সংঘাত-সংঘর্ষের পথেই কি রাজনীতি?
০৩ জুন ২০২৩, ০৭:৩৭ পিএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩, ০১:০৩ এএম
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আরো কয়েক মাস বাকি। ইতোমধ্যে ওই নির্বাচন নিয়ে দেশে এবং বিদেশে যত জল্পনা-কল্পনা এবং গবেষণা হয়েছে তেমনটি মনে হয় আগের কোনো নির্বাচনের সময় দেখা যায়নি। এমনকি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন চরম বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও এবারের মতো এত অগ্রিম জল্পনা-কল্পনা দেখা যায়নি। মনে হয়, এই তুমুল জল্পনা-কল্পনার পেছনে সংগত কারণও রয়েছে। এখন থেকে বেশ কয়েক মাস আগে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ঘোষণা করে যে, তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। তারা আরো দাবি করে যে, নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকার বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। এই দাবি উত্থাপনের পর বিএনপি সমমনা মিত্র খোঁজা শুরু করে। ছোট-বড় এমনকি নাম সর্বস্ব দল নির্বিশেষে এ পর্যন্ত ৫৯টি দল বিএনপির এই দাবিকে সমর্থন করেছে। শুধু তাই নয়, এসব দলের মধ্যে মধ্য বামের ৬টি দল গণতন্ত্র মঞ্চ নামক একটি জোট গঠন করেছে। এছাড়া দক্ষিণ পন্থী ১২টি দল আরেকটি জোট গঠন করেছে। এই দুইটি জোটই বিএনপির সঙ্গী হয়ে নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
গত অক্টোবর মাস থেকে বিএনপি গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। ৮টি বিভাগীয় শহরে তারা যে জনসভা করেছে সেগুলোকে এক কথায় বলা যায় ঐতিহাসিক। লক্ষ লক্ষ মানুষ অঘোষিত হরতালসহ সরকারের নানান রকম প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে এসব জনসভায় যোগ দিয়েছে। এসব জনসভার প্রতিটিতে শুধুমাত্র নেতাকর্মী নয়, আওয়াম জনতার বিপুল যোগদান প্রমাণ করেছে যে, জনগণ একটি পরিবর্তন চায়। তারপর থেকে বিএনপি তার রাজপথের কর্মসূচি চালিয়েই যাচ্ছে এবং তার মিত্ররাও একই দিনে একই সময়ে একই দাবিতে আলাদা আলাদা মঞ্চ থেকে তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সভা ও মিছিল করছে।
বিএনপির এই জনসংযোগ ৮ মাস হলো চলছে। এই ৮ মাস ধরেই সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যায় যোগ দিচ্ছে। এখন শিক্ষিত মানুষের মনে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেটি হলো, বিএনপি তথা সবগুলো বিরোধী দল প্রধান যে দাবিটি করছে সেটি হলো, এই সরকারের পদত্যাগ। কারণ এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। তাহলে কিভাবে তারা সরকারের পদত্যাগ আদায় করবে?
এবার চিত্রের অপর পিঠ। আওয়ামী লীগও বিএনপির দাবির পাল্টা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে যে, তারা বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন করবে। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন করার অর্থ হলো সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অধীনে নির্বাচন করা, যেখানে নির্বাচনকালে এই সরকার থাকবে, সংসদ থাকবে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনও থাকবে। তাদের সাফ জবাব, নির্বাচনে অন্য কেউ আসুক আর না আসুক, তারা সংবিধানে বর্ণিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন করবে। অন্য কথায়, তারা বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিটি পত্র পাঠ নাকচ করেছে এবং এখনও প্রতিদিন তাদের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে। এই অবস্থাতে বিএনপির দাবি পূরণ হওয়া কীভাবে সম্ভব?
॥দুই॥
এবার চিত্রের আরেকটি পিঠ। সেটি হলো আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তখন আওয়ামী লীগের পেছনে ভারতের সমর্থন ছিল স্পষ্ট এবং প্রকাশ্য। ২০১৪ সালে তৎকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের ভূমিকার কথা সকলেই জানেন। এই দুই নির্বাচনের সময় আমেরিকা নাক গলায়নি। তারা তখন জঙ্গিবাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আওয়ামী লীগ তাদের বিরোধী দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীকে মৌলবাদী এবং ইসলামী জঙ্গিবাদের সমর্থক হিসেবে আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশে^র কাছে সফলভাবে চিত্রায়িত করতে সমর্থ হয়েছিল। তাই দেখা যায় যে, ২০১৪’র নির্বাচন নিয়ে যখন দেশে বিদেশে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয় তখন আওয়ামী লীগ সরকার বলেছিল যে এ নির্বাচনটি ছিল সংবিধানের নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। তারা ৬ মাসের মধ্যেই নতুন করে নির্বাচন করবে। তারপর ৫ বছর পার হয়ে গেছে। আওয়ামী সরকার কোনো নির্বাচন করেনি এবং আন্তর্জাতিক মহলও সরকারের সেই ওয়াদা নিয়ে আর চাপাচাপি করেনি।
২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল আরো বিতর্কিত। আমেরিকা এবং ইউরোপ তো বটেই, জাপানের মতো দেশও বলেছে যে, দিনের ভোট রাতে হয় এমন ঘটনা তারা বিশে^র আর কোনো দেশে দেখেননি। এমন একটি ঘটনা ঘটার পরেও এই সরকারকে পৃথিবীর সমস্ত বৃহৎ শক্তি এবং মহল মেনে নিয়েছিল। ২০১৮ সালে আরেকটি ঘটনা ঘটে। নির্বাচন এমন তীব্র বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের প্রতি চীন পূর্ণ সমর্থন জানায়। সেই থেকে এই সরকার যুগপৎ চীন এবং ভারতের সমর্থন পেয়ে আসছে এবং আজও এই দুইটি দেশ এই সরকারকে সমর্থন করে যাচ্ছে।
ব্যতিক্রম ঘটেছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য মার্কিনপন্থী দেশের বেলায়। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেন। আমেরিকা অবৈধভাবে জোর খাটিয়ে আফগানিস্তান দখল করে রেখেছিল। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইরাক থেকেও বলতে গেলে সৈন্য প্রত্যাহার করেছেন। এখন ইরাকে যা আছে, সেটি হলো প্রতীকি উপস্থিতি। সোজা কথা, বিগত ৫০ বছর ধরে আমেরিকা যে বিদেশ নীতি অনুসরণ করে আসছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেখানে ৩৬০ ডিগ্রি পরিবর্তন সাধন করেন। মধ্য প্রাচ্যের বদলে আমেরিকা এশিয়ায় বিশেষ করে চীনকে মোকাবেলা করার দিকে বিশেষ মনোযোগী হন। মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিশ^ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ স্থানান্তরিত হয় দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে। বাইডেন প্রশাসনের ঘোষিত নীতি হয় এই যে, এখন থেকে তারা গণতান্ত্রিক বিশে^র সাথে মিত্রতা করবে। তাই তাদের পররাষ্ট্র নীতির কর্নারস্টোন হয় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন। মার্কিন প্রশাসনের চোখে বাংলাদেশ বিবেচিত হয় একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা হিসেবে, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং দুর্নীতি চলছে। এ কারণেই আমেরিকা ২০১০ সালে পৃথিবীর ১০০টিরও বেশি দেশ নিয়ে যে গণতন্ত্র সম্মেলন করে সেখানে বাংলাদেশকে বাদ দেয়। এবারও ২০২৩ সালের মার্চ মাসেও আবার শতাধিক দেশ নিয়ে যে দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলন হয় সেখানেও বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়। এছাড়া ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর পুলিশের ডিআইজি ও র্যাবের কর্মকর্তা সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ জন সিনিয়র কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাবের ওপর স্যাংশন জারি করে।
বিগত ৫ মাস হলো আমেরিকার সাথে বাংলাদেশ অনেক দেন দরবার করেছে। কিন্তু আমেরিকা স্যাংশন ওঠায়নি। বরং তাদের এজেন্ডার সাথে এবার যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই আমেরিকা এবং তার সাথে সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডা, জাপানের মতো দেশ চাচ্ছে যে, বাংলাদেশের নির্বাচন যেন এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং সেটি যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। সর্বশেষ আমেরিকার ভূমিকা এই যে আসন্ন বাংলাদেশের নির্বাচন যেন একটি মডেল নির্বাচন হয়। এই মডেল নির্বাচনের দিকে সারা বিশ^ তাকিয়ে আছে।
॥তিন॥
আমেরিকার এই পরিবর্তিত অবস্থানের ফলে পৃথিবীর একমাত্র পরাশক্তির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে তীব্র টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। টানাপোড়েন এত তীব্র যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকা সফরের আগে এবং আমেরিকা সফরকালে সরাসরি বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় থাকুক, সেটি আমেরিকা চায় না। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সরকার প্রধানসহ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মোটামুটি প্রকাশ্যে মার্কিন বিরোধী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।
চীন আগের মতই বাংলাদেশকে সমর্থন করে যাচ্ছে। তবে চীন অনেক অর্থনৈতিক সাহায্য দিলেও বাংলাদেশের ওপর তাদের পলিটিক্যাল ক্লাউট আমেরিকার মতো ব্যাপক নয়। পলিটিক্যাল ক্লাউটের কথা বললে বাংলাদেশে সেটি সবচেয়ে বেশি রয়েছে ভারতের। ভারতের প্রবল আধিপত্য থাকলেও ভারতকে চীনের শত্রুতা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য আমেরিকার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ভারত স্পষ্ট বুঝতে পারছে যে, আমেরিকা এই সরকারের ওপর প্রসন্ন নয়। তাই তারা আমেরিকাকে ডিঙ্গিয়ে এই সরকারকে সমর্থন দেওয়ার ঝুঁকিতে যাচ্ছে না। ওপরে যে চিত্র দেওয়া হলো সেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা এবার সরকারি দলের চেয়েও বেশি।
॥চার॥
এই পটভূমিতে বর্তমান সরকার বুঝে গেছে যে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসতে হলে তাকে নিজের শক্তির ওপরে নির্ভর করে ফিরে আসতে হবে। নিজের শক্তি বলতে গণতন্ত্রে জনসমর্থন বোঝায়। সেই জনসমর্থন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। কিন্তু সরকার সম্ভবত বুঝে গেছে যে, তার পেছনে আগের মতো জনসমর্থন আর নাই। সে জন্যই ২০১১ সালে কেয়ারটেকার সরকারের ব্যবস্থা সম্বলিত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে এবং পঞ্চদশ সংশোধনী সংযোজন করে। এই আওয়ামী লীগই বিএনপি সরকারের আমলে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল সহ অনেক মারমুখো কর্মসূচি পালন করে। এবং কেয়ারটেকার সরকার দিতে বিএনপি সরকারকে বাধ্য করে। এখন সেই আওয়ামী লীগই কেয়ারটেকার সরকারের প্রবল বিরোধিতা করছে এবং দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলছে যে আগামী নির্বাচন পঞ্চদশ সংশোধনীর অধীনেই হবে।
অনেকে বলেন যে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতের কন্ঠরোধ করে। তারা হাজার হাজার বিএনপি ও জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মামলা জারি করে। কিন্তু গত ১০ ডিসেম্বর আমেরিকা স্যাংশন দেওয়ার পর আমেরিকার চাপে তাদের রেজিমেন্টেশন শিথিল করে এবং বিএনপিকে জনসভা ও মিছিল করার অধিকার দেয়। এই সুবিধা পেয়ে গত অক্টোবর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বিএনপি এবং তার মিত্ররা তাদের রাজনৈতিক শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে। সর্ব সাধারণে এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না।
গত ২৩ মে দৈনিক প্রথম আলো এবং দৈনিক সমকালের প্রধান সংবাদের শিরোনাম এবং কন্টেন্ট দেখে মানুষ গভীর চিন্তান্বিত হয়েছেন এবং থমকে দাঁড়িয়েছেন। দুটি পত্রিকার শিরোনাম মোটামুটি একই রকম। একটির শিরোনাম, ‘হঠাৎ কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ’। অন্য পত্রিকার শিরোনাম, ‘উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন/হঠাৎ হার্ডলাইনে সরকার’। আসলে বাস্তবে ঘটছেও তাই। গত ২২ মে থেকে বিরোধী দলসমূহকে বিশেষ করে বিএনপিকে সরকার কোনো সভা এবং মিছিল করতে দিচ্ছে না। গত ২২ মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারী দিয়েছেন যে, আর শান্তি সমাবেশ নয়, এবার প্রতিরোধ। তিনি বলেন, বিএনপিকে আওয়ামী লীগ আর শান্তি সমাবেশ করে জবাব দেবে না, দলটিকে ইউনিয়ন থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিহত করবে। এই ঘোষণার এক দিন আগে থেকেই আওয়ামী লীগ ডাইরেক্ট অ্যাকশনে গিয়েছে। খুলনা, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং ঢাকা সহ ৭টি জেলায় আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে কোনো মিটিং করতে দেয়নি। পুলিশ সর্বত্র লাঠিচার্জ করে তাদের সমাবেশ ভেঙ্গে দিয়েছে এবং শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। মাত্র ৩/৪ দিনের মধ্যে ৫০০ বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ মে ঢাকায় ওবায়দুল কাদের এবং অন্যত্র জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপিকে প্রতিরোধের এই অবস্থান নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। অন্যত্র এক সভায় ওবায়দুল কাদের আরো স্পষ্ট করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। বিএনপি যদি ঠেকাতে চায় তাহলে আমরাও তাদেরকে প্রতিহত করবো এবং সেই কাজটি তারা ইতোমধ্যেই শুরু করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি কী করবে? এই মুহূর্ত পর্যন্ত জনগণের কাছে সেটি স্পষ্ট নয়। এখন এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, প্রবল গণঅভ্যুত্থান ছাড়া বিএনপি এবং তার মিত্ররা এই সরকারকে হটাতে পারবে না। জনগণ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে যে, বিএনপি যদি এই সরকারকে হটাতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগকে সেইভাবে মোকাবেলা করতে হবে, যেভাবে আওয়ামী লীগ তাদের সাথে আচরণ করছে। বিএনপির কি সেই শক্তি আছে? হয়তো বা আছে। হয়তো বা নাই। কোনোটাই এখনো প্রমাণিত হয়নি। যদি বিএনপি জনগণকে নিয়ে পাল্টা শক্তি হিসেবে রাস্তায় নামে তাহলে কবে সেটি ঘটবে সেটি জনগণ জানে না। তবে এটি বুঝতে কষ্ট হয় না যে আওয়ামী লীগ যে ভাষায় এবং যে আচরণে বিএনপিকে মোকাবেলা করছে, যদি বিএনপিও সেই ভাষায় এবং সেই আচরণে আওয়মী লীগকে মোকাবেলা করার জন্য রাজপথে নামে তাহলে আগামী দিনগুলো শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবেই উত্তাল হবে না, সেই উত্তাল তরঙ্গের সাথে যদি পেশী শক্তি যুক্ত হয় তাহলে সকল ফ্রন্টে প্রচন্ড ঝড় উঠবে। কিন্তু রাজনীতি সাংঘর্ষিক হোক, সেটি কেউ চায় না।
Email: [email protected]
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
বিষয় : year
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান