শ্রমিকরা কেমন আছে
৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫৫ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:০৯ এএম
বিশ্বায়নে শ্রমিকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশ্বায়নে টিকতে না পেরে বহু কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে অসংখ্য শ্রমিক কর্ম হারিয়েছে। করোনা মহামারিতে শ্রমিকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই মরণব্যাধি মোকাবেলায় দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে মানুষের জীবন ও জীবিকা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈশ্বিক মহামন্দা সৃষ্টি হয়ে অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে, যার সর্বাধিক শিকার হয়েছে শ্রমিকরা। কোটি কোটি শ্রমিক কর্ম হারিয়ে দরিদ্র হয়েছে। ফলে বৈশ্বিক দারিদ্র্য বেড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পণ্যমূল্য আকাশচুম্বী হয়েছে! শ্রমিকের ঘরে ঘরে চলছে চরম হাহাকার! গত সেপ্টেম্বরে ২৩৮টি এনজিও সম্মিলিতভাবে এক খোলা চিঠিতে বলেছে, বিশ্বে প্রতি চার সেকেন্ডে একজন মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ এখন তীব্রভাবে ক্ষুধার্ত, যা ২০১৯ সালের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি। চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে ক্ষুধা সংকট থেকে জীবন বাঁচানোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে শ্রমিক বেশি। আইএমএফ’র এমডি গত ৬ এপ্রিল বলেছেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিতে ক্রমাগত মন্দার কারণে এই বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি তিন শতাংশের নিচে নেমে আসবে! আগামী পাঁচ বছরও এর আশপাশেই থাকবে। তাই বিশ্বের সর্বত্রই শ্রমিকদের বেতন কমানো ও ছাঁটাই চলছে! এর আগে শ্রমিকরা সংকটে পড়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে। ২০২১ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধ মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বছরে বিশ্বে গড়ে ২২,৮০০ কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য ২৮-৩১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
হালে প্রযুক্তির ব্যবহার বাপক বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাচ্ছে। গত বছর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলেছে, ‘২০২৫ সালের মধ্যে যন্ত্রের কাছে চাকরি হারাবে প্রতি ১০ জনের ৬ জন। তখন কর্মস্থলে মানুষ ও মেশিন প্রায় সমান কাজ করবে’। অন্য এক তথ্য মতে, ‘২০৩০ সাল নাগাদ ৮০ কোটি শ্রমিক কর্ম হারাবে প্রযুক্তির কারণে’। তবুও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা অব্যাহত আছে। যার অন্যতম হচ্ছে, এআই ও এআই চালিত চ্যাট জিপিটি। এসবের ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাপী। ফলে শ্রমিকের ললাটে মহা দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। গত মার্চে চ্যাটজিপিটির আবিষ্কারক ওপেনএআই বলেছে, এআই ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৮০% কর্মসংস্থান দখল করে নেবে। গোল্ডম্যান স্যাকস বলেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ৩০ কোটি চাকরির জায়গা নিয়ে নিতে পারে।কারণ,এআইয়ের প্রভাবে বিভিন্ন সেক্টরে পরিবর্তন আসবে, যেখানে প্রশাসনিক খাতের ৪৬%, আইনি পেশার ৪৪% নির্মাণ খাতে ৬% ও রক্ষণাবেক্ষণ ভিত্তিক খাতে ৪% ভূমিকা রাখবে এআই। টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক সম্প্রতি বলেছেন, মানব সভ্যতা ধ্বংস করার মতো ক্ষমতা রয়েছে এআইয়ের। তবুও তিনি ‘ট্রুথজিপিটি’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থাৎ মানুষের প্রয়োজনীয়তা শেষ কিংবা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ হবে না। বরং বাড়তে বাড়তে বিশ্ব প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়বে। ফলে শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের শ্রমিকের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। দেশের ভারী শিল্পের বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে শ্রমিকরা বেকার হয়ে রয়েছে অনেক দিন যাবত। অনেক গার্মেন্ট বন্ধ হয়েছে পরিবেশ রক্ষার যাচাইয়ের কারণে। উপরন্তু বর্তমানে বৈশ্বিক মহামন্দার কারণে গার্মেন্টের অর্ডার ও মূল্য অনেক কমে গেছে। সানেম বলেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৬০% গার্মেন্ট শ্রমিক ছাঁটাই হবে শুধু অটোমেশনের কারণে। তাই গার্মেন্ট খাতের শ্রমিকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া, যেসব শ্রমিক-কর্মচারী এখনো কর্মরত রয়েছে, তাদের অবস্থাও ভালো নয়। গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ‘বিশ্বে অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ক্ষেত্রে চতুর্থ, পেনশনের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ ও বেতন কাঠামোর ক্ষেত্রে নবম’। তবুও নতুন পে-স্কেল ও মজুরী দেবে না বলে জনিয়ে দিয়েছে সরকার। অথচ, এসবের সময়কাল ৮ বছর চলছে। ৫ বছর পরপর এসব প্রদানের নিয়ম রয়েছে। তাই ২০% মহার্ঘ ভাতা প্রদানের কথা শোনা যাচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। অবশ্য, গার্মেন্ট শ্রমিকের জন্য নতুন মজুরী বোর্ড গঠন করা হয়েছে গত ১১ এপ্রিল। সংশ্লিষ্ট শ্রমিক নেতারা নি¤œতর বেতন ২২ হাজার টাকা দাবি করেছে। অন্যদিকে, কর্মস্থলে দুর্ঘটনার শিকার হলেও শ্রমিকরা তার উপযুক্ত চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ পায় না। রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর পূর্ণ হলেও এখনো অনেকেই ক্ষতিপূরণ পায়নি, কর্ম হারানোরা বেকার রয়েছে, বিচারও হয়নি। সম্প্রতি সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি জানিয়েছে, দেশে গত ১০ বছরে কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানির শিকার হয়েছে ৫,৬১২ জন শ্রমিক। আইনমন্ত্রী বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রত্যেক শ্রমিকের আইনগত অধিকার।
অপরদিকে, দেশের বেসরকারি খাতের বেশিরভাগ শ্রমিক অসংগঠিত। গৃহকর্মীরা এখনো শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি, যার অধিকাংশ নারী। প্রবাসী শ্রমিকরাও ঠিকমতো মূল্যায়ন পায় না। বেসরকারি খাতে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে, তাও মালিকের পকেটস্থ। বেশিরভাগ নেতা অশ্রমিক। উপরন্তু ব্যতিক্রম কিছু হলেই চাকরিচ্যুতি, হামলা, মামলা নির্ঘাত। ঢাকাস্থ আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশে গত এক দশকে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশ উন্নতি হয়েছে। কিন্তু শ্রম অধিকারের বিষয়টি এখনও পিছিয়েই আছে। আইএলও যেভাবে পরামর্শ দেয় সে অনুযায়ী শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। অন্যদিক, বেসরকারি খাতের বেশিরভাগ শ্রমিক নিয়োগ পত্র পায় না। তাই চাকরির অবসানোত্তর কোনো বেনিফিট পায় না। উপরন্তু মাসিক বেতনও নিয়মিত পায় না। তাই বেতনের জন্য তাদের প্রায়-ই আন্দোলন করতে হয়। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও দেশে এখন ৪২ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে। তন্মধ্যে ৩০ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। অবশ্য, দেশে সরকারি খাতে শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা খুব কল্যাণকর নয়। কারণ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে অনেক সংগঠন, যার বেশিরভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট। তাদের মধ্যে সরকারি দল বড় ও শক্তিশালী হয় সব সময়। ফলে তারা শ্রমিকের কল্যাণ করার চেয়ে দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই ব্যস্ত থাকে বেশি। আন্তঃইউনিয়ন কোন্দল, হয়রানি, হানাহানি, মামলা, চাকরিচ্যুতি ইত্যাদিও ব্যাপক। দুর্নীতি, অনিয়ম ও কাজ না করার অভিযোগও রয়েছে বেশিরভাগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
দেশের শ্রমিকের অবস্থা চরম খারাপ হলেও শ্রমিক আন্দোলন নেই। অথচ, স্কপের মাধ্যমে বহুবার শক্তিশালী আন্দোলন হয়েছে। মালিক-সরকার সর্বদা তটস্থ থাকতো। ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য হতো। কিন্তু সেই স্কপের কোন কর্মসূচি এখন নেই। তাই দেশের শ্রমিকরা দুর্দশা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি, দেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলেও সেই উন্নতির বিন্দুমাত্রও জোটেনি শ্রমিকের ভাগ্যে। সবটুকুই ভোগ করছে ধনীরা। ফলে আয় বৈষম্য বেড়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে! সানেম গত ২৯ মার্চ এক জরিপ তথ্য জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতির চাপে দেশের প্রায় ৭৪% নি¤œ-আয়ের পরিবার ধার করে চলছে, যার অধিকাংশই শ্রমিক। বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার গত ২ এপ্রিল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘শ্রমিকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে ভালো বেতনে চাকরি করা মানুষেরই নাভিশ্বাস উঠেছে। সেখানে ৮ হাজার টাকা বেতন পাওয়া শ্রমিক জীবন চালাবেন কীভাবে?’
শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হবে শ্রমিকদেরকেই। অন্য কেউ তা করে দেবে না। এটাই বাস্তবতা। তাই দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সব শ্রমিককে অরাজনৈতিক এক মঞ্চে শামিল হতে হবে। সব অসংগঠিত শ্রমিককে সংগঠিত করতে হবে। সর্বোপরি সকলকেই রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি ছিন্ন করতে হবে। এছাড়া, সব শ্রমিককে প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও শ্রমিকদের দক্ষতা অর্জন করা দরকার। নতুবা এ ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি ও শোষণ ধরা সম্ভব নয়। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্যও শ্রমিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দরকার। সর্বোপরি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপোসহীন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে এবং গণতান্ত্রিকভাবে শক্তিশালী আন্দোলন করতে হবে, যার নি¤œতম দাবি হবে: সব শ্রমিককে নিয়োগপত্র ও পেনশন প্রদান, আইএলও’র শোভন মজুরী ২৪২ মার্কিন ডলার সমান জাতীয় নি¤œতম মজুরী নির্ধারণ, নতুন পে স্কেল ও মজুরী কমিশন ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, চাকরিচ্যুতি বন্ধ, নিয়মিত মজুরী প্রদান, সর্বত্রই নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত, সব বন্ধ কল-কারখানা চালু, শিশুশ্রম বন্ধ, সব শ্রমিকের আবাসন, ফ্রি মেডিক্যাল, নিত্যপণ্যের স্থায়ী রেশনিং চালু ও ডাটা বেস তৈরি ইত্যাদি।
এসব নিয়ে মাঠে নামলেই স্বল্প দিনের মধ্যেই সর্বাধিক শক্তিতে পরিণত হবে শ্রমিকরা। তখন মালিক-সরকার উপেক্ষা করার সাহস পাবে না। ন্যায্য দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে। তাই সব শ্রমিককে এক মঞ্চে সমবেত হওয়া এবং শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলাই হোক এ বছরের মহান মে দিবসের অঙ্গীকার।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান