প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
০২ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৩৭ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম

সৃষ্টিকর্তায় বিশ^াসীদের কাছে কোরআনের এই বর্ণনা খুবই পরিস্কার ও বোধগম্য। কারণ তারা তাঁকে সকল ক্ষমতার উৎস মনে করে। কিন্তু প্রকৃতিবাদী বা নাস্তিক্যমনাদের কাছে এই বর্ণনা অবৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তারা বিশ^জগতের সৃষ্টিসহ এর সকল আয়োজনকে প্রকৃতির খেলা বলে থাকে। এর পেছনে কোনো উদ্ভাবক আছে বলে বিশ^াস করে না। জটিলতা এখানেই। তখন তাদের কাছে প্রশ্ন দাঁড়ায়, প্রাণের সূচনা তাহলে কীভাবে হলো? কোত্থেকে পৃথিবীতে এত প্রাণ এল? এই গুরত্বপূর্ণ প্রশ্নটিই ভাবিয়ে তুলেছিল প্রকৃতিবাদী ব্রিটিশ দার্শনিক চার্লস ডারউইনকেও (১৮০৯-১৮৮২)। একবার সমুদ্র ভ্রমণে গিয়ে বিভিন্ন দ্বীপ দর্শনকালে হঠাৎ তার চোখ আটকে কিছু পাখির ওপর। সেখানে তিনি দেখলেন পাখিদের চঞ্চুগুলো ছোট, বড়, চওরা ইত্যাদি ধরণের। তখন তার মাথায় বিবর্তনবাদের ধারণা জন্মে। আর ভ্রমণ থেকে ফিরেই সে বিষয়ে, ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস’ বা ‘প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি’ নামে একটি বই লিখে ফেলেন। বইটি ১৮৫৯ সালে প্রকাশ পায়। শুরুতে সবমহলের মানুষের কাছে তার বিবর্তনবাদ থিওরি ধিকৃত হয়। পরবর্তী সময়ে প্রাণিদের ফসিল বা জীবাশ্ম আবিষ্কার ও বৈজ্ঞানিকভাবে বিবর্তন একটি প্রমাণিত বাস্তব সত্যÑ থিওরির দোহাই দিয়ে নাস্তিক্যবাদীরা ডারউইনের মতবাদকে স্বাগত জানায়। আজকাল তো এই থিওরির বিশ^াসী ও প্রচারকের অভাব নেই। ডারউইনবাদের মূল কথা হলো, ‘পৃথিবীতে যত প্রাণি আছে সবাই সরল এককোষী জীব থেকে বিবর্তন হয়ে উৎপত্তি লাভ করেছে। সবার পূর্বপুরুষ একজন। আবার একেকটি প্রাণিকে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় জন্ম নিতে লাখ লাখ বছরের ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে।’ মানে দাড়ায়, পৃথিবীর হাজার হাজার প্রজাতির প্রাণির উৎপত্তি লাভ করতে কোটি কোটি বছরের ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে। একটি পুংলিঙ্গের প্রাণি তার স্ত্রীলিঙ্গের সঙ্গী পেতে লাখ লাখ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে! আবার তাদের মতে, পৃথিবীর বয়স ৪৫০ কোটি বছর। প্রাণের সৃষ্টি আরো কোটি কোটি বছর পরে। এখন তাদের কাছে প্রশ্ন দাঁড়ায়Ñ হাজার হাজার প্রজাতির প্রাণির উদ্ভবের জন্য এই সময়টুকু যথেষ্ট কি না? তাদের কেউ কখনো এমন বিবর্তন দেখেছেন কি না? বা কখনো তারা সেটা করে দেখাতে পেরেছেন কি না? এমন বহু অসামাঞ্জস্য তথ্যের বিবর্তনবাদ আজ মানবের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কেড়ে নিতে চায়! যে মানুষ আকৃতিতে সেরা, ভাষায় সেরা, মেধায় সেরা, আহার-পানীয়, বাসস্থানসহ নানান কিছুতে সেরা, তাদেরকে এরা শিম্পাঞ্জির সমগোত্রীয় বলে চরম ধৃষ্টতা দেখায়! ‘আসল কথা হলো, নাস্তিক্যবাদ প্রমাণের জন্য তাদের কাছে শক্তিশালী কোনো প্রমাণ নেই। যে কারণে অনুমানের ভিত্তিতে একটি মতামত দাঁড় করাতে পারলে নিজেদের জাত রক্ষা করা যায়।
পরিশেষে বলব, বিবর্তনবাদ একটি মানবের ধারণা প্রসূত সম্ভাব্য থিওরি। এই থিওরি বিশ^াস করলে কোনো মুসলমান আর মুসলিম থাকতে পারে না। কারণ তা মানলে কোরআনের বহু আয়াত ও ইতিহাস অমান্য করা হয়ে যায়। আল্লাহতায়ালা আমাদের ঈমান হেফাজত করুন!
লেখক: কবি ও কলামিস্ট
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

শেরপুর বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান

বাউফলে কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন

ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত নিয়ে যা বলছে রাশিয়া ও ফ্রান্স
জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লো, কমলো রাফায়েলের

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে নিহত বেড়ে ১৫

ড. ইউনূসের বার্তা পেয়েছেন সউদী যুবরাজ

মধুপুরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দখল করে চলছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কলার হাট

এএসপির লাশের পাশে চিরকুট— ‘বউ যেন সব সোনা নিয়ে যায়’

কুষ্টিয়ায় যুবদল নেতার পুকুরে বিষ দিয়ে অর্ধ কোটি টাকার মাছ নিধন

জামায়াত নেতার মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ

১০ মে 'জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫' উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ বিতরণ

সিংগাইরে গণসংযোগ ও অগ্নিনির্বাপক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত

নুরুল-মাহিদুলের জোড়া শতকে উড়ে গেল নিউজিল্যান্ড ‘এ’

যুদ্ধের মধ্যেও কি ভারত সফর করবেন পুতিন?

নতুন পোপ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, সমবেত হয়েছেন কার্ডিনালরা

পদত্যাগের একদফা দাবীতে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি’র বাসভবনে তালা

গবেষণা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করলো বেক্সিমকো ফার্মা ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

‘সাদা পতাকা উত্তোলন করে পরাজয় স্বীকার করেছে ভারত’

বার্সা আবার ফিরে আসবে: ফ্লিক

রাজশাহীতে ১৫ মে থেকে আম পাড়া শুরু