(পূর্বে প্রকাশিতের পর)

সমাজকল্যাণে পথিকৃৎ নবীজি (সা:)

Daily Inqilab ॥ মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান ॥

১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

রাসূল (সাঃ) দেশের জন্য সমাজের জন্য সারা বিশ্বের জন্য কেমন নেতা ছিলেন তার বর্ণনা আর দিতে চাইনা। শুধু তার সাহাবি বা ভক্তবৃন্দের কিছু অবদানের নমুনা বলতে চাই আর বুঝাতে চাই কেমন নেতার কেমন ভক্ত। নেতার নেতৃত্ব কত নিখুঁত ছিল, কত পবিত্র ছিল, কত অন্তরজয়ী ছিল, তা অতি সহজেই বুঝা যায় তাঁর ভক্তবৃন্দের ভক্তি, ত্যাগ ও তিতিক্ষা থেকে। করুণ কিছু ঘটনার কথা বলছি। কাবা প্রাঙ্গনে বেদুইন আরবের হাতে ইসলামের প্রথম শহীদ কারেসের প্রাণদানে আজও কাবার মাটি যেন ক্রন্দনরত। অবিসিনিয়ার কৃতদাস হযরত বেলালের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে প্রবাদ বাক্যে পরিণত হয়েছে। ইয়াসের ও সোমাইয়ার নির্মম ব্রেত্রাঘাতে প্রাণদান, হযরত খাব্বারের পৃষ্ঠদেশে জলন্ত আগুনের মহা পরীক্ষা ও প্রাণনাশ, হযরত সাফওয়ানের হাতে পায়ে চারিদিকে চারটি বলিষ্ট উট বেঁধে তাদের বিপরীত দিকে ছুটিয়ে দিয়ে দেহটাকে ছিন্নভিন্ন করার ইতিহাস বিশ্বের যেকোনো নির্মম কাহিনীকে ম্লান করে দেয়, নেতার প্রতি কি অচিন্তনীয় আস্থা। অনুরূপ ভাবে হযরত আফলাহার প্রাণ ত্যাগ, জেরিনা নামের সাধ্বী মহিলার চক্ষু দান ও হযরত ওয়ায়েস করনী স্বেচ্ছায় সব দাঁত উঠিয়ে সমগ্র মানব ইতিহাসে নেতার নেতৃত্বের প্রতি এক নজিরবিহীন ঘটনার অবতারণ করেন। এভাবে অসংখ্য ভক্তজন, মালের বিনিময়ে, দেহের বিনিময়ে, প্রাণের বিনিময়ে ও স্ত্রী পুত্র কন্যার বিনিময়ে সম্মান দিয়েছেন তাদের নেতার নেতৃত্বকে। রাসূল (সাঃ) এর চিরশত্রু আবু সুফিয়ান মুক্ত কন্ঠে স্বীকার করেছিল-আল্লাহর কসম, মুহাম্মদ(সাঃ) এর ভক্তবৃন্দ তাঁর প্রতি যে কল্পনাতীত প্রেম ও ভালবাসা পোষণ করে থাকে , জগতের অন্যকোনো জাতির ইতিহাসে তার তুলনা নেই।

সমগ্র জীবনে বিশ্বনবী (সাঃ) নিজের ইচ্ছায় কোনো যুদ্ধে অবতীর্ন হননি। কখনো শত্রুপক্ষ রাসূল (সাঃ) কে সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কখনো দিনের পর দিন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়েছেন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে। কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে, অজ্ঞতার বিরুদ্ধে সিংহ বিক্রমে রুখে দাঁড়িয়েছেন। যখনই তিনি দেখেছেন মানবতার অপমান, মনুষ্যত্ব বিকৃত, সেখানেই তিনি তাঁর চির স্বভাবজাত শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। কোনো সম্রাট হওয়ার জন্য বা কোনো সম্রাজ্য লাভের জন্য নয়। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল দুর্গত মানবতার সেবা, সমাজের কল্যাণ লাভে বিশ্ব স্রষ্টার ইবাদত। এ কাজ করতে তাকে অনেক সময় যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়েছে। যুদ্ধ তাঁর উদ্দেশ্যও ছিল না নেশাও ছিল না। তাঁর নেশা ছিল সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে, তার উদ্দেশ্য ছিল- জাতিগত, বর্ণগত, শ্রেণিগত ও অর্থনৈতিক অবস্থার সকল কৃত্রিম ব্যবধানগুলোর মূলোচ্ছেদ করে সকল শ্রেনীর মানুষের জন্য সমাজের পূর্ণ ব্যবস্থাপনায় সমগ্র মানব জাতিকে দান করা এক অবিকৃত চির বিধান, যার নাম আল কুরআন। এ মহান সাধনায় রাসূল (সাঃ) মাঝে মাঝে বাধ্য হয়েছেন, মরুর মাটি কাপিয়ে দিতে। সেকাজকে আপনারা যুদ্ধ কিংবা জিহাদ যাই বলুন। এক মহা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি ছিলেন আপসহীন আমরণ সংগ্রামী। হ্যা সব কিছুর মুলেই মানুষের মঙ্গল তথা সমাজের কল্যাণ। তিনি সমাজের জন্য এক হাতে সম্রাটের মতো শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন অন্যহাতে মজুরের মতো কায়িক পরিশ্রম করেছেন। একদিকে দাতার নিকট থেকে দান গ্রহন করেছেন, অন্যদিকে তা গরিবের মধ্যে বিতরণ করেছেন। যে হাতে অসহায় দুর্বলকে রক্ষা করেছেন, সে হাতেই অত্যাচারীর বিরুদ্ধে তলোয়ার তুলে নিয়েছেন। আমরা আজ জানি প্রতিটি মানুষেরই শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরী। কিন্তু ১৪০০ বছর আগেই রাসূল (সাঃ) জ্ঞান অর্জন করাকে অবশ্য পালনীয় বলে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিরক্ষর হলেও তার অন্তর ছিল জ্ঞানের আলোকে উদ্ভাসিত। তাঁর অমোঘ শিক্ষা আল্লাহর আলো স্বরূপ এবং জ্ঞানই আলো। জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে কোরআনে আছে-যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন। ( সূরা মুজাদালা :১১) রাসূল (সাঃ) তাঁর উম্মতদের জ্ঞান অর্জন করার জন্য বিশেষভাবে চেষ্টা করেছেন। যাতে তাদের জীবন কলুষমুক্ত হয় এবং তারা উন্নত জীবন পায়। সমাজ থেকে যেন অন্যায় কালিমা মূর্খতা দূর হয়ে যায়। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই তাকে ভয় করে থাকেন। (সূরা ফাতির:২৮)। তাই তাঁর ভাবনা ছিল, উম্মতদের মনে যেন আল্লাহর ভয় থাকে, এবং তারা যেন সঠিক পথেচলে, তাহলে তারা সফলকাম হবে। জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে যাবে। সে কারণেই গুরুত্ব দিয়ে তিনি জ্ঞান অর্জনকে বাধ্যতামূলক করেছেন।

রাসূল (সাঃ) কল্যাণের দিকে সৎ পথের দিকে ডেকেছেন গোটা মানব সমাজকে। তিনি (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সৎ পথের দিকে আহবান জানাবে, সে তাঁর অনুসারীদের সমতুল্য নেকির অধিকারী হবে। (মুসলিম)।

রাসূল (সাঃ) তাঁর উম্মতকে সদকা করতে শিখিয়েছেন। সমাজের জন্য সমাজের মানুষের জন্য উপকার হয় এমন কাজ করতেও শিখিয়ে গেছেন। যেমন সদকায়ে জারিয়ার জন্য গাছ রোপণ করা, পানির জন্য কুপ অথবা টিওবওয়েলের ব্যবস্থা করা, মানুষের উপকার হয় এমন যেকোনো কাজ। রাসূল (সাঃ) বলেছেন- আদম সন্তান যখন মারা যায়, তখন তার তিন প্রকার আমল ছাড়া অন্য সব আমলের দ্বার বন্ধ হয়ে যায়। তা হলো সদকায় জারিয়া(বহমান দান খয়রাত, মসজিদ নির্মাণ করা, কূপ খনন করে দেওয়া ইত্যাদি) অথবা ইলম(জ্ঞান সম্পদ) যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় অথবা সুসন্তান যে তাঁর জন্য নেক দোয়া করতে থাকে।” (মুসলিম) । রাসূল (সাঃ) উচ্চতর জ্ঞানের জন্যও উৎসাহিত করেছেন। তাঁর অনুপম জীবন চরিত ও সমাজ সংস্কারকমূলক কর্মধারা সব মানুষের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এক চিরন্তন আদর্শ। মানব সমাজে শান্তি ও শৃংখলা রক্ষার জন্য রাসূল (সাঃ) এর আর্দশ সঠিকভাবে অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন। প্রখ্যাত দার্শনিক জর্জ বার্নডশ সমস্যা জর্জরিত বর্তমান বিশ্বে সামাজিক শান্তি ও মুক্তির পথ খুঁজতে গিয়ে যথার্থই বলেছেন-মুহাম্মদ (সাঃ) এর মতো কোনো ব্যক্তি যদি আধুনিক জগতের একনায়কত্ব গ্রহণ করতেন, তাহলে কোনো এক উপায়ে তিনি এর সমস্যা সমাধানে সফলকাম হতেন, যা পৃথিবীতে নিয়ে আসতো বহু বাঞ্চিত শান্তি ও সুখ। দিবা-রাত্রির সাধনার ঘর্মাক্ত শরীরে, কঠিন তপস্যায়, কঠোর সাধনায়, অর্ধাহারে, অনাহারে, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, মুত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও, আচারে-বিচারে, মানবতার উৎকর্ষ সাধনে, প্রাণের বিনিময়েও রাসূল (সাঃ) ছিলেন, দুস্থ মানুষের দুর্গত মানবতার দরদী বন্ধু। এক কথায় সমগ্র মানব সমাজের এমন কোনো একটি দিকও নেই, যে দিকটির সময় উপযোগী সুদূর সংস্করণ এই মহা মানবের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। বিদায় হজ্জের দিন তাঁর বিদায় ভাষণে সকল মুসলিম জাতিকে পুনরায় শেষ বারের মতো সাবধান করে দিয়ে গেছেন। এভাবে সমগ্র মানব সমাজে মানব সূর্য হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সারাজীবন সূর্যের মত আলো বিকিরণ করে ৬৩ বছর বয়সে গ্লানিময় সংসারের শ্রেষ্ঠতম সমাজ সংস্কারক, সমাজ সেবক, চির গৌরব রবি, চিরনিদ্রায় অস্তমিত হন।

আসুন আমরা সকলেই আমাদের সকল কাজে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর আদর্শে আদর্শবান হয়ে উঠি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন। (সমাপ্ত)

লেখক- গবেষক, কলামিস্ট, পাঠান পাড়া, (খান বাড়ী) কদমতলী, সদর, সিলেট-৩১১১।


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বড়দিনের ধর্মীয় ইতিহাস ও তাৎপর্য
ইসলামি অর্থনীতির স্বরূপইসলামি অর্থনীতির স্বরূপ
হাজারো পীর-আউলিয়ার শিরোভূষণ সৈয়দ সুফি ফতেহ আলী ওয়াইসি (র.)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ঘুষ : দেয়া-নেয়া দুটিই অপরাধ
আরও

আরও পড়ুন

রেমিট্যান্সে সুবাতাস: ডিসেম্বরের ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার

রেমিট্যান্সে সুবাতাস: ডিসেম্বরের ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার

প্রশাসন ক্যাডারের ‘ইয়াং অফিসার্স’ ফোরামের সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক জয়

প্রশাসন ক্যাডারের ‘ইয়াং অফিসার্স’ ফোরামের সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক জয়

“ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’”

“ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’”

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ছাত্র জনতার  বিজয়কে নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না

রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ছাত্র জনতার বিজয়কে নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না

বিপিএল মিউজিক ফেস্ট: যান চলাচলে যে নির্দেশনা ডিএমপির

বিপিএল মিউজিক ফেস্ট: যান চলাচলে যে নির্দেশনা ডিএমপির

গাজীপুরের শ্রীপুরে মেঘনা গ্রুপের একটি বাটন তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

গাজীপুরের শ্রীপুরে মেঘনা গ্রুপের একটি বাটন তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সোনারগাঁওয়ে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত

সোনারগাঁওয়ে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত

আনজার গ্রুপের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকদের সংবর্ধনা

আনজার গ্রুপের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকদের সংবর্ধনা

মির্জাপুরে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেয়ায় জনদুর্ভোগ এলাকাবাসির মানববন্ধন

মির্জাপুরে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেয়ায় জনদুর্ভোগ এলাকাবাসির মানববন্ধন

মেধা বৃত্তির ফলাফল ঘোষণা করলো উষা

মেধা বৃত্তির ফলাফল ঘোষণা করলো উষা

পাহাড় কাটা, বায়ুদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জোরদার করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পাহাড় কাটা, বায়ুদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জোরদার করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ফুলপুরে অবৈধ ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, এক লাখ টাকা জরিমানা

ফুলপুরে অবৈধ ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, এক লাখ টাকা জরিমানা

মিরপুরে বেড়েছে চুরি ছিনতাই

মিরপুরে বেড়েছে চুরি ছিনতাই

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা ফখরুল

পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা ফখরুল

মাগুরায় দলকে গতিশীল করতে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মাগুরায় দলকে গতিশীল করতে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজারে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু, জিরো লাইন থেকে লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু, জিরো লাইন থেকে লাশ উদ্ধার

মাদারীপুরে ভুয়া সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জনতা

মাদারীপুরে ভুয়া সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জনতা

সেনবাগে ট্রাক্টর চাপায় ১ শিশু মৃত্যু : আহত ১

সেনবাগে ট্রাক্টর চাপায় ১ শিশু মৃত্যু : আহত ১