হজ ও পবিত্র ভূমির কথা
০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৮ এএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৮ এএম
হজ্ব ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদত। কেউ যদি হজ্ব ফরয হওয়ার বিষয় মানতে অস্বীকার করে, সে কাফের হয়ে যায়। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন: ‘সামর্থবান লোকদের প্রতি আল্লাহ উদ্দেশ্যে বাইতুল্লাহর হজ্ব আদায় করা ফরয। আর কেউ যদি তা মানতে অস্বীকার করে তাহলে (জেনে নিক) আল্লাহ সৃষ্টির প্রতি মুখাপেক্ষী নন’। (আল ইমরান: ৯৭)।
হজ্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একবার নবী করীম (সা.) জিজ্ঞাসিত হলেন, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান’। তারপর প্রশ্ন করা হলো, এরপর কোন আমলটি? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা’। তারপর প্রশ্ন করা হলো, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘মাবরুর হজ্ব’। বুখারী ও মুসলিম।
মাবরুর হজ্ব হচ্ছে ঐ হজ্ব, যা আদায় করার সময় হাজী সকল প্রকার গুনাহ বা নিলর্জ্জ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ ধরনের মাবরুর হজ্ব আদায় করতে পারলে আল্লাহ তা’আলা জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে দেন। নবী করীম (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজ্ব আদায় করলো এমন অবস্থায় যে, কোন প্রকার কাম, প্রবৃত্তি চর্চা বা গুনাহর কাজে লিপ্ত থাকেনি, সে এমনভাবে হজ্ব শেষে ফেরত আসবে যেমন নবজাতক শিশু মায়ের পেট থেকে (গুনাহমুক্ত অবস্থায়) ভূমিষ্ঠ হয়। বুখারী ও মুসলিম।
আরেকটি হাদীসে তিনি এরশাদ করেছেন ... মাবরুর হজ্বের প্রতিদান হচ্ছে একমাত্র জান্নাত। বুখারী ও মুসলিম। এত বড় গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতটি আল্লাহ তা’আলা জীবনে মাত্র একবার ফরয করেছেন। এরপর পুনরায় করলে তা নফল হবে। যদি আল্লাহ প্রতি বৎসরই ফরয করতেন, তাহলে সেটা আদায় করা নিঃসন্দেহে অনেক কঠিন হয়ে যেতো। হিজরী ৬ষ্ঠ সনে মতান্তরে নবম অথবা দশম সনে হজ্ব ফরয হওয়ার আয়াত নাযিল হলে নবী করীম (সা.) এক খুৎবায় তার ঘোষণা দিতে গিয়ে বলেন, ‘হে জনতা, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি হজ্ব ফরয করে দিয়েছেন, তাই হজ্ব আদায় করে নাও। একজন বলে উঠলেন, হে আল্লাহর রাসূল, তা-কি প্রতি বৎসরই? তিনি উত্তর দিলেন না। লোকটি তিন তিন বার প্রশ্নটি করতে থাকলো। শেষে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি যদি বলতাম হ্যাঁ, তাহলে প্রতি বছরই ফরয হয়ে যেতো। আর তোমরা তা পালন করতে পারতে না। অতঃপর তিনি বললেন, যেটা আমি বলি না, সেটা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করো না। তোমাদের পূর্বের জাতিগুলো ধ্বংস হয়েছে বেশি বেশি প্রশ্ন করা, আর নবীদের সাথে মতবিরোধের কারণে। আমি তোমাদের যা করার নির্দেশ দেই, সাধ্যমত তা করার চেষ্টা করো, আর যে বিষয় থেকে নিষেধ করি তা বর্জন করো।’ বুখারী ও মুসলিম।
হজ্ব ফরয হয়ে গেলে বিলম্ব না করে সাথে সাথেই আদায় করা উচিৎ। বিলম্ব করে কয়েক বৎসর পরে আদায় করলেও আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু বিলম্ব করার কারণে গুনাহগার হতে হবে। আর যদি বিলম্ব করার কারণে শেষ পর্যন্ত হজ্ব আদায়ের পূর্বেই মৃত্যুবরণ করতে হয়, তার পরিণতি হবে অত্যন্ত করুণ। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তির মক্কা শরীফ যাতায়াতের মত সম্বল রয়েছে (অর্থাৎ হজ্ব ফরয হয়ে গেছে) কিন্তু গড়িমসি করে আদায় করেনি, সে যেন ইহুদী বা খৃষ্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করে।’ তিরমিযী। অর্থাৎ সে যেন মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করার আশা না করে। ওমর (রা.) বলতেন, যাদের উপর হজ্ব ফরয হওয়া সত্বেও হজ্ব আদায় করছে না, আমার মনে চায়, তাদের উপর (অমুসলিমদের ন্যায়) জিযিরা কর আরোপ করতে। কারণ এরা মুসলিম হতে পারে না, এরা মুসলিম হতে পারে না (বাক্যটির দুইবার উচ্চারিত হয়েছে)।
আল্লাহ তা’আলা সবার উপর হজ্ব ফরয করেননি। যাদের সামর্থ রয়েছে, শুধু তাদের উপরই ফরয করেছেন। সামর্থ দু’ধরনের, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে। হজ্বের আহকামগুলো আদায় করার মত শারীরিক ক্ষমতা থাকতে হবে। আর অর্থনৈতিকভাবে নিজের হজ্বের সফর ও এ সংক্রান্ত যাবতীয় খরচপত্র বহন এবং হজ্ব শেষে ফিরে আসা পর্যন্ত তার উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের যাবতীয় মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করার মত অর্থনৈতিক সঙ্গতি থাকলেই হজ্ব করা ফরয হবে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে হজ্বের সফরে স্বামী অথবা মাহরাম সঙ্গী থাকা জরুরি। বিনা মাহরামে মহিলাদের হজ্বের সফরে বের হওয়া ঠিক নয়। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘মাহরামের অনুপস্থিতিতে বেগানা নারী-পুরুষ যেন একান্তভাবে একত্রিত না হয়। কোন মহিলা যেন বিনা মাহরামে সফর না করে। তা শুনে একজন বলে উঠলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমার স্ত্রী হজ্বের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেছে, আর আমি অমুক যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নাম লিখিয়ে রেখেছি। তিনি বললেন, ‘তুমি গিয়ে তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্ব আদায় করো।’ বুখারী ও মুসলিম।
হজ্বের সফরের প্রয়োজনীয় সম্বল যোগাড় করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা হজ্বের সম্বল যোগাড় করো। আর সর্বোত্তম সম্বল হচ্ছে তাকওয়া’ (বাকারা : ১৯৭)। তাই হজ্ব করতে ইচ্ছুক সবাইকে প্রয়োজনীয় বস্তুগত প্রস্তুতির সাথে সাথে রূহানী প্রস্তুতিও গ্রহণ করা উচিত। আর রূহানী প্রস্তুতি শুরু হয় হজ্ব সংক্রান্ত ইলম হাসিল করার মাধ্যমে। হজ্ব এমন একটি ইবাদত, যাতে রয়েছে বহুবিধ মাসায়েল ও আহকাম। হজ্বে রওয়ানা হওয়ার অনেক আগ থেকেই সেসব জানা ও বুঝা এবং বার বার পড়া উচিত। অভিজ্ঞ আলেম থেকে এলম হাসিল করা উচিত। শুধু বই কিতাব পড়াই যথেষ্ট হবে না। ব্যবহারিক তালিমেরও প্রয়োজন আছে। বিভিন্ন মসজিদে অনুষ্ঠিত এসব তা’লীমে যোগদান করা উচিত। এখন থেকেই গুনাহ থেকে তাওবা করে হজ্বের জন্য প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
পবিত্র ভূমি মক্কা ও বাইতুল্লাহর ইতিহাস হজ্ব যাত্রীদের মনে অপরিসীম আবেগ ও অনুভূতির জন্ম দেয়। হজ্ব আদায়কালীন সময়ে পবিত্র ভূমিতে লুকিয়ে থাকা সেসব ঐতিহাসিক স্মৃতি ও তার সাথে জড়িত পূণ্য ব্যক্তিদের অবদানের কথা হৃদয়ে জাগরুক থাকলে হাজীর মনে সৃষ্টি হবে আল্লাহ প্রেমের অনুপম আবেগ। উজ্জীবিত হয়ে উঠবে ঈমানের স্ফুলিঙ্গ। পবিত্র ভূমিতে পা রাখার সাথে সাথেই আবেগভরে খেয়াল করা উচিত, এ কোন ভূমিতে এসেছি আমি! আমি কি সে পবিত্র ঘরকে স্বচক্ষেই দর্শন করছি, যার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে প্রতিটি দিন কমপক্ষে পাঁচ বার নামায আদায় করেছি। স্মরণ করতে হবে সে ঘরের ইতিহাস। ধু-ধু বালির এ মরুভূমিতে বাড়ি-ঘর তো দূরের কথা, ছিল না কোন জন মানুষের চিহ্ন। নবী ইবরাহীম (আ.) প্রিয় সহধর্মিণী পুণ্যময়ী নারী হাযেরাকে নিয়ে এলেন মক্কার এ জনমানবহীন ভূমিতে। সাথে দুগ্ধপোষ্য শিশু ইসমাইল। তাদের রেখে বিদায় হতে চললেন। হাযেরা বললেন, এ কি! আমাদেরকে এভাবে রেখে যাচ্ছেন। এটা কি আল্লাহরই নির্দেশে? তিনি বললেন, ‘অবশ্যই’। হাযেরা বললেন, ‘তাহলে নিশ্চয়ই তিনি আমাদেরকে বিপদের মধ্যে ফেলে দেবেন না’ (আল বেদায়া, ওয়ান্নেহায়া, ইব্ন কাছীর)। যেতে যেতে ইবরাহীম (আ.) প্রভূর দরবারে ফরিয়াদ করলেন, হে প্রভূ! আমি আমার পরিবার পরিজনকে এমন একটি প্রান্তরে রেখে এলাম, যেথায় নেই কোন ফসলাদির চিহ্ন, আপনার পবিত্র ঘরের কাছে, এজন্য যে, তারা যেন তথায় সালাত কায়েম করে। হে প্রভূ! লোকদের অন্তরে তাদের কাছে আসার জন্য প্রবল আবেগ ঢেলে দিন। আর তাদেরকে ফল-ফসলাদির রিযক প্রদান করুন, যাতে করে তারা আপনার শোকরগুজার হতে পারে। (ইবরাহীম: ৩৭)
স্মরণ করুন, মা হাযেরার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। মরু হাওয়ায় দুগ্ধপোষ্য শিশু ইসমাইলের শুকিয়ে যাওয়া কন্ঠ সিক্ত করতে কিভাবে সংগ্রহ করবেন একটু পানি। নিম্নভূমিতে কচি শিশুকে রেখে আরোহণ করলেন সাফা পাহাড়ের চূড়ায়। চতুর্দিকে দৃষ্টি ফেরালেন, কোথাও নেই পানির কোন চিহ্ন। ছুটলেন আবার সামনের পাহাড়টিতে। মারওয়ার চূড়ায় উঠে চতুর্দিকে দৃষ্টি ফেরালেন। না, কোথাও নেই পানি। আবার সাফাতে গিয়ে আরেকটু ভাল করে দেখার চেষ্টা। আবার মারওয়াতে, একে একে সাতবার দু’পাহাড়ের মধ্যে ছুটাছুটি করেও পানির সন্ধান না পেয়ে বিফল মনোরথ হয়ে ছুটে এলেন কলিজার টুকরা সন্তানের পাশে। এসেই দেখলেন শিশুর সামনেই প্রবাহিত হচ্ছে যমযমের ফোয়ারা। সে যমজম থেকেই আজকে আমরা পানি পান করছি। মহিয়ষী সে মহিলার পুণ্যময় স্মৃতি জড়িয়ে আছে সাফা- মারওয়ায়।
স্মরণ করুণ, বহুদিন পর নবী ইবরাহীম (আ.) এসেছেন পরিবারকে দেখতে। কিশোর ইসমাইল কত সুন্দর হয়ে বড় হয়ে উঠছেন। পিতার মনে কত আশা। এ সন্তান তাঁর উত্তরসূরি হয়ে কত বিরাট দায়িত্ব পালন করবে। প্রভূর কাছ থেকে স্বপ্নে ইঙ্গিত এলো, কলিজার টুকরো সন্তানকে কুরবানী করে দিতে হবে। ঐশী নির্দেশ লংঘনের কোন উপায় নেই। অগত্যা ইসমাইলকে ডেকে বললেন, ঐশী নির্দেশের কথা। সুযোগ্য সন্তান নির্ভীকচিত্তে বললেন, ‘হে পিতা! আপনার প্রতি প্রদত্ত নির্দেশ কার্যকরী করুন, আল্লাহ চান তো আমাকে ধৈর্য্যশীল হিসেবেই পাবেন’-(ছাফ্ফাত: ১০২)। সে নির্দেশ কার্যকর করতে পিতা-পুত্র মিনা প্রান্তরে গেলেন। শয়তান তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা’য়ালা ইবরাহীম (আ.) কে বললেন, তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গেছেন। সন্তানের পরিবর্তে দুম্বা কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন। সে কুরবানীই আজ আমরা ঈদুল আযহার দিনে আমল করে যাচ্ছি। হাজী সাহেবানরা মিনার সে প্রান্তরেই সে প্রক্রিয়ায় কুরবানী করে যাচ্ছেন।
অতঃপর আসে বাইতুল্লাহ নির্মাণের ইতিহাস। পিতা-পুত্র প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম করে নির্মাণ করছেন আল্লাহর ঘর। আর প্রভূর কাছে ফরিয়াদ করছেন, হে প্রভূ! আমাদের এ প্রচেষ্টা কবুল করুন। আল্লাহ কবুল করলেন এবং নির্দেশ দিলেন ইবরাহীম (আ.)কে এ পবিত্র ঘরের হজ্ব আদায়ের জন্য আহ্বান জানাতে। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজও আমরা ছুটে যাই পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে সে ঘরের দিকে।
তারপর এ ঘরকে এবং পবিত্র ভূমিকে ঘিরে রয়েছে আমাদের প্রিয় নবীর ইতিহাস। জন্ম সূত্রেই তিনি পিতৃহারা। তারপর মা হারিয়ে পূর্ণাঙ্গ ইয়াতিম। দাদা এবং চাচার তত্ত্ববধানে এ মক্কার অলিগলিতেই তিনি বড় হলেন। চল্লিশ বৎসর বয়সে আল্লাহ তাঁর প্রকৃত দ্বীনের সন্ধান পেতে মক্কারই এক পাহাড়ে ধ্যানে মগ্ন থাকছেন দিনের পর দিন। সে হেরা গুহাতেই নাযিল হল (ইক্বরা ....পড়ুন আপনার প্রভূর নামে ...)।
সে থেকেই শুরু হয়ে গেল ঐশী বিধান নাযিলের ধারা। নবীজি মূর্তিপূজা থেকে উদ্ধার করে তাওহীদের দিকে আনতে শুরু করে দিলেন দাওয়াতী কাজ। প্রথমে সংগোপনে, তারপর প্রকাশ্যে। জাবাল আবু কুবাইছ যা সাফা পাহাড়ের সন্নিকটে দাঁড়িয়ে ডাকলেন সবাইকে। আবেগ এবং যুক্তি সহকারে দাওয়াত দিলেন। আবু জাহ্ল গং শুধু প্রত্যাখ্যানই করলো না বরং এ দাওয়াতকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে তাদের সংকল্প ঘোষণা করলো। দীর্ঘ ১৩ বৎসর মক্কা নগরীতে দাওয়াতের ফলে বেশ কিছু নর-নারী ইসলাম কবুল করলেও অধিকাংশ মক্কাবাসী শেষ পর্যন্ত ইসলামের বিরুদ্ধেই চলে গেল এবং মুসলমানদের উপর অত্যাচার, নির্যাতনের স্টীম রোলার চালাতে লাগল। শেষ পর্যন্ত নবী করীম (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম মক্কাভূমি ত্যাগ করে হিজরত করলেন মদীনা মনোয়ারায়। নবীজিকে চূড়ান্তভাবে কতল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো মক্কার কাফেরগণ যে দারুণ নাদওয়াতে বসে, পবিত্র কাবা থেকে খুব দূরে ছিল না সে মিটিং হলটি। কাফেরদের চোখে ধুলা দিয়ে নবী করীম (সা.) যে পাহাড়ের গুহায় লুকিয়েছিলেন, সে গারে ছাওর মক্কা শহরের অনতিদূরে আজও সাক্ষ্য বহন করছে, হিযরতের ইতিহাসের। মদীনা থেকে ৮ বছর পর পুনরায় বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করলেন তিনি তার জন্মভূমিতে।
নির্মূল করে দিলেন শিরক আর মূর্তিপূজার আখড়া বাইতুল্লাহ থেকে। তারপর হজ্ব ফরয করা হলো। তিনি হজ্ব করলেন, আমাদেরকেও হজ্বের নির্দেশ দিলেন। সে থেকে শুরু হলো এ উম্মতের হজ্ব প্রক্রিয়া, যার ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। আমি যখন মক্কা-মদীনার অলিগলিতে পদচারণ করি, তাওয়াফ করি, এমনও তো হতে পারে যে, আমার পা কোন সময় এমন জায়গায় গিয়ে পড়ছে, যেখানে নবী করমী (সা.) পা দিয়েছিলেন। এমন অনুভূতি আর ইতিহাস মনে রেখেই হজ্ব করা উচিত।
লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম
সবচেয়ে কম মূল্যে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিচ্ছে নেপাল: নেপাল রাষ্ট্রদূত