বড় জয়ে সিরিজে টিকে রইল প্রোটিয়ারা

কক-বাভুমা জুটির পর মাকরামের অনবদ্য শতক

বড় জয়ে সিরিজে টিকে রইল প্রোটিয়ারা

ইনকিলাব

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২৮ এএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৫ এএম

প্রথম দুই ওয়ানডেতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জয়ের কাজটা প্রায় সেরে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে সিরিজ হার এড়াতে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের বাকি সবগুলোতে জয় পেতে হতো প্রোটিয়াদের। টেম্বা বাবুমার দল শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে কঠিন কাজটা করতে পারবে কিনা সেটি বলা মুশকিল। তবে মঙ্গলবার তৃতীয় ওয়ানডেতে অজিদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে অন্তত সিরিজের টিকে রইল স্বাগতিকেরা।

এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নাম দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ শুরু এনে দেন ডিকক ও অধিনায়ক বাবুমা। ওপেনিং জুটীতে এই দুইজনে মিলে ১৪৬ রানের বড় জুটি গড়েন ২৩ ওভারেরও কম বল খেলে।ডিকক আউট হন ৭৭ বলে ৮২ রান করে। ৫৭ রানের একটি ঝলমল ইনিংস খেলেন বাবুমাও ।এরপর রেজা হেনড্রিকস ও মাকরাম মিলে দলকে এগিয়ে নেন। ২ উইকেটে হারিয়েই দুইশ পেরুনো প্রোটিয়ারা তখন বড় সংগ্রহের পথে।তবে দলীয় ২২৬ রানের মাথায় হেন্ড্রিক্স ব্যক্তিগত ৩৯ রান আউট হওয়ার পর দ্রুত আরো দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে আগ্রাসী ভাবে খেলে যান মকরাম।৯ চার আর ৪টি বিশাল ছক্কায় সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ৭৪ বলে।তার ব্যাটিং দৃড়তায় ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৩৩৮ রান।

বড় লক্ষ্যের জবাব দিতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ শুরু এনে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড।৬ ওভারেই ৫০ রান তুলে ফেলেন দুজনে মিলে। ২৪ বলে ৩৮ রান করে ট্রাভিস হেড ফিরে গেলেও, ওয়ার্নার ছিলেন আগ্রাসী। তাঁর সামনে পাত্তা পাচ্ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। মাত্র ২৭ বলেই পৌঁছে যান ফিফটিতে। মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন ওয়ার্নার। এ দুজন মিলে করেন ৪৩ বলে ৬১ রান।মার্শকে (২৯) ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন তাব্রেইজ শামসি। এরপর দলীয় ১৫৭ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়েন ওয়ার্নারও।এরপর আর কোন অজি ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে পারেননি।নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে তারা।শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২২৭ রানে। অস্ট্রেলিয়া যখন গুটিয়ে যায় তখনও তাদের হাতে বাকি ছিল ৯৩ বল। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৫০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন গেরাল্ড কোয়েতজে।

বিভাগ : খেলাধুলা