কেয়ামত কীভাবে সংঘটিত হবে?
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ এএম
এরপর তোমাদের চোখ দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হবে। এরপর তোমাদের দেহ থেকে এত পরিমাণ ঘাম নির্গত হবে যা তোমাদের মুখ বা থুতনি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তোমরা চিৎকার করে বলতে থাকবে, আমাদের পালনকর্তার সামনে আমাদের জন্য কে সুপারিশ করবে, যেন আল্লাহ তায়ালা আমাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেন? এরপর লোকেরা পরস্পরের মধ্যে বলবে, তোমাদের পিতা ছাড়া এই সুপারিশের যোগ্য আর কে হতে পারে? আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে নিজের পক্ষ থেকে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছেন ও সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেমতে লোকেরা হযরত আদম আলাইহিস সালামের কাছে যাবে এবং তার কাছে সুপারিশ করার আবেদন জানাবে। কিন্তু তিনি সুপারিশ করতে অস্বীকার করে বলবেন, আমি এর যোগ্য নই। এরপর লোকেরা একেক জন করে বহু নবীর কাছে যাবে। তারা যে নবীর কাছেই যাবে তিনিই সুপারিশ করতে অস্বীকার করবেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শেষ পর্যন্ত লোকেরা আমার কাছে আসবে। আমি সুপারিশ করার জন্য তাদের সঙ্গে চলতে চলতে মাকামে ফাহসে গিয়ে সেজদাবনত হব। হযরত আবু হুরায়রা রা. আরজ করেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাকামে ফাহস কী? মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আরশের সামনের স্থানকে মাকামে ফাহস বলা হয়। এ সময় আল্লাহ তায়ালা একজন ফেরেশতাকে পাঠাবেন যিনি আমার বাহু ধরে বলবেন, হে মুহাম্মাদ! আমি আরজ করব, হে আমার পালনকর্তা! আমি উপস্থিত। আল্লাহ তাআলা জানা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসা করবেন, ব্যাপার কী? কেন এসেছেন? আমি আরজ করব, হে আল্লাহ! আপনি আমার সঙ্গে শাফায়াতের অঙ্গীকার করেছিলেন এবং নিজের সৃষ্টির ব্যাপারে শাফায়াত করার অধিকার দিয়েছিলেন। অতএব, হে আল্লাহ! আপনি লোকদের মধ্যে ফায়সালা শুরু করুন! আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমি আপনার সুপারিশ কবুল করলাম। এখনই লোকদের মধ্যে ফায়সালা শুরু করছি। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এরপর আমি লোকদের মাঝে এসে অবস্থান করতে থাকব। এ সময় সহসা আসমান থেকে একটি শক্ত আওয়াজ শোনা যাবে এবং প্রথম আসমানের ফেরেশতারা জমিনে থাকা জিন ও মানুষদের কাছে অবতীর্ণ হবে। যখন তারা পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছবে তখন পৃথিবীর তাদের আলো দ্বারা আলোকিত হয়ে উঠবে। ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতরণ করে কাতারবন্দি হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করব, আমাদের পালনকর্তা কি তোমাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন? তারা বলবে, না, তিনি এখনই শুভাগমন করবেন। এরপর প্রতিটি আসমানের ফেরেশতা দ্বিগুণ আকারে এভাবেই পৃথিবীতে অবতরণ করবে। এরপর আল্লাহ তায়ালা মেঘমালার ছায়ায় ফেরেশতাদের মধ্যে অবতরণ করবেন। কুরআন শরিফে এসেছে, ‘ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে এবং সেই দিন আটজন ফেরেশতা তোমার প্রতিপালকের আরশকে ধারণ করবে তাদের ঊর্ধ্বে।’ (সূরা হাক্কাহ, আয়াত: ১৭)আরশ বহনকারী ফেরেশতা বর্তমানে চার জন। তাদের পা জমিনের নিচে এবং আসমান ও জমিন তাদের কোমরের উপর। আরশ তাদের কাঁধের উপর রয়েছে। আরশ বহনকারী ফেরেশতারা জোরে জোরে তাসবিহ পাঠ করে। এরপর মহান আল্লাহ যেখানে চাইবেন তার কুরসি স্থাপন করবেন। এরপর উচ্চাওয়াজে ঘোষণা করবেন, হে মানুষ ও জিন সম্প্রদায়! আমি যেদিন থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছি সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত তোমাদের জন্য চুপ রয়েছি। তোমাদের কথা শুনেছি এবং তোমাদের কর্ম দেখেছি। এখন তোমরা চুপ করে আমার কথা শোনো! এই হলো তোমাদের আমলনামা! তোমরা নিজেরাই একে পড়। যে নিজের আমলনামায় কল্যাণ দেখতে পাবে সে যেন আল্লাহর শোকর আদায় করে। আর যে তার মধ্যে অকল্যাণ দেখতে পাবে সে যেন নিজেকে ছাড়া আর কাউকে তিরস্কার না করে। এরপর আল্লাহ তাআলা জাহান্নামকে নির্দেশ দেবেন, তখন তা হতে উচ্চাওয়াজ সম্পন্ন একটি অন্ধকার গর্দান বের হবে। সে সময় আল্লাহ তায়ালা আদেশ দেবেন, ‘আর ‘হে অপরাধীরা! তোমরা আজ পৃথক হয়ে যাও। হে বনি আদম! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দিই নি যে, তোমরা শয়তানের দাসত্ব কর না, কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?’ (সুর ইয়াসীন, আয়াত: ৬০) এভাবে আল্লাহ তায়ালা অপরাধীদেরকে পৃথক করে দেবেন। তখন তাদেরকে যেমন দেখা যাবে সে ব্যাপারে মহাগ্রন্থ আল কুরআনে এসেছে, ‘এবং তুমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে দেখবে ভয়ে নতজানু, প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তার আমলনামার প্রতি আহ্বান করা হবে ও বলা হবে, ‘আজ তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেওয়া হবে যা তোমরা করতে।’ (সুরা জাছিয়াহ, আয়াত: ২৮)
এরপর আল্লাহ তায়ালা জিন ও মানুষ ছাড়া অন্যান্য সৃষ্টির মধ্যে ফায়সালা করবেন। বন্য জন্তু ও হিংস্র জানোয়ারদের মধ্যে ফায়সালা করবেন। এমনকি শিংবিহীন জন্তুদের প্রতিশোধ শিংবিশিষ্ট জন্তুদের মাধ্যমে নেওয়া হবে। যখন আল্লাহ জন্তু-জানোয়ারদের বিচার নিষ্পন্ন করবেন ও জীব-জানোয়ারের বিচারের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না তখন আল্লাহ তাআলা সব জন্তুর ব্যাপারে নির্দেশ দেবেন, তোমরা মাটি হয়ে যাও। সঙ্গে সঙ্গে তারা মাটি হয়ে যাবে। এ সময় কাফেররা আকাক্সক্ষা করবে, হায়! আমরাও যদি মাটি হয়ে যেতাম! এ সম্পর্কে কুরআন শরিফে এসেছে, অর্থাৎ, ‘সেই দিন মানুষ তার কৃতকর্ম প্রত্যক্ষ করবে এবং কাফের বলবে, ‘হায়, আমি যদি মাটি হতাম!’ (সুরা নাবা, আয়াত: ৪০)
এরপর আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের মধ্যে ফায়সালা শুরু করবেন। সর্বপ্রথম রক্তের ফায়সালা করা হবে। জিহাদে হত্যা করা হয়েছে এমন কাফেরদেরকে আল্লাহ তায়ালার সামনে পেশ করা হবে। মহান আল্লাহ নির্দেশ দিলে তারা মাথা উত্তোলন করে আল্লাহ তায়ালার সামনে উপস্থিত হবে। তাদের ধমনিসমূহ থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। নিহত কাফের আর্তনাদ করে বলবে, হে আল্লাহ! এই মুজাহিদ আমাকে কেন হত্যা করেছিল? মহান আল্লাহ খুব ভালোভাবে জানা সত্ত্বেও মুজাহিদের কাছে জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি তাকে কেন হত্যা করেছিলে? মুজাহিদ আরজ করবেন, হে আল্লাহ! আমি তাকে এজন্য হত্যা করেছিলাম; যেন আপনার দ্বীন প্রবল হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি সত্য বলেছ। এরপর আল্লাহ এই মুজাহিদের চেহারা সূর্যের মতো আলোকিত করে দেবেন ও ফেরেশতা তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। এরপর আল্লাহ তায়ালা সেই নিহত ব্যক্তিদের নির্দেশ দেবেন যাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তখন তারাও মাথা উত্তোলন করে আল্লাহ তায়ালার দরবারে উপস্থিত হবে। তাদের ধমনি থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। এরপর অন্যায়ভাবে নিহত ব্যক্তি আরজ করবে, হে আল্লাহ! অমুক আমাকে কেন হত্যা করেছিল? জানা সত্ত্বেও আল্লাহ তায়ালা হত্যাকারীকে জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি তাকে কেন হত্যা করেছিলে? সে বলবে, আমি তাকে এজন্য হত্যা করেছিলাম যেন আমার সম্মান ও প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিস। এরপর প্রতিশোধ হিসেবে নিহত ব্যক্তির হত্যাকারীকে হত্যা করা হবে এবং সব জুলুমের বদলা নেওয়া হবে। এরপর এটা আল্লাহর ইচ্ছায় থাকবে যে, তিনি যদি চান, তাহলে তাকে আজাবে নিক্ষেপ করবেন অথবা তার উপর দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা তার অবশিষ্ট সৃষ্টির মধ্যে ফায়সালা করবেন। এমন কোন জুলুম বাকি থাকবে না যার বিচার করা হবে না। প্রত্যেক জালেমের কাছ থেকে মাজলুমের হিসাব নেওয়া হবে। আর দুধের সঙ্গে পানি মিশ্রণকারীকে নির্দেশ দেওয়া হবে, তুমি দুধকে পানি হতে আলাদা করো। এ কথা বলার পর এক ঘোষক ঘোষণা করবে যা সৃষ্টির সকলেই শুনতে পাবে। ঘোষণাকারী বলবে, প্রত্যেক সম্প্রদায় আল্লাহকে ছেড়ে যেসব উপাস্যের উপাসনা করতো তারা তাদের উপাস্যদের সঙ্গে মিলিত হয়ে যাও। সে মতে প্রতিটি ব্যক্তির সামনে তার সেই উপাস্যের আকৃতি বানিয়ে দেওয়া হবে যার উপাসনা সে করতো। একজন ফেরেশতাকে হযরত উজাইর আলাইহিস সালামের আকৃতি দেওয়া হবে এবং অন্য একজন ফেরেশতাকে হযরত ঈসা ইবনে মারিয়াম আলাইহিস সালামের আকৃতি প্রদান করা হবে। ফলে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা এই দুজনের পেছনে চলতে থাকবে। এরপর এই উপাস্যরা তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি এরা ইলাহ হত তবে এরা জাহান্নামে প্রবেশ করত না; এদের সকলেই এতে স্থায়ী হবে।’ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৯৯)
এরপর যখন কেউ বেঁচে থাকবে না তখন কেবল মুমিনগণ রয়ে যাবেন। অবশ্য মুমিনদের মধ্যে কিছু মুনাফিকও থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদের সামনে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে আত্মপ্রকাশ করে বলবেন, লোকসকল! সবাই চলে গিয়েছে। তোমরাও যে উপাস্যদের উপাসনা করতে তাদের সঙ্গে চলে যাও। তারা আরজ করবে, আল্লাহর কসম! মহান আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোন উপাস্য নেই। আমরা আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কারো ইবাদত করতাম না। এরপর আল্লাহ তায়ালা নিজের মোবারক পায়ের নলা হতে পর্দা সরিয়ে মুমিনদের উপর নিজের মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের উদ্ভাস ঘটাবেন। এর দ্বারা লোকেরা চিনতে পারবে, তিনিই তাদের পালনকর্তা। মুমিনগণ এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে সেজদাবনত হয়ে যাবে। আর মুনাফিকরা উল্টো হয়ে পড়ে যাবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাদের পিঠগুলোকে ষাঁড়ের শিং-এর মতো শক্ত করে দেবেন। আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে নির্দেশ দিলে তারা মাথা উঠাবে। এরপর আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের উপর পুলসিরাত স্থাপন করবেন যা চুলের চেয়েও চিকন ও তলোয়ারের চেয়েও ধারালো হবে। এর উপর লোহার তীক্ষè শলাকা ও সুচালো বক্র পেরেক কাঁটার মতো থাকবে। এছাড়া একটি পিচ্ছিল সেতু থাকবে যার উপর দিয়ে কতক মুমিন বিদ্যুতের গতিতে পার হয়ে যাবে। কেউ বাতাসের গতিতে, কেউবা দ্রুতগামী অশ্বের গতিতে আবার কেউ ভালো বাহনের গতিতে সেতুটি অতিক্রম করবে। কেউ নিরাপদে মুক্তি পাবে। কেউ আঘাত খেয়ে পরিত্রাণ পাবে। আবার কেউ ক্ষতবিক্ষত হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। (চলবে)
ভাষান্তর: আবদুল কাইয়ুম শেখ, শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ, চকবাজার, ঢাকা-১২১১।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
রেমিট্যান্সে সুবাতাস: ডিসেম্বরের ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার
প্রশাসন ক্যাডারের ‘ইয়াং অফিসার্স’ ফোরামের সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক জয়
ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ’র উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ছাত্র জনতার বিজয়কে নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না
বিপিএল মিউজিক ফেস্ট: যান চলাচলে যে নির্দেশনা ডিএমপির
গাজীপুরের শ্রীপুরে মেঘনা গ্রুপের একটি বাটন তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
সোনারগাঁওয়ে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত
আনজার গ্রুপের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠকদের সংবর্ধনা
মির্জাপুরে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেয়ায় জনদুর্ভোগ এলাকাবাসির মানববন্ধন
মেধা বৃত্তির ফলাফল ঘোষণা করলো উষা
পাহাড় কাটা, বায়ুদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জোরদার করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ফুলপুরে অবৈধ ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, এক লাখ টাকা জরিমানা
মিরপুরে বেড়েছে চুরি ছিনতাই
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন