আমার জীবন ও সংবাদপত্র
০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:১৭ এএম
সংবাদপত্রের সঙ্গে আমার সম্পর্কের সূচনা হয় আমার মরহুম আব্বার মাধ্যমে। তিনি খুব সামান্য লেখাপড়া জানতেন এবং তা সীমাবদ্ধ ছিল বাংলা, যোগ-বিয়োগ অংক এবং আরবীর মধ্যে। কিন্তু তিনি শিক্ষা ও সমাজ সেবায় বিশেষ উৎসাহী ছিলেন। আমাদের গ্রামের একমাত্র মক্তবটি তার দেয়া জমিতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেটি এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এসবের পাশাপাশি তাঁর ধর্মীয় কাজকর্মেও ছিল বিশেষ উৎসাহ। তিনি নিজে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায় অবস্থিত ফুরফুরায় পীর মওলানা আবুবকর সিদ্দিকী (র.)- এর মুরীদ। প্রতি বছর মাঘ-ফাল্গুন মাসের দিকে তাঁর উদ্যোগে ধর্মীয় জলসা হতো তাঁর প্রতিষ্ঠিত মক্তবের মাঠে। সেখানে ফুরফুরা শরীফের কোন পীরজাদা বা ওয়ায়েজ (আলেম) আসতেন ওয়াজ করতে। তারা সাধারণত আমাদের বাড়িতেই অবস্থান করতেন। ফুরফুরা দরবারের সঙ্গে সম্পর্কিত কতিপয় মাসিক পত্রিকা সে সময় কলিকাতা থেকে প্রকাশিত হতো। এর অন্যতম ছিল মাওলানা রুহুল আমিন সম্পাদিত মাসিক ‘সুন্নাত আল জামাত›। আব্বা ছিলেন এই পত্রিকার গ্রাহক। মক্তবে ক্লাস টু-থ্রীতে উঠার পর আব্বার নির্দেশে আমাকে মাঝে মাঝেই এই মাসিক সুন্নাত আল জামাত পত্রিকা পাঠ করে শোনাতে হতো। এভাবেই সংবাদপত্রের সঙ্গে আমার সম্পর্কের সূচনা হয়।
১৯৩৮ সালে ক্লাস ফোরে উঠার পর আমাদের গ্রামের মাইল দেড়েক উত্তর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর ওপারে অবস্থিত পাবনা জেলার সুজানগর থানার মানরকান্দী ইউনিয়নস্থ তামিমনগর জুনিয়ার মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হই আব্বার ইচ্ছা মোতাবেক। সেখানে ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত পড়াশোনা করি ক্লাস ফোর থেকে সিক্স পর্যন্ত। সে সময়ে হাডুডু, গোল্লাছুট ও ফুটবল খেলার দিকে ঝুঁকে পড়ি। এ সময় কলিকাতা থেকে প্রকাশিত আজাদ পত্রিকায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবল খেলার সচিত্র খবর প্রকাশিত হতো। যদিও আজাদ মফস্বলে পৌছতে ২/১ দিন দেরি হত, তবুও আজাদ পত্রিকায় মোহামেডান ক্লাবের খেলার খবর পড়া হয়ে ওঠে আমাদের জন্য বিশেষ আকর্ষণের ব্যাপার।
১৯৪০ সালে জুনিয়ার মাদ্রাসা পাস করে ১৯৪১ সালের জানুয়ারি মাসে ফরিদপুরে গিয়ে ময়েজ উদ্দিন হাই মাদ্রাসায় ক্লাস সেভেনে ভর্তি হই। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত আমি হাই মাদ্রাসায় অধ্যয়ন উপলক্ষে ফরিদপুর শহরে বসবাস করি। সে সময় ওই শহরের পূর্বপ্রান্তে টেপাখোলায় অবস্থিত একটি পাঠাগারে পাঠ্যসূচি বহির্ভূত পুস্তক ও দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকা পাঠ হয়ে ওঠে আমার নিয়মিত অভ্যাস।
১৯৪৫ সালে হাই মাদ্রাসা পাস করে আমি ঢাকা গভর্নমেন্ট ইসলামিক ইনস্টিটিউট কলেজ বর্তমানের সরকারি নজরুল কলেজে আইএ পড়তে ভর্তি হয়ে যাই। সে সময় পাকিস্তান আন্দোলন তুঙ্গে। আর আমরা সেকালের মুসলিম তরুণরা ছিলাম সে আন্দোলনের অতি উৎসাহী কর্মী। আমরা সেকালের মুসলিম শিক্ষিত তরুণরা নিয়মিত কলিকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদ তো পড়তামই, কলিকাতা থেকে প্রকাশিত মুসলিম লীগের দলীয় মুখপত্র সাপ্তাহিক বিপ্লব মাঝে মাঝে সদরঘাটে হকারী করে বিক্রিও করতাম।
এসব ছিল সংবাদপত্রের পাঠক হিসেবে আমার ভূমিকার কথা। সংবাদপত্রের কর্মী বা সাংবাদিক হিসেবে আমার ভূমিকার শুরু হয় পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর তমদ্দুন মজলিসের সূচিত ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু› শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে এবং এ আন্দোলনের প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে পালিত প্রায় সফল হরতালের মাধ্যমে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা সংস্থা তমদুদ্দুন মজলিসের নিজস্ব কোন মুখপত্র না থাকায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি। এই দুঃখজনক পটভূমিতে তমদ্দুন মজলিস সাপ্তাহিক সৈনিক নামের যে পত্রিকা প্রকাশ করে তার মাধ্যমেই আমার সাংবাদিক জীবনের সূচনা হয়। সাপ্তাহিক সৈনিক-এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন বিখ্যাত কথাশিল্পী শাহেদ আলী। অন্যতম সম্পাদক ছিলেন এনামুল হক। সহকারী সম্পাদক ছিলাম আমরা তিনজন : আমি, সানাউল্লাহ নূরী এবং মোস্তফা কামাল (পরবর্তীকালে দৈনিক বাংলা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক)। ১৯৫০ সালে শাহেদ আলী এমএ পাস করে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিলে আমাকে সম্পাদক করা হয়। এ পত্রিকার মূল পরিচালক ছিলেন ভাষা আন্দোলন খ্যাত অধ্যাপক আবুল কাসেম। এছাড়া অধ্যাপক আবুল কাসেম ছাড়া আমরা সবাই ছিলাম ছাত্র।
সাপ্তাহিক সৈনিক কারো ব্যক্তিগত সম্পদ ছিল না বলে সাপ্তাহিক সৈনিকে কাজ করার জন্য আমরা কেউ বেতন বা সম্মানী নিতাম না। এমন কি এ পত্রিকায় যারা লিখতেন তারাও কোন সম্মানী নিতেন না। অথচ এদের মধ্যে তরুণ কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে স্বনামধন্য ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. কাজী মোতাহার হোসেন, প্রিন্সিপ্যাল ইব্রাহীম খাঁ, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, অমিয় চক্রবর্তী, মাহবুব উল আলম, আবুল মনসুর আহমেদ, ফররুখ আহমদ, সরদার জয়েন উদ্দিন, মাহমুদা এ পরিস্থিতিতে সরকারের পুলিশ বাহিনী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত তিনটায় ১৯, আজিমপুর রোডস্থ সৈনিক অফিসের গেটে হানা দিয়ে অধ্যাপক আবুল কাসেম ও আমাকে গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালায়। এ সময় মিসেস আবুল কাসেম গেটের ভিতরে অবস্থান নিয়ে এত রাতে একটি পারিবারিক গৃহে পুলিশের প্রবেশ চেষ্টায় বাধা দিলে তর্ক শুরু করে দেন। এ ফাঁকে আমরা দু›জন অফিসের পেছন দিয়ে বেরিয়ে যেতে সমর্থ হই। ফলে পরে পুলিশ যখন ঐ বাসায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, তখন আমাদের সন্ধান পায়নি। এ যাত্রায় ঢাকা শহর এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় তিন মাস আত্মগোপন করে থেকে আমাদের গ্রেপ্তারি এড়াতে হয়।
আগেই বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক সৈনিক-এ আমার সাংবাদিক জীবন ছিল একজন আদর্শবাদী আন্দোলনের অংশ বিশেষ। আমার পেশাগত সাংবাদিক জীবনের সূত্রপাত হয় ১৯৫৭ সালে দৈনিক মিল্লাত-এর সহকারী সম্পাদক হিসাবে। মিল্লাতে আমার সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলাম সত্যেন সেন, আহমদুর রহমান প্রমুখকে। বার্তা সম্পাদক ছিলেন নূরুল ইসলাম পাটোয়ারি। পরবর্তী কালে মিল্লাত বন্ধ হয়ে গেলে আমি দৈনিক নাজাত পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেই। কিছুদিন পর নাজাতও বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় জেনারেল আইউব খানের সামরিক শাসন শুরু হওয়ায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চরমভাবে খর্ব হয়ে পড়ে। ফলে আমার জীবনে বিরাট পরিবর্তন আসে এবং ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দু›বছর অধ্যয়নের পর সমাজকল্যাণ বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করি। এর পর ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ চট্টগ্রামে সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগে জেলা যুবকল্যাণ সংগঠক হিসেবে কাজ করি। এর পর ১৯৬৩ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে সমাজকল্যাণ বিষয়ে ডিগ্রি কোর্স শুরু হলে আমি ঐ কলেজে সমাজ কল্যাণের অধ্যাপক হিসেবে ১৯৭০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি।
১৯৪৫ সালে আইএ পড়তে ঢাকায় আসার পর আমার অবশিষ্ট শিক্ষা জীবন ও কর্ম জীবনের প্রায় সবটাই কাটে ঢাকায়। ঢাকার বাইরে মাত্র এক বছর কাটে ১৯৬২-১৯৬৩ সালে সরকারি সমাজ কল্যাণ অফিসার হিসেবে। আর ফরিদপুরে রাজেন্দ্র কলেজে সমাজকল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সে সময়ও সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলাম চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী ও ফরিদপুরের মাসিক নবারুণ-এর সাথে। এখানে উল্লেখ্য, ১৯৭০-এর উত্তপ্ত দিনগুলোতে স্বাধিকার চেতনায় গরম গরম লেখা নিয়ে সাপ্তাহিক সৈনিক পুনঃপ্রকাশিত হলে তাকে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে যারা উৎসাহ যুগিয়েছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুঃখের বিষয় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাতে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে ম্যানেজার নুরুর রহমান জামালীকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ফলে সৈনিক পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকায় অবস্থান দুঃসহ হয়ে উঠায় আমিও ৩১ মার্চ ঢাকা ছেড়ে সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে চলে যাই।
সেবার ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধের সকল গেট খুলে দেবার কারণে কিনা জানি না, গঙ্গা নদী সংলগ্ন রাজশাহী, কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজবাড়ী প্রভৃতি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। আমাদের এই অবস্থায় ভাইয়ের পরিবারে বোঝা হয়ে না থেকে কোন চাকরির সন্ধানে ঢাকায় চলে আসি। সৌভাগ্যক্রমে একটা ভাল চাকরিও পেয়ে যাই দৈনিক আজাদ-এর বার্তা সম্পাদকের কাজ। দৈনিক আজাদের অফিস ঢাকেশ্বরী রোডে হওয়ায় বাসা নেই আজিমপুর কলোনির পেছনে লালবাগ রোডে। তখন ঢাকায় চলছে সামরিক শাসন। বার্তা সম্পাদক হিসেবে পত্রিকার সব কাজ শেষ করে যখন বাসায় ফিরতাম রাত তখন তিনটা। এত গভীর রাতে রাস্তায় টহলদাররা বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যদের বোঝাতে কষ্ট হতো যে, আমরা সংবাদপত্রের কর্মী। গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা আমাদের কর্তব্যের অন্তর্গত। কারণ তারা বাংলা- ইংরেজি তো দূরের কথা উর্দুও বোঝে না। এদিকে ১৬ ডিসেম্বরের পর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ২৩ ডিসেম্বর রাতে আজাদ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আমাকে জানিয়ে দেয়া হলো যে, পরদিন থেকে আমার আর অফিস করতে হবে না। অর্থাৎ আমার চাকুরী নেই। কারণ আজাদ- এর আগের বার্তা সম্পাদক সন্তোষ গুপ্ত এই মুজিবনগর থেকে ফিরে এসেছেন।
এ অবস্থায় আমার বেকার জীবন শুরু হলো। এভাবে কয়েক মাস চলে গেলে একদিন হাঁটতে হাঁটতে আমার পুরাতন বন্ধু নুরুল ইসলাম পাটোয়ারীর ইস্কাটন রোডের বাসায় গেলাম। সে আওয়ামী ঘরানার সাংবাদিক। আমার বেকারত্বের কাহিনী শুনে প্রথমে কিছুটা বকা দিয়ে আমাকে নিয়ে বের হয়ে প্রথমে গেল এনা অফিসে সিরাজুল হোসেন খানের কাছে। তিনি পরদিন এসে আমাকে এনায় জয়েন করতে বললেন। এরপর পাটোয়ারী আমাকে নিয়ে গেল ইংরেজি ডেইলি পিপল অফিসের সম্পাদক আবদুর রহমানের কাছে। তিনি আমার কাহিনী শুনে বললেন, উনার কথা তো হারুন ভাইয়ের কাছেও শুনেছি। বলা বাহুল্য, আবদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় শরীফ আবদুল্লাহ হারুন ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের চিন্তাধারার ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান ছাত্র শক্তির অন্যতম নেতা। আবদুর রহমান আমাকে ঐদিনই বিকালে এসে ডেইলি পিপল-এ সহকারী সম্পাদক পদে জয়েন করতে বললেন। এভাবে দুই মাস বেকার থাকার পর একদিনই আবার দুটো চাকরি হয়ে গেল। আমি বিকালে গিয়ে যথারীতি ডেইলি পিপল-এ যোগ দিলাম। ১৯৭৫ সালে ডেইলি পিপল্ বন্ধ হয়ে যাবার পূর্ব পর্যন্ত কয়েক বছর ডেইলি পিপলেই ছিলাম। ডেইলি পিপল বন্ধ হয়ে যাবার অল্পদিন পর সরকার ৪টি ব্যতীত সকল দৈনিক বন্ধ করে দেয়। এভাবে যেমন পত্রিকা সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক হয়ে যায় তার সাংবাদিকদের সরকারের বিভিন্ন বিভাগে চাকরি দেয়া হয়। পিপল সরকারি সিদ্ধান্তের আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হই।
এ সময় আমি কয়েক বছর আবুজর গিফারী কলেজে সমাজকল্যাণের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করি। তবে তখনও বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূরক বেতনের ব্যবস্থা না হওয়ায় এ চাকরি ছিল বিনা বেতনে চাকরি করার শামিল। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক পদে নিয়োগ পেলে আমার অর্থনৈতিক জীবনে কিছুটা নিশ্চয়তা ফিরে আসে। আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত থাকা অবস্থায় তদানীন্তন ধর্মমন্ত্রী মওলানা এম এ মান্নানের ইচ্ছায় ১৯৮৬ সালের ৪ জুন প্রথম দিক থেকেই দৈনিক ইনকিলাব-এর ফিচার সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়ে অদ্যাবধি কর্মরত আছি।
সংবাদপত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত থাকার ফলে সংবাদপত্র আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ভোরে সংবাদপত্রের পাতায় চোখ না বুলানো পর্যন্ত দিনের অন্যান্য কাজ স্বাভাবিকভাবে শুরু করতে পারি না। তবে দুঃখের সাথে বলতে হয়, আগের দিনে সব কাজে সংবাদপত্র তথা সাংবাদিকতার যে মর্যাদা ছিল এখন তার অনেকটাই হারিয়ে গেছে সংবাদপত্রে ব্যক্তিগত ও দলীয় প্রভাবের ফলে। এ নিয়ে অনুতপ্ত প্রকাশ করে লাভ নেই, যেহেতু সমাজের সর্বত্র আজ এ প্রভাব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
লেখক : ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভোটের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে-লুৎফর রহমান আজাদ
গফরগাঁওয়ের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুছ ছালামের ইন্তেকাল
আওয়ামী দোসররা মানুষের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে: তানভীর হুদা
ফিলিস্তিনিদের জন্য কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে মিশরে পৌঁছেছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল
১৭টি বছর শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা- কেন্দ্রীয় সভাপতি
বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ
ছয় বছর পর স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি পাকিস্তান
তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে অনশনসহ কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
টানা তিন সেঞ্চুরিতে তিলাকের বিশ্ব রেকর্ড
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক
জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা: জ্বালানি উপদেষ্টা
গৌরনদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকান ঘরে বাস নিহত-১ আহত-৬
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ২ আ'লীগ নেতা গ্রেপ্তার
লাওসে ভেজাল মদপানে ৬ বিদেশির মৃত্যু
না.গঞ্জে ডেঙ্গু পরীক্ষার টেস্ট কিট সংকট কে কেন্দ্র করে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি
‘পতনের’ মুখে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন
বিশ্বব্যাংক আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির প্রদর্শনী
আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
সিলেট সীমান্তে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ