিলায় সবকিছু সৃষ্টি করা হইয়াছে, তিনিও এই ধরাধাম হতে চিরবিদায় গ্রহণ করেছেন, এর অর্থ পরিস্কার যে আমাদেরকেও মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। অনুরুপ ভাবে ইলমে দ্বীনের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র হজরত আল্লামা মুফতি মোহাম্মদ মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) লন্ডনে ২০২০ সালের ১০ই জুলাই শুক্রবার (১৪৪১ হিজরীর ১৯ই জিলকদ) এ দুনিয়াবাসীকে বিদায় জানিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে জান্নাতবাসী হন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর ইন্তেকাল কোন সাধারণ মানুষের ইন্তেকাল নয়, বরং একজন “বাহরুল উলূম” এর ইন্তেকাল ছিল। তাই তো বলা হয়: “মাওতুল আলিমে মাওতুল আলম” একজন আলেমের মৃত্যু মানে পৃথিবীর মৃত্যু! তাঁদের মতো মহামানবদের মৃত্যুতে জগতবাসীর হৃদয়ে রক্তকরণ ঘটে। কারণ, তাঁরা ভালোবাসার রাজপথ দিয়ে মানুষের আত্মার আত্মীয় হয়ে মনের গভীরে স্থান করে নিয়েছিলেন। মোমবাতির ন্যায় নিজেকে বিলিয়ে অপরকে আলো বিকিরণ করেছেন। তেমনই একজন আলোকিত মানুষ হলেন আল্লামা দুবাগী (রহ.)। তাঁর মৃত্যুতে শুধু ইউরোপের মুসলমানদের হাহাকার শুরু হয়নি আরব, আফ্রিকা, আমেরিকা ও উপমহাদেশের আহলে ইলম ও দীনি হালকাসমূহে শোকের আবহ বিরাজ করেছে। তাঁর কর্মজীবনে আরব দেশ-সহ বিশ্বের বড় বড় আলেম ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ লাভ হয়েছে। তিনি প্রকৃত অর্থে আন্তর্জার্তিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন।

লন্ডনের গার্ডেন্স অফ পিসে তাঁকে দাফন করা হয়। নবী-রসূল ও আউলিয়াদের একটি সুন্নত যে তাঁরা যে জায়গা বা দেশকে আবাদ বা আলোকিত করেন সেখানেই তাদেরকে দাফন করা হয়। যাতে করে সেই দেশের মানুষ তাঁদের ওফাতের পরও তাঁদের কাছ থেকে ফয়েজ হাসিল করতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় পীরে কামিল আল্লামা মুফতি ক্বারী মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) লন্ডনে ইন্তেকালের পর সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। কারণ তিনি বিলাতে তাঁর জ্ঞান, যোগ্যতা, বিভিন্ন কর্মসূচী ও কৌশলের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করেছেন।

হজরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.) ছিলেন সত্যিকারের আশেকে রসূল। তাঁর অপূর্ব কীর্তি “মীলাদে বেনযীর” একাই তাঁর জান্নাতুল ফেরদাওস লাভের জন্য যথেষ্ট বলে আশা রাখতে পারি। আমীন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক, ইতিহাসবিদ ও দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক (অবঃ)।

 


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

শুক্রবার হজে যাচ্ছেন ৪ হাজারের বেশি বাংলাদেশি
ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নেপথ্যকথা
মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর বর্ণাঢ্য জীবন
‘মহান আল্লাহর নিদর্শন নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য’
রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আখলাক
আরও
X
  

আরও পড়ুন

বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে পথসভা উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে পথসভা উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা জেলা যুবদলের লিফলেট বিতরণ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা জেলা যুবদলের লিফলেট বিতরণ

ঋণের কিস্তি নিয়ে পরিশোধ নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া।। বগুড়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

ঋণের কিস্তি নিয়ে পরিশোধ নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া।। বগুড়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ যুক্তরাজ্যের

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ যুক্তরাজ্যের

শতবর্ষী গাছের উপর নির্মম হামলা অভিযোগ 'শিরক'

শতবর্ষী গাছের উপর নির্মম হামলা অভিযোগ 'শিরক'

১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনে রবি, ফ্লোসোলার ও গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি

১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনে রবি, ফ্লোসোলার ও গ্রিনপাওয়ার এশিয়ার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি

ভিক্টোরিয়ার নবজাতক আইসিইউ ইউনিট জেলার স্বাস্থ্য খাতে একটি মাইলফলক: ডিসি

ভিক্টোরিয়ার নবজাতক আইসিইউ ইউনিট জেলার স্বাস্থ্য খাতে একটি মাইলফলক: ডিসি

যুদ্ধের আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকায় পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

যুদ্ধের আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকায় পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

শিক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কেমব্রিজে অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ এশিয়া স্কুল সম্মেলন

শিক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কেমব্রিজে অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ এশিয়া স্কুল সম্মেলন

উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে ইইউ’র সহযোগিতা চেয়েছে ইউজিসি

উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে ইইউ’র সহযোগিতা চেয়েছে ইউজিসি

শেরপুর বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান

শেরপুর বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান

বাউফলে কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন

বাউফলে কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন

ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত নিয়ে যা বলছে রাশিয়া ও ফ্রান্স

ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত নিয়ে যা বলছে রাশিয়া ও ফ্রান্স

জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লো, কমলো রাফায়েলের

জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লো, কমলো রাফায়েলের

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে নিহত বেড়ে ১৫

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে নিহত বেড়ে ১৫

ড. ইউনূসের বার্তা পেয়েছেন সউদী যুবরাজ

ড. ইউনূসের বার্তা পেয়েছেন সউদী যুবরাজ

মধুপুরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দখল করে চলছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কলার হাট

মধুপুরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দখল করে চলছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কলার হাট

এএসপির লাশের পাশে চিরকুট— ‘বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায়’

এএসপির লাশের পাশে চিরকুট— ‘বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায়’

কুষ্টিয়ায় যুবদল নেতার পুকুরে বিষ দিয়ে অর্ধ কোটি টাকার মাছ নিধন

কুষ্টিয়ায় যুবদল নেতার পুকুরে বিষ দিয়ে অর্ধ কোটি টাকার মাছ নিধন

জামায়াত নেতার মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ

জামায়াত নেতার মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ