ইসলামী সভ্যতায় হিজরি সনের গুরুত্ব
২৬ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৭ পিএম | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০৭ এএম
মানুষ তার জীবনের স্মৃতিময় দিনগুলোকে স্মৃতি হিসেবে পালন করার জন্য বিভিন্নভাবে দিন, মাস ও সময় গণনা করে থাকে। চন্দ্র ও সূর্য উভয়টির মাধ্যমে সন-তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে। হিজরী সাল প্রবর্তনের পূর্বে আরবরা তাদের বিভিন্ন স্মরণীয় ঘটনার উপর নির্ভর করে দিন গণনা করত। যেমন- রাসূল সা: এর আগমনের প্রায় ৪০ দিন পূর্বে সংঘটিত আরবাহা কর্তৃক কাবা ঘর ধ্বংস করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা দিন গণনা করত। এই গণনার জন্য হিজরী সন অন্যতম ইসলামী পদ্ধতি।
উমর (রা:)-এর যুগে একটি নির্দিষ্ট তারিখ হিসেব করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে আলী (রা:) সহ বিভিন্ন সাহাবীদের পরামর্শে একটি নির্দিষ্ট সন গণনার পরামর্শ চলে। এতে কেউ রাসূল সা: এর জন্ম থেকে সাল গণনা করার কথা বলেন, কেউ বা তার ওপর ওহী আসার দিন থেকে, কেউ আবার তার ওফাত থেকে সাল গণনা করার অভিমত ব্যক্ত করেন। কিন্তু উমর (রা:) রাসূল সা: এর হিজরতের ঘটনা থেকে সাল গণনার প্রস্তাব উত্থাপন করেন, এতে সকল সাহাবীগণ ঐক্যমত পোষণ করেন। কেননা, হিজরত সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করে।
‘‘আল-উকদুদ দিরায়া’’ নামক গ্রন্থে রয়েছে- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর (রা:)-এর শাসনামলে উমর (রা:)-এর নিকট একটি চুক্তিপত্র উপস্থিত করা হলো। সেখানে শাবান মাসের কথা উল্লেখ ছিল। তখন উমর (রা:) বললেন, এটা কি গত শাবান না আগামী শাবান মাস? অত:পর তিনি তারিখ গণনার নির্দেশ প্রদান করলেন এবং রাসূল সা: এর মদীনায় হিজরতকে কেন্দ্র করে হিজরী সন গণনার সূচনা করেন। আর মুহাররমকে প্রথম মাস হিসেবে গণ্য করা হয়। রাসূল সা: হিজরত করেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জুলাই। সেই দিনকে মুহাররম মাসের শুক্রবার হিসেবে ধরে হিজরী সাল গণনা শুরু হয়। উক্ত হিজরী হিসেবের প্রথম প্রয়োগ ঘটে উমর (রা:)-এর শাসনামলের ৩০ জমাদিউল উখরা/ ১৭ হিজরী অর্থাৎ ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুলাই থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজও হিজরী সন চলে আসছে। হিজরী সন গণনার পূর্বে আরবরা আরবী মাসসমূহকে ব্যবহার করত। অন্যান্য সকল সনের মতো হিজরী সনেরও ১২টি মাস। কেননা, আল্লাহর কাছেও ১২ মাসে এক বছর। যেমন, তিনি ঘোষণা করেন-“নিশ্চয় আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মাস গণনার বারোটি মাস, তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত।’’ (সূরা তাওবাহ; আয়াত-৩৬)
মহানবী সা: যখন হিজরত করেন তখন ছিল রবিউল আউয়াল মাস। প্রশ্ন দেখা যায়, তাহলে ঐ মাসে না হয়ে মুহররম মাসে হলো কিভাবে? মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনার মাস বারোটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থাকে। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। কাজেই এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। (সূরা তাওবা; আয়াত-৩৬)
এ আয়াতের চারটি সম্মানিত মাসকে চিহ্নিত করতে গিয়ে নবী করীম সা: বিদায় হজ্বের সময় মিনা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে বলেন, তিনটি মাস হলো যিলক্বদ, যিলহজ্ব ও মুহররম এবং অপরটি হলো রজব। (তাফসীর ইবনে কাসির)
এ প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ শফী (র.) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ তাফসীরে মাআ’রেফুল কুরআনে লিখেছেন- উপরোক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মাসের যে ধারাবাহিকতা ইসলামী শরীয়তে প্রচলিত রয়েছে, তা মানব রচিত নয়; বরং মহান রাব্বুল আলামীন যেদিন আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন সেদিনই মাসের তারতীব ও বিশেষ মাসের সাথে সংশ্লিষ্ট হুকুম-আহকাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এ আয়াত দ্বারা আরো প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর দৃষ্টিতে শরীয়তের আহকামের ক্ষেত্রে চন্দ্র মাসই নির্ভরযোগ্য। চন্দ্র মাসের হিসাব মতেই রোযা, হজ্জ ও যাকাত প্রভৃতি আদায় করতে হয়। তবে কুরআন মজীদ চন্দ্রকে যেমন, তেমনি সূর্যকেও সাল তারিখ ঠিক করার মানদন্ডরূপে অভিহিত করেছে। সুতরাং চন্দ্র ও সূর্য উভয়টির মাধ্যমেই সাল-তারিখ নির্দিষ্ট করা জায়েয। তবে চন্দ্রের হিসাব আল্লাহর নিকট অধিকতর পছন্দনীয়। তাই শরীয়তের বিধি-বিধানকে চন্দ্রের সাথে সংশ্লিষ্ট রেখেছেন। এজন্য চন্দ্র বছরের হিসাব সংরক্ষণ করা ফরযে কেফায়া। সকল উম্মত এ হিসাব ভুলে গেলে সবাই গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে। চাঁদের হিসাব ঠিক রেখে অন্যান্য সূত্রে হিসাব ব্যবহার করা জায়েয আছে।
এ আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইমাম বাগাভী (রহ) তাঁর গ্রন্থ তাফসীরে বাগাভীতে উল্লেখ করেছেন-“বারো মাস হলো, মুহাররম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউস ছানী, জমাদিউল আউয়াল, জমাদিউস সানী, রজব, শা’বান, রমজান, শাওয়াল, জুলক্বদ ও যুলহজ্ব। আর হারাম বা সম্মানিত চারটি মাস হলো- মুহররম, রজব, যুলক্বদ ও যুলহজ্ব। (তাফসীরে বাগাভী, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা নং-৪৪)
মুহাররম : মহররম-এর অর্থ হলো পবিত্র, সম্মানিত। যেহেতু, এটি হারাম মাসের একটি। তাই একে মুহাররম হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
সফর ঃ সফর শব্দের অর্থ খালি হওয়া। কেননা, হারাম মাস, মুহাররমের পরে সবাই ঘর ছেড়ে যুদ্ধে বের হতো, তাই একে সফর বা খালি নামে নামকরণ করা হয়েছে।
রবিউল আউয়াল ও রবিউস সানী : এ দুই মাস নামকরণের সময় রবি তথা বসন্তকালে এসেছে। তাই এ দুই মাসকে প্রথম বসন্ত ও দ্বিতীয় বসন্ত অর্থাৎ রবিউল আউয়াল ও রবিউস সানী নামে নামকরণ করা হয়েছে।
জমাদিউল উলা, জমাদিউল উখরা : জমদ’ শব্দের অর্থ হলো- বরফ জমাট বাধা। যেহেতু, এ দু’মাসে প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়া হওয়ার কারণে বরফ জমাট বাধে, তাই মাসদ্বয়ের নাম জমাদিউল উলা ও জমাদিউল উখরা নামে অভিহিত করা হয়েছে।
রজব : রজব শব্দের অর্থ সম্মান করা। যেহেতু এ মাসকে সম্মান করে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে বিরত থাকা হয়, তাই এ মাসকে রজব নামে নামকরণ করা হয়েছে।
শা’বান : এর অর্থ হলো বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত হওয়া। যেহেতু হারাম মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে বিরত থাকার পর আরবরা শা’বান মাসে আবার তাদের আক্রমণের জন্য বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত হতো, তাই একে শা’বান নামে নামকরণ করা হয়েছে।
রমযান : ‘রমজ’ শব্দের অর্থ-দগ্ধ হওয়া। রমযান মাসে গরমের প্রচন্ডতার কারণে এ মাসকে রমযান নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ মাসের নাম মহাগ্রন্থ আল কুরআনে উল্লেখ আছে।
শাওয়াল : শাওয়াল শব্দের অর্থ কমে যাওয়া। যেহেতু, সে সময়ে আরবদের উটের দুধ নানা কারণে কমে যেত। তাই এ মাসকে শাওয়াল নামে নামকরণ করা হয়েছে।
যুলক্বদ : ‘কদ’ শব্দের অর্থ বসে থাকা। যেহেতু, সম্মানিত ও হারাম মাস হওয়ার কারণে আরবরা যুদ্ধ বিগ্রহে না গিয়ে বসে থাকতো, তাই একে যিলক্বদ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
যুলহজ্ব : যুলহজ্ব শব্দের অর্থ হজ্বওয়ালা। যেহেতু এ মাস হজ্জের মাস। তাই একে যুলহজ্ব নামে নামকরণ করা হয়েছে।
আল্লাহর আদেশ : হিজরী সন হলো চন্দ্র মাস। আর আল্লাহ তায়ালা চন্দ্রকে সময় নির্ধারণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এজন্য তাঁর সৃষ্টির উদ্দেশ্যের প্রতি সম্মানার্থে হিজরী মন গণনা করা অপরিহার্য্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী- “লোকেরা আপনাকে নবচন্দ্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, আপনি বলুন, তাহলো মানুষের এবং হজ্বের জন্য সময় নির্ধারণকারী। (সূরা- বাকারা: আয়াত-১৮৯) এ আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায়, আল্লাহ তা’য়ালা বান্দাদের হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে পঞ্জিকাস্বরূপ চন্দ্রকে সৃষ্টি করেছেন। এজন্য, চন্দ্র মাস তথা হিজরী সনের গুরুত্ব অপরিসীম।
আল্লাহর নিদর্শন : মহান আল্লাহ চন্দ্র মাস সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলেন- “আমি রাত ও দিনকে করেছি দৃষ্টি নিদর্শন, রাত্রির নিদর্শনকে অপসারিত করেছি এবং দিনের নিদর্শনকে আলোকজ্জ্বল করেছি যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করতে সক্ষম হও এবং রাতে তোমরা বর্ষ-সংখ্যাও হিসাব করতে পার এবং আমি সবকিছু বিশদভাবে বর্ণনা করছি। এ আয়াত থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, আল্লাহ তা’য়ালা অনুগ্রহস্বরূপ তাঁর বান্দাদের সাল গণনা ও অন্যান্য হিসাব-নিকাশের দিন-রাতকে সৃষ্টি করেছেন।
রাসূল সা: এর স্মৃতিচারণ : হিজরী সাল গণনা করা হয় রাসূল সা: এর হিজরতের সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ফলে হিজরী সন ব্যবহার ও গণনার ফলে রাসূল সা: ও আবু বকর (রা:) সেই হিজরতের ঘটনা মুসলিম হৃদয়ে বার বার দোলা দেয়।
ইবাদত-বন্দেগী আদায় : ইসলামের অধিকাংশ ইবাদত-বন্দেগী যেমন: রোযা, হজ্জ, কুরবানী, শবে-কদর, শবে বরাত, আশুরা ইত্যাদি ইবাদত হিজরী সনের সাথে সম্পর্ক যুক্ত। ফলে হিজরী সনের ব্যবহারের মাধ্যমে সঠিক সময়ে ইবাদত বন্দেগী পালন করে; মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন লাভ করা সম্ভব হয়। এজন্য তাফসীরে মাআ’রেফুল কুরআনে, হিজরী সন তথা চন্দ্র মাস গণকাকে ফরযে-কেফায়া হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। যদি উম্মতের একজনও এর ব্যবহার না করে তাহলে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ গোনাহগার হিসেবে সাব্যস্থ হবে।
খোলাফায়ে রাশেদার অনুকরণ ঃ হিজরী সন হলো উমর (রা:)-এর শাসন আমলে প্রতিষ্ঠিত একটি সুন্নাত। আর রাসূল সা: তাঁর এবং তাঁর খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার জন্য আদেশ করেছেন।
তিনি ইরশাদ করেন- “তোমাদের উচিত আমার সুন্নাত এবং আমার পরবর্তীতে খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা।’’ (মুশকিলুল আসার লিত তহাবী, হাদীস-৯৯৮)
মুসলিম ঐতিহ্যের অনুকরণ ঃ হিজরী সন গণনা ইসলামী সংস্কৃতির অনুসরণ। এজন্য চন্দ্র মাস হিসেবে হিজরী সন গণনা করা মুসলমানদের জন্য কর্তব্য।
ইহুদী ও নাসারাদের বিরোধিতা : হিজরী সন ইসলামী ঐতিহ্যের বাস্তব নমুনা। যা অন্যান্য জাতির ঐতিহ্য বিরোধিতা করতে শেখায়, শেখায় নিজ ঐতিহ্যকে অনুসরণ, অনুকরণ করতে। কেননা রাসূল সা: ইরশাদ করেন-
“সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে অন্যান্য জাতির সাথে সাদৃশ্যতা বজায় রাখে। তোমরা ইহুদী অথবা নাসারাদের সাথে সাদৃশ্য রাখবে না।’’ (জামে তিরমিযী, হাদীস-২৮৯৫)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চন্দ্র মাস গণনা তথা হিজরী সন গণনা করা আল্লাহর বিধান ও মুসলিম ঐতিহ্য অনুসরণ। কাজেই একজন মুসলমান হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ইংরেজী সনের পাশাপাশি হিজরী সনের ব্যবহার করা একান্ত আবশ্যক।’’ (অসমাপ্ত)
লেখক: শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও কলামিষ্ট
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩শ’ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
রাজশাহী মহানগরীতে ঘন কুয়াশা
আবারও ভানুয়াতুতে দ্বীপপুঞ্জে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
হাজীগঞ্জে ভরাট মিঠানিয়া খালের মুখ, হুমকিতে ফসলি জমি
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
‘প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত
ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার
ফ্রেন্ডলি ফায়ার দুর্ঘটনায় লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস
ইরানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী কে, জানেন?
বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত
হাত ফসকে আইফোন পড়ে গেল মন্দিরের দানবাক্সে, ফেরত দিতে অস্বীকৃতি
কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত
সিনেটে প্রার্থী হতে সরে দাঁড়ালেন লারা ট্রাম্প
আমাদেরকে আর স্বৈরাচার হতে দিয়েন না : পার্থ