পাকিস্তানের পেস-ত্রয়ীর তোপে গুটিয়ে গেল ভারত
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২২ পিএম | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফের নৈপুণ্যে দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ভারত। ইশান কিষান ও হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। সম্ভাবনা জাগে বড় সংগ্রহের। কিন্তু সেই সুযোগ দিলেন না আফ্রিদি-হারিস-নাসিম শাহরা। পাকিস্তানের পেস-ত্রয়ীর বোলিং তোপে গুটিয়ে গেল ভারত।
শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া ভারত তবু গড়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। ৪৮.৫ ওভারে তারা অল আউট হলেও স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ২৬৬ রান।
ভারতের দশ উইকেটই ভাগ করে নিয়েছেন পাকিস্তানের তিন পেসার। ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইনিংসের সেরা বোলার আফ্রিদি। তিনটি করে ভাগ করে নেন হারিস ও নাসিম।
পঞ্চম উইকেট জুটি থেকে ভারতের আসে সর্বোচ্চ ১৩৮ রান। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর অসাধারণ এই জুটিতে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান কিষান ও পান্ডিয়া। চাপ সামলে ৮১ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন কিষান। ৯০ বলে ৮৭ রান আসে পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে।
টসের আগে থেকেই মাঠে ছিল বৃষ্টির আনাগোনা। সময়মত টস হলেও ৪.২ ওভার খেলার পর বাগড়া দেয় বৃষ্টি। ৩৩ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর ফিরে এসে ওই ওভারেই শেষ বলে রোহিতের অফ স্টাম ভেঙে দেন আফ্রিদি। কোহলি টেকেন মাত্র ৭ বল। আফ্রিদির বলেই ইনসাইড এজ বোল্ড হয়ে যান ভারতের সেরা ব্যাটার।
পাওয়ার প্লের আগেই বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দফায় খেলা বন্ধ থাকে অল্প সময়। ফিরে এসে হারিসকে বেশ কয়েকবার বাউন্ডারিছাড়া করেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা শ্রেয়াস আয়ার। তাকে বেশ আত্ববিশ্বাসীও দেখাচ্ছিল। কিন্তু শোধ নিতে দেরি করেননি হারিসও। তাকে শর্ট মিড উইকেটে ফখর জামানের ক্যাচে পরিনত করেন এই জোরে বোলার।
উইকেটে লড়াই করতে থাকা ওপেনার শুবমান গিলকে ইনসাইড এজ বোল্ড করে ভারতকে আরও চাপে ফেলে দেন রউফ। ৩২ বলে গিল করেন ১০ রান।
এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কিষান ও পান্ডিয়া। রানের গতি ঠিক রেখে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন তারা। একসময় মনে হচ্ছিল ভারতের সংগ্রহ ৩০০ স্পর্শ করা খুব সম্ভব। কিষানকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন রউফ। পুল করতে গিয়ে মিড অনে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন কিষান। তার ৮১ বলে ৮২ রানের ইনিংসে চার ৯টি, দুটি ছক্কা। দলীয় সংগ্রহ তখন ২০৪।
এরপর পান্ডিয়া-জাদেজা জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। আফ্রিদির স্লোয়ারে কাভাবে ধরা পড়েন পান্ডিয়া। তার ৯০ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে চার ৭টি, একটি ছক্কা। এরপর শেষ চার উইকেটে ভারত যোগ করতে পারে ২৭ রান। যার তিনটি নাসিমের শিকার।
নাসিম ছিলেন এদিন বেশ সাশ্রয়ী। ৮.৫ ওভারে কেবল ৩৬ রান দিয়েছেন তিনি। ৯ ওভারে ৫৮ রান দিলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে উইকেট তুলে নেন হারিস। ছয়ের উপরে ওভারপ্রতি রান দিয়ে উইকেটশূন্য দুই স্পিনার শাদব খান ও মোহাম্মাদ নেওয়াজ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানে উড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। আর আসরে ভারতের এটি প্রথম ম্যাচ। টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন বলে জানান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
ইনিংস শেষে আফ্রিদি বলেন, রোহিতের উইকেটটিই সবচেয়ে আনন্দ দিয়েছে তাকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ (রোহিত ১১, গিল ১০, কোহলি ৪, আয়ার ১৪, কিষান ৮২, পান্ডিয়া ৮৭, জাদেজা ১৪, ঠাকুর ৩, কুলদিপ ৪, বুমরাহ ১৬, সিরাজ ১*; আফ্রিদি ১০-২-৩৬-৪, নাসিম ৮.৫-০-৩৬-৩, রউফ ৯-০-৫৮-৩, শাদব ৯-০-৫৭-০, নেওয়াজ ৯-০-৫৫-০, সালমান ৪-০-২১-০)।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নিহত
এবার সাদপন্থিদের ১০ দফা দাবি
সা'দ পন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও আশুলিয়া থানায় স্মারক লিপি প্রদান
লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে জুতাপেটা
সিকদার গ্রুপের ১৫ প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ,বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
চিরিরবন্দরে আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি
‘রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেল হংকংয়ে বসবাসরত ১০ বাংলাদেশি নারী
বিডিআর বিদ্রোহ : ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিশন গঠন
মার্কিন সিইও হত্যাকাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিপজ্জনক প্রভাব
গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
ঝিনাইদহে বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী সরকারের পুনরাবৃত্তি করবে না আশাবাদ রিজভীর
আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস চালু করছে সৌদি
হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!
প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি
শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু