নানা রঙের দিনগুলি
০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৭ এএম
নভেম্বর ১৯৯৯। নভেম্বর মাসের এক সন্ধ্যায় টেলিফোন পেলাম, রাত ৮টায় দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক জনাব বাহাউদ্দিন দেখা করতে বলেছেন। বিষয়টি ছিল আমার নিয়োগ নিয়ে। আগে যেসব দৈনিকে চাকরি করেছি সেগুলোতে কাজ করেছি সহকারী সম্পাদক, ফিচার সম্পাদক ও সিনিয়র সাব-এডিটর হিসাবে। মাঝে সাঝে কয়েকটি বিশেষ রিপোর্ট করতে হয়েছে ওই সব পত্রিকার সম্পাদকের নির্দেশে। সেগুলো ছিলো প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত। ১৯৯৬ সালে দৈনিক দিনকালে যখন যোগ দেই, তখন তার সম্পাদক ছিলেন প্রবাদ প্রতিম সাংবাদিক আখতার উল আলম। তিনি প্রায়ই বিশেষ কিছু রিপোর্ট করতে বলতেন। ওই রিপোর্টগুলো সেসময় দেশব্যাপী বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। তবে মাঠে ঘাটে ঘুরে কখনো রিপোর্ট করা হয়ে উঠেনি। ইনকিলাব সম্পাদক সোজা জানিয়ে দিলেন আমাকে নেয়া হবে রিপোর্টিং বিভাগে। আমার কোন ওজর আপত্তি তিনি শুনলেন না। সে সময় দৈনিক ইনকিলাব ছিল প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে। ওখানে যোগদান করাই ভাগ্যের ব্যাপার। আমি যোগদান করলাম পরদিন। সেদিন যে বিশেষ রিপোর্ট তৈরি করলাম, তা লিড রিপোর্ট হয়ে গেল। অর্থাৎ আমার ইনকিলাবে যোগদানের পর প্রথম প্রতিবেদনটিই হলো আট কলাম শীর্ষ প্রতিবেদন! শুরু হলো রিপোর্টার হিসাবে পথচলা।
সপ্তাহ খানেক পর বাহাউদ্দিন ভাই ডেকে বললেন, তোমার বাড়ি তো রংপুরে, চলে যাও উত্তরবঙ্গে, সেখান থেকে মাঠ পর্যায়ের রিপোর্ট তৈরি করো। পনের দিন সময় দিলেন ট্রিপের জন্য। টিএডিএ নিয়ে পরদিন চলে গেলাম উত্তরবঙ্গে। সব জেলাতেই ইনকিলাবের প্রতিনিধি আছেন। তবে স্থানীয় অনেক ঝুট-ঝামেলার কারণে তারা সবসময় সাহস করে উঠতে পারেন না নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট করতে। রিপোর্টার হিসাবে আমার প্রথম এসাইনমেন্ট। তাই আসার আগে সিনিয়র সাংবাদিক জহিরুল হকের কাছে কিছু পরামর্শ চেয়েছিলাম। তিনি গাইডলাইন দিয়ে বলেছিলেন, জাস্ট সেন্স কাজে লাগাতে। আমার সাথে কোনো ফটোগ্রাফার ছিল না। নিজেই নিজের ইয়াসিকা ক্যামেরাটি নিয়ে গিয়েছিলাম। সেবার রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, পার্বতীপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, পাটগ্রাম চষে বেড়িয়েছিলাম স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে। বেশক’টি সাড়া জাগানো লিড রিপোর্ট হয়েছিল আমার মফস্বল থেকে পাঠানো প্রতিবেদনগুলো থেকে। মধ্যপাড়া শিলা খনি, বড়পুকুরিয়া শিলা খনি থেকে শুরু করে যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চরের সারি ও পঞ্চগড়ে চা চাষের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট করেছিলাম। পঞ্চগড়ে যে চা চাষ হতে পারে, তা তখনো কেউ জানতো না। ঠিক ভারতীয় সীমানায় গিয়ে অবাক হয়ে দেখেছিলাম যে, সীমানা রেখার ওপার থেকে চা বাগানের সারি, এপারে কিছুই নেই। আমার ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর অনেক আগ্রহী কোম্পানি সেখানে চা চাষের সম্ভাবনা নিয়ে যাতায়াত শুরু করে। আজ পঞ্চগড়ে চা বাগান অনেকগুলো। ইনকিলাব প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে থেকে সবাইকে এই সম্ভাবনার বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে।
রোজার মধ্যে পনের দিন মাঠ পর্যায়ে থেকে রিপোর্ট করতে আমার যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। বলতে গেলে হাতে নাতে সব শিখতে হয়েছে। কিন্তু ওটাই ছিল আমার রিপোর্টার হিসাবে যাত্রা ও ভিত্তি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম দিকে প্রধান প্রতিবেদক মনজুরুল আলম বেশ চিন্তিত ছিলেন আমাকে নিয়ে। কারণ, আমি আগে কখনো রিপোর্টিং বিভাগে কাজ করিনি। কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে পাঠানো রিপোর্টগুলো দেখে তিনি শুধু আশ্বস্তই হলেন না, পরমাদরে কাছে টেনে নিলেন। বেশ ক’জনকে ডিঙ্গিয়ে তাই আমার পদোন্নতি হলো মাস কয়েকের মধ্যে। ওই সময়টায় আওয়ামী লীগ ছিল ক্ষমতায়। দৈনিক দিনকাল বিএনপির মুখপত্র হলেও সরকারের যাবতীয় সমালোচনা ও ভুল ভ্রান্তি তুলে ধরায় দৈনিক ইনকিলাব ছিল সবচেয়ে কার্যকর দৈনিক। মানুষের হাতে হাতে তখন ইনকিলাব। কোনো রিপোর্ট প্রকাশিত হলে দেখা যেতো কোটি মানুষ নামে চিনতে পারতো প্রতিবেদককে। তখন ঢাকাসহ বাইরে যেখানেই কোনো রিপোর্ট করতে গিয়েছি সেখানেই প্রশাসনের সবাই সমীহের চোখে দেখতেন। সরকারের সমালোচনা করবো জেনেও তারা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেন। কারণ, ইনকিলাবের প্রভাব কেউ অস্বীকার করতে পারতো না। আর একটা বড় শক্তি ছিল আমাদের। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিকের মধ্যে ইনকিলাবের রিপোর্টিং টিমটি ছিল সেরা। কখনো কোনো বিষয়ে কোনো রিপোর্ট আমাদের মিস হতো না। আরেকটা বড় দিক ছিল সম্পাদক ও প্রশাসনের সর্বোত সহযোগিতা। প্রতি মাসে সকল রিপোর্টার নিয়ে বসতেন বাহাউদ্দিন ভাই। চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হতো প্রতিটি বিটের রিপোর্টের। বাহবা দিতেন ভালো রিপোর্টের জন্য, ভুল ধরিয়ে দিতেন কাজে একটু গাফিলতি হলে। পুরো একটা পরিবারের মতো ছিল পরিবেশটা। বেতন-ভাতা কখনো দেরী হতো না। তার উপরে ছিল আউটফিট অ্যালাউন্স। সবাই তার সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে কাজ করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব আমার জীবন পাল্টে দেয়, যা এখনো সেই ধারাতেই চলছে। দেশে প্রতিরক্ষা সাংবাদিকতাকে ওই পত্রিকাতে থেকেই প্রতিষ্ঠিত করেছি। সরকারের বিভিন্ন মহলে কাঁপুনি ধরানোসহ বহু তোলপাড় সৃষ্টি করা রিপোর্ট করেছি। কোনো ভয় পাইনি ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ পাশে ছিল বলে। নির্দ্বিধায় বলতে পারি, ১৯৯৯-২০০৫ পর্যন্ত যে সময়টিতে ইনকিলাবে কাজ করেছি, তা ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়, যা এখনো ভুলতে পারিনি। বরং আফসোস হয়। ভাবি, যদি আবার সেই সময়গুলোতে ফিরে যেতে পারতাম!
এদিকে ২০০০ সালে সম্পাদক ও প্রধান প্রতিবেদক মিলে আমাকে বিশেষ একটা এসাইমেন্ট দিলেন। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতি কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে সিনিয়র জেনারেল ও বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে ধারবাহিক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধানসহ ২৩ জন জেনারেল ও কয়েকজন বেসামরিক বিশিষ্টজনের সাক্ষাতকার নিতে হলো। সে এক বিশাল ঝক্কি-ঝামেলার কাজ। কিন্তু আনন্দের সাথেই তা করলাম। প্রায় মাসব্যাপী প্রথম পাতায় গুরুত্ব সহকারে সিরিজ রিপোর্ট প্রকাশিত হলো। ওই ধারাবাহিক প্রতিবেদনগুলো এদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে সৃষ্টি করলো এক ভিন্ন মাত্রা-প্রতিরক্ষা সাংবাদিকতা। পরবর্তীতে জাতীয় নিরাপত্তা, রণনীতি ও সশস্ত্রবাহিনী শিরোনামে আমার একটি বই বেরিয়েছে ওই সাক্ষাতকারগুলোকে ভিত্তি করে। বাংলােেদশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আগে কখনো প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ে এভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়নি, ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ পর্যন্ত দ্বিতীয়টি হয়নি।
ইনকিলাবে থাকার সময় সবচেয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস ঘটনা ঘটে ২০০০ সালে। সম্পাদক আমাকে নির্দেশ দেন বাংলাদেশে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এর তৎপরতা নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন করার জন্য। গোয়েন্দা কার্যক্রম সর্বোচ্চ সতকর্তা ও গোপনীয়তার সাথে পরিচালিত হয়। তাই এনিয়ে কাজ করা বেশ ঝামেলার ও ঝুঁকি পূর্ণ। তারপরও অ্যাসাইমেন্ট গ্রহণ করলাম সানন্দে। প্রথমে আমার পরিচিত কয়েকজন সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের ইন্টারভিউ নিলাম বেশ ক’দিন ধরে। ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের সাবেক ছ’জন প্রধান সাক্ষাতকার দিলেন ও বাংলাদেশে ‘র’ তৎপরতা নিয়ে তাদের নিজ অভিজ্ঞতার ফিরিস্তি দিলেন। প্রথম পাতায় বক্স করে রিপোর্টগুলো ছাপাা হলো। দেশব্যাপী সৃষ্টি হলো তুমুল আলোড়ন। এরপর বহু সোর্স কাজে লাগিয়ে জোগাড় করলাম ‘র’ তৎপরতার তথ্য উপাত্ত। রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে জানান দেয়া হলো প্রতিবেদনগুলোর আগমনী বার্তা। নিঃসন্দেহে ওই রিপোর্টগুলো ছিল স্পর্শকাতর। স্বভাবতই অজানা নম্বর থেকে পেতে থাকলাম হুমকি-ধমকি। রাত দুইটা আড়াইটার দিকেও ফোন করে রিপোর্ট প্রকাশ বন্ধ করার জন্য শাসানী দেয়া হতো মোবাইলে। আমাকে যথেষ্ট সতর্কতার সাথে চলতে হতো তখন। অফিস থেকে বাসায় কখনো একলা যেতাম না। রাতে কাজ শেষে বসে থাকতাম অফিসের মাইক্রোবাসে অন্যদের সাথে বেরুবার জন্য। হুমকি পাওয়ায় বুঝতে পারলাম যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছি তা জায়গামতোই লেগেছে ও তথ্যগুলো সঠিক। যাহোক, পরে বাহাউদ্দিন ভাইয়ের উৎসাহে পুরো একটা বই প্রকাশ করে ফেললাম “বাংলাদেশে ‘র’-আগ্রাসী গুপ্তচরবৃত্তির স্বরূপ সন্ধানে” শিরোনামে। নির্বাচনের বছর ২০০১ সালে প্রকাশিত বইটি বিক্রি হলো হাজার হাজার কপি। এখনো ওই বইটি বাংলাদেশে ‘র’ তৎপরতার উপর লিখিত সবচেয়ে তথ্যভিত্তিক বই বলে স্বীকৃত। এর ইংরেজি সংস্করণটি বের হয় ২০০৫ সালে, যা পৃথিবীর কয়েকটি দেশে বেশ ভালো বিক্রি হয়। দেশি, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকটিতে এখনো বইটি রেফারেন্স হিসাবে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটগুলোতে পড়ানো হয়।
ইনকিলাবে থাকতে আর যেসব উল্লেখযোগ্য রিপোর্ট করেছিলাম তার মধ্যে ছিল বিমানবাহিনীর মিগ-২৯, সি-১৩০ বিমান নিয়ে করা কয়েকটি প্রতিবেদন। এছাড়া প্রায়ই আমাকে কূটনৈতিক রিপোর্টারের দায়িত্বও পালন করতে হতো।
এদিকে ২০০১ সালের নির্বাচনের সপ্তাহ দুয়েক আগে হুট করে আমাকে বলা হয় জাতীয় পার্টির বিট কভার করার জন্য। তখন প্রতিরক্ষা বিট ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের বিট নিয়ে আমার পাগলপারা অবস্থা। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে নির্বাচন কমিশনে এসে ঢুকি। দুপুরের দিকে একটা রিপোর্ট পাঠাই। তারপর বিকালে অফিসে যাই, বাকি রিপোর্টগুলো তৈরি করি। আবার রাতে ৮টা-৯টার দিকে নির্বাচন কমিশনের অফিসে আসি। এর উপর জাতীয় পার্টির দায়িত্ব পড়ায় মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা। তাছাড়া আমি আগে জেনারেল এরশাদ ও জাপা নিয়ে কয়েকটি দৈনিকে তীব্র সমালোচনামূলক কয়েকটি কলাম লিখেছিলাম। তাই জে. এরশাদ আমাকে কীভাবে গ্রহণ করবেন তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল, ওই অল্প সময়ের মধ্যে পার্টিতে সোর্স তৈরি করা। জাতীয় পার্টি ছিল তিন ভাগে বিভক্ত, তিনটার অফিস তিন স্থানে। দৌড়াতে দৌড়াতে অবস্থা কাহিল। তারপরও কোন রিপোর্ট মিস করিনি। জে. এরশাদ কয়েকদিনের ভিতর আমাকে পছন্দ করতে শুরু করেন। প্রভাবশালী দৈনিকের রিপোর্টারকে কে অস্বীকার করতে পারে!
দৈনিক ইনকিলাম ছেড়ে চলে আসি ২০০৫ সালের শেষ দিকে। যোগ দেই দৈনিক যায় যায় দিনে। এর আগে আরো একটি বড় দৈনিক প্রকাশের সময় আমাকে যোগ দেয়ার জন্য অফার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ইনকিলাবের পারিবারিক পরিবেশ থেকে চলে যেতে চাইনি। অবশ্য ওর মাঝে অনেক সহকর্মী নতুন দৈনিকে চলে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে আমিও চলে যাই। এটা ছিল বেদনাময় একটা ঘটনা।
যখন দৈনিক ইনকিলাবে ছিলাম তখন দেখতাম দেশের সব নামী দামী বুদ্ধিজীবী, মন্ত্রী, এমপি, লেখক, কলামিস্ট, অভিনেতা, অভিনেত্রী প্রায় প্রতিদিন আসতেন সম্পাদকসহ অন্যান্য সাংবাদিকের সাথে দেখা করার জন্য। ফিচার, সম্পাদকীয় ও সাহিত্য বিভাগ গম গম করতো তাদের পদভারে। ইনকিলাবে থাকতেই আমি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদ, প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞা, সাহিত্যিক আবু রূশ্দ, সাংবাদিক মহবুব আনাম, অভিনেতা উজ্জল, দিলদার, আহমেদ শরীফ, রোজি আফসারিসহ অনেক বিখ্যাত জনকে কাছে থেকে দেখেছি।
২০০৭ সালের শেষ দিকে দৈনিক আমার দেশ-এ কাজ করার সময় আমি দৈনিক পত্রিকা থেকে চলে আসি স্বেচ্ছায়। ওয়ান ইলেভেনের পর আর যথার্থভাবে সাংবাদিকতা করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে অমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এরপর ২০০৮ সালে নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করি বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল, যা এখনো চলছে।
সাংবাদিকতা জীবনে যা দেখেছি, যেসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি, তার উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোই ঘটেছে দৈনিক ইনকিলাবে কাজ করার সময়। আজ এতো বছর পরও সেসব দিনের কথা প্রায়ই মনে পড়ে। এর মধ্যে কয়েকজন সহকর্মী ইন্তেকাল করেছেন। আর বাকিসব বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। কেউ কেউ অবসরে চলে গেছেন।
শুধু একটি কথাই বলতে পারি- ইনকিলাবের দিনগুলো ছিল নানা রঙের...।
লেখক: সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নালের সম্পাদক।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
উত্তরায় হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলাও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা
পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ৩২
আল্লাহকে পেতে হলে রাসুলের পথ অনুসরণ অপরিহার্য: মাওলানা রুহুল আমিন খান
ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
ভোটের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে-লুৎফর রহমান আজাদ
গফরগাঁওয়ের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুছ ছালামের ইন্তেকাল
আওয়ামী দোসররা মানুষের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে: তানভীর হুদা
ফিলিস্তিনিদের জন্য কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে মিশরে পৌঁছেছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল
১৭টি বছর শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা- কেন্দ্রীয় সভাপতি
বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ
ছয় বছর পর স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি পাকিস্তান
তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে অনশনসহ কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
টানা তিন সেঞ্চুরিতে তিলাকের বিশ্ব রেকর্ড
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক
জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা: জ্বালানি উপদেষ্টা
গৌরনদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকান ঘরে বাস নিহত-১ আহত-৬
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ২ আ'লীগ নেতা গ্রেপ্তার
লাওসে ভেজাল মদপানে ৬ বিদেশির মৃত্যু
না.গঞ্জে ডেঙ্গু পরীক্ষার টেস্ট কিট সংকট কে কেন্দ্র করে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি