ঢাকা   শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইনকিলাব : ঐশী জ্যোতির ফল্গুধারা

Daily Inqilab এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী

০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৭ এএম

আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে ,‘নিশ্চয়ই ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র ধর্ম।’ [সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৯]। এই আয়াতের মর্ম অনুসারে তাফসীরকার সুদ্দী বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার নিকট মনোনীত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম’, কাতাদা বলেন, ‘ইসলাম হচ্ছে, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই, এ সাক্ষ্য দেয়া, হযরত মোহাম্মাদ (সা:) তার কাছ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তার সত্যতার সাক্ষী দেয়া। আর এটাই হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত ধর্ম, যা তিনি প্রবর্তন করেছেন, নবী ও রাসূলদের যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তাঁর বন্ধুদের যার সন্ধান দিয়েছেন। এটা ব্যতীত তিনি ধর্ম বলে আর কিছু গ্রহণ করবেন না। এটা যথাযথ অনুপাতে না হলে তিনি কাউকে পুরস্কৃত করবেন না।

মহান আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্টভাবে এই ঘোষণা ও জারি করেছেন, ‘আর কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না, আর সে হবে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত’। [সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৮৫]। মহান রাব্বুল আলামীন আল কুরআনে আরও ইরশাদ করেছেন : ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে পরিপূর্ণ করলাম, এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে ধর্ম হিসেবে পছন্দ করলাম।’ [সূরা আল মায়েদাহ : আয়াত ৫] আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা আরও ইরশাদ করেছেন : ‘সুতরাং আল্লাহ কাউকে সৎ পথে পরিচালিত করতে চাইলে তিনি তার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দেন, এবং কাউকে বিস্ময়গামী করতে চাইলে তিনি তার বক্ষ খুব সংকীর্ণ করে দেন, (তার কাছে ইসলামের অনুসরণ) মনে হয় যেন সে কষ্ট করে আকাশে উঠছে।’ [সূরা আল আশয়াম : আয়াত ১২৫]। অপর এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে : ‘আল্লাহ ইসলামের জন্য যার বক্ষ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন ফলে সে তার প্রতিপালকের দেয়া পূর্বের উপর রয়েছে, সে কি তার সমান যে এরূপ নয়? অতএব দুর্ভোগ সে কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য, যারা আল্লাহর স্মরণ বিমুখ! তারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।’ [সূরা আয যুমার : আয়াত ২২]। অন্য এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে : ‘আর সে ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে? অথচ তাকে ইসলামের দিকে আহ্বান করা হয়। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।’ [সূরা আস সফর : আয়াত ৭]।

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূর নবী হযরত মোহাম্মাদ (সা.) বলেছেন : ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। (এক) এ বলে সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং হযরত মোহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসূল। (দুই) সালাত কায়েম করা। (তিন) যাকাত দেয়া, (চার) হজ্জ করা এবং (পাঁচ) রমযান মাসে রোজা রাখা। [সহীহ বুখারী : ১/৮]।

ঈমানের স্বাদ অনুভব করার তিনটি শর্ত রয়েছে। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, এমন তিনটি বস্তু রয়েছে, যে ব্যক্তির মধ্যে সেগুলো থাকবে কেবল সেই এগুলোর কারণে ঈমানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে। সেগুলো হলো এই (১) যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালোবাসা সকল কিছু হতে অধিক পরিমাণে রয়েছে। (২) যে ব্যক্তি কোন বান্দাকে কেবল আল্লাহর জন্য ভালবাসে এবং (৩) যে ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক কুফর হতে মুক্তি দেয়ার পর পুনরায় কুফুরীতে ফিরে যাওয়াকে অনুরূপভাবে অপছন্দ করে যেমনি অপছন্দ করে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ হওয়াকে। [সহীহ বুখারী : ১/২১]।

আরবী সালাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো দোয়া, প্রার্থনা, সান্নিধ্য, সম্পর্ক ইত্যাদি। এর ফার্সী ভাষায় প্রতিশব্দ হলো নামায। নামায শব্দটি বাংলা, উর্দূ, ফার্সী ভাষায় একই অর্থ বহন করে। সালাত বা নামায ইসলাম নামক অট্টালিকার অন্যতম স্তম্ভ। নামায ত্যাগ করা কুফরেরই নামান্তর। নামাযই বেহেস্তের চাবি। আল্লাহ ও বান্দাহর মধ্যে সম্পর্ক নামাযের মাধ্যমেই হয়। ইসলামী শরীয়াতের পরিভাষায় নামায বলা হয় রুকু, সিজদাহসহ নির্দিষ্ট আহকাম সম্বলিত এমন বিশেষ এবাদতকে যার মাধ্যমে বান্দাহ ও আল্লাহর মাঝে সুনিবিড় সম্পর্ক ও সান্নিধ্য সৃষ্টি হয়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক মুসলিম নর-নারীর উপর আদায় করা ফরয। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : তোমরা সালাত সমূহ ও মধ্যবর্তী সালাতের হিফাযত কর এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হয়ে দাঁড়াও’ [সূরা বাকারাহ : আয়াত ২৩৮]।

আর ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হলো যাকাত। আরবী যাকাত শব্দটির আভিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে কয়েকটি অর্থ জানা যায়। যেমন, পুতঃপবিত্রতা, পরিশুদ্ধি ও পরিচ্ছন্নতা, সুচিন্তা এবং প্রবৃদ্ধি ও ক্রমবৃদ্ধি ইত্যাদি। শরীয়তের পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে যাকাতের সংজ্ঞা হচ্ছে ‘কোন সাহিবে নেসাব’ মুসলমানের তথা নিজ ও নিজ পরিবারের জীবন যাপনের প্রয়োজনীয় বাৎসরিক ব্যয় মেটানোর পর বছরান্তে যদি ন্যূনতম পক্ষে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য, কিংবা তার সমপরিমাণ অর্থ সম্পদ থাকে, তবে উক্ত ধন সম্পদের শতকরা আড়াইভাগ আল্লাহর আটটি নির্ধারিত খাতে প্রদান করাকে যাকাত বলে। মোট কথা, দরিদ্র অভাবী জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে যাকাত। যাকাত ইসলামী অর্থনীতির অনন্য রক্ষাকবচ। আল কুরআনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিরাশি আয়াতে যাকাতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ইসলাম ধর্মের অন্যতম বুনিয়াদ হচ্ছে সাওম। সাওম বা সিয়াম আরবী শব্দ। বাংলা, উর্দু ও ফার্সী ভাষায় সাওমকে রোজা বলা হয়। সাওম শব্দের অর্থ বিরত থাকা, দূরে থাকা, কঠোর সাধনা, অবিরাম চেষ্টা ও আত্মসংযম। ইসলামী পরিভাষায় সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তের সাথে পানাহার ও সকল প্রকার যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়। নূর নবী হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সা.) হিজরতের পর মদীনার ইহুদীদের মধ্যে আশুরার রোজা পালন করতে দেখে মুসলমানদের প্রতি উক্ত দিনের রোজা পালন করতে নির্দেশ প্রদান করেন। হিজরতের আঠার মাস পর কিবলাহ পরিবর্তনের পরে শাবান মাসে রমযানের রোজা ফরয হবার নির্দেশ সম্বলিত আয়াত নাযিল হয়। ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।’ [সূরা আল বাকারাহ : আয়াত ১৮৩]। তখন থেকে আশুরার রোযা পালনের অপরিহার্যতা নাকচ হয়ে যায়। প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত, সুস্থ, সুকীম ও সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মুসলিম নর-নারীর উপর রমযানের রোযা ফরয হয়। সঙ্গত কারণে উক্ত মাসে রোযা না রাখতে পারলে পরবর্তী সময় তা কাযা করা ফরয সাব্যস্ত হয়। তাছাড়া কাফফারা আদায়ের বিধানও রয়েছে। মানুষের আত্মিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে রোযা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা করেছেন : ‘যে লোক ঈমান ও চেতনা সহকারে রমযান মাসের রোযা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ [সহীহ বুখারী : হাদীস ১/৩৮]

আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামের পঞ্চম বুনিয়াদ হচ্ছে হজ্জ। হজ্জ আরবী শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ অভিপ্রায় বা সংকল্প করা। কোথাও যাবার ইচ্ছা করা। শরীয়াতের পরিভাষায় নির্দিষ্ট মাসের নির্দিষ্ট তারিখে মক্কায় কাবাঘর এবং তার সংলগ্ন কয়েকটি স্থানে ইসলামের বিধানানুযায়ী অবস্থান করা বা যিয়ারত করাকে হজ্জ বলা হয়। হযরত ইব্রাহীম (আ.) সর্বপ্রথম কাবাকে কেন্দ্র করে আল্লাহর নির্দেশিত নিয়মে হজ্জ প্রবর্তন করেন। উম্মতে মোহাম্মাদীর ওপর নবম হিজরীতে তা ফরয হয়। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘এবং সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বায়তুল্লাহর হজ্জ আদায় করা ফরয। আর যে, কুফরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।’ [সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৯৭] শরীয়াতের বিধান মোতাবেক নারী-পুরষ নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলমানের উপর জীবনে একবার হজ্জ করা ফরয। হজ্জ ফরয হবার শর্ত সাতটি। যেমন (১) সুস্থ মস্তিষ্ক হওয়া, (২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া, (৩) স্বাধীন হওয়া, (৪) সুস্থ হওয়া, (৫) যাতায়াত বা মক্কায় অবস্থানের জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ-থাকা, (৬) রাস্তা নিরাপদ হওয়া, (৭) স্ত্রীলোকদের জন্য ফিরে আসা পর্যন্ত স্বামী অথবা এমন কোন আত্মীয় সফর সঙ্গী থাকা আবশ্যক, যার সাথে বিবাহ হারাম। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে কেবল হজ্জই শারীরিক এবং আর্থিক উভয় এবাদতকে শামিল করে। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে হজ্জ ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সুতরাং যারা পরিপূর্ণ রূপে ইসলামী জীবনাদর্শকে গ্রহণ করে তাদেরকে মুসলিম ও মুমিন মর্যাদায় বিভূষিত করা হয়। ঈমানদারদের অভিভাবক স্বয়ং আল্লাহ। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের বন্ধু, তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে আলোর দিকে বের করে আনেন।’ [সূরা বাকারাহ: আয়াত ২৫৭]। যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করে তারাই সৃষ্টির সেরা। আল কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে :‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে তারাই সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি। তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদের পুরস্কার হবে স্থায়ী জান্নাত। যার পাদদেশে নহর সমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা থাকবে স্থায়ী ভাবে। আল্লাহ তাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারাও আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট হয়েছে। এটি তার জন্য, ‘যে স্বীয় প্রতিপালককে ভয় করে’। [সূরা বাইয়্যেনাহ : আয়াত ৭-৮]। যারা আল্লাহর নির্দেশিত পথে রয়েছে তারাই সফলকাম। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘যারা গায়েবের প্রতি ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে এবং যারা ঈমান আনে যা তোমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে, এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে তৎপ্রতি। আর আখেরাতের ওপর যারা ইয়াকীন রাখে তারা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে হিদায়াতের ওপর রয়েছে এবং তারাই সফল কাম।’ [সূরা বাকারাহ : আয়াত ৩-৫]। ঈমানের স্বাদ আস্বাদনকারী ব্যক্তির পরিচয় নূর নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) এভাবে তুলে ধরেছেন। হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আল্লাহকে প্রতিপালক, ইসলামকে ধর্ম এবং হযরত মোহাম্মাদ (সা.) কে নবী হিসেবে মেনে নিয়েছে, সে ব্যক্তি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ লাভ করেছে। [সহীহ মুসলিম : ১/৩৪]।

এই শ্রেণীর মুমীন বান্দাহ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই হযরত মাওলানা এম.এ.মান্নান (রহ.) আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর পূর্বে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা প্রকাশের প্রাক্কালে ‘ধর্ম-দর্শন’ নামে একটি সাপ্তাহিক ফিচার পাতা বরাদ্দ রেখে ছিলেন, যা এখনো পর্যন্ত আলোর মুখ দেখে চলেছে। এটা প্রকৃতই তার কারামত ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ‘ধর্ম-দর্শন’ পাতার অলংকরণ করা হয়েছে নিম্নলিখিত ঐশী ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয়াবলীর দ্বারা। যেমন (১) সত্যালোকের সন্ধানে, (২) দৃষ্টিকোণ, (৩) বিশ্বময় ইসলাম, (৪) আউলিয়াদের জীবন, (৫) জিজ্ঞাসার জবাব, (৬) পথনির্দেশ ইত্যাদি। এই নিরিখে উল্লিখিত ছয়টি শিরোনামের অধীনে হাজার হাজার প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গবেষণাধর্মী সমীক্ষা, প্রশ্নের উত্তর ইত্যাদি ধর্ম-দর্শন পাতায় ছাপা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই পাতায় পরিবেশিত কোন লেখা বা উত্তরের প্রতিবাদ আসেনি। এটাও হযরতুল আল্লামা মাওলানা এম. এ. মান্নান (রহ:) এর জ্বলন্ত কারামত। মহান আল্লাহ পাক তাঁকে র্কুব ও মানজেলাতের আলা হতে আ’লা দারাজাত এনায়েত করুন, আমীন! ওয়াল হাম্দুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।


বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

আওয়ামী সিন্ডিকেট দমানো যায়নি
প্রশাসনিক সংস্কার সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ
জনশক্তি রফতানিতে কাক্সিক্ষত গতি বাড়েনি
পুনঃতদন্তের উদ্যোগ নেই
নাগরিক সেবায় দুই সিটির চ্যালেঞ্জ
আরও

আরও পড়ুন

না.গঞ্জে ডেঙ্গু পরীক্ষার টেস্ট কিট সংকট কে কেন্দ্র করে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ

না.গঞ্জে ডেঙ্গু পরীক্ষার টেস্ট কিট সংকট কে কেন্দ্র করে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি

‘পতনের’ মুখে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন

‘পতনের’ মুখে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন

বিশ্বব্যাংক আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির প্রদর্শনী

বিশ্বব্যাংক আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির প্রদর্শনী

আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

সিলেট সীমান্তে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

সিলেট সীমান্তে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

২ মার্চকে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানালেন মঈন খান

২ মার্চকে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানালেন মঈন খান

সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন বদিউল আলম

সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন বদিউল আলম

সিংগাইরে সাংবাদিক মামুনের বাবার ইন্তেকাল

সিংগাইরে সাংবাদিক মামুনের বাবার ইন্তেকাল

বিরামপুরে ধান-ক্ষেত থেকে হাত বাধা আদিবাসী দিনমজুর মহিলার লাশ উদ্ধার!

বিরামপুরে ধান-ক্ষেত থেকে হাত বাধা আদিবাসী দিনমজুর মহিলার লাশ উদ্ধার!

আওয়ামী শুধু ফ্যাসিস্ট নয়, তাদের আরেকটা নাম দিয়েছি স্যাডিস্ট: মিয়া গোলাম পরওয়ার

আওয়ামী শুধু ফ্যাসিস্ট নয়, তাদের আরেকটা নাম দিয়েছি স্যাডিস্ট: মিয়া গোলাম পরওয়ার

খুবিকে ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা

খুবিকে ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা

লাল পাহাড়ের দেশকে বিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অরুণ চক্রবর্তী

লাল পাহাড়ের দেশকে বিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অরুণ চক্রবর্তী

বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান

বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান

আগামী রোববার-সোমবারও বন্ধ থাকবে ঢাকা সিটি কলেজ

আগামী রোববার-সোমবারও বন্ধ থাকবে ঢাকা সিটি কলেজ

অত্যাধুনিক সব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাব ইউক্রেনে: পুতিন

অত্যাধুনিক সব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাব ইউক্রেনে: পুতিন

নির্বাচনে যত দেরি ষড়যন্ত্র তত বাড়বে: তারেক রহমান

নির্বাচনে যত দেরি ষড়যন্ত্র তত বাড়বে: তারেক রহমান

‘ফিফা ছিল খুবই দুর্বল, আমিই একে বিশাল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছি’

‘ফিফা ছিল খুবই দুর্বল, আমিই একে বিশাল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছি’

ফ্যাসিস্ট হাসিনা কাউকে রেহাই দেয়নি, জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে পালিয়ে গেছেন: রিজভী

ফ্যাসিস্ট হাসিনা কাউকে রেহাই দেয়নি, জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে পালিয়ে গেছেন: রিজভী

স্বৈরাচার সরকারের দোষররা এখনো মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে: রফিকুল ইসলাম খান

স্বৈরাচার সরকারের দোষররা এখনো মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে: রফিকুল ইসলাম খান