আফগানদের হারিয়ে আমিরাতের সমতা

Daily Inqilab স্পোর্টস ডেস্ক

০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অতিথি দলকে হারিয়ে সমতায় ফিরলো স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। সিরিজের প্রথম ম্যাচে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ঝড়ো সেঞ্চুরিতেই (৫২ বলে ১০০) আফগানিস্তানের হেরেছিল আমিরাত। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। গতকাল শারজায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের ১১ রানে হারায় স্বাগতিকরা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে আরব আমিরাত। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ১৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ফলে দারুণ জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ফেরে স্বাগতিক দল।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান তোলে স্বাগতিকরা। ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিফটি তুলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম ও আরিয়ান লাকরা। দলীয় ৭২ রানের মাথায় মোহাম্মদ নবীর বলে আউট হন ওয়াসিম। তার আগে তিনি করেন ৩২ বলে ৫৩ রান। আরেক ওপেনার ম্যাচের শেষ পর্যন্ত খেলে অপরাজিত (৪৭ বলে ৬৩*) থেকেই মাঠ ছাড়েন। আফগানিস্তানের আজমতুল্লাহ ওমরজাই ৩৫ রানে পান ২টি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দেখে-শুনেই খেলতে থাকেন আফগান ব্যাটাররা। তবে মারকুটে ব্যাটার গুরবাজকে আগের ম্যাচের মতো ঝড়ো ইনিংস খেলার সুযোগ দেননি আমিরাতের বোলাররা। ষষ্ঠ ওভারে তাকে ফিরিয়েই আফগান শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছে স্বাগতিকরা। এরপর বিরতি দিয়ে একের পর এক উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারের এক বল কম খেলে দেড়শ’ ছাড়িয়ে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন মোহাম্মদ নবী। আমিরাতের হয়ে মোহাম্মদ জওয়াদুল্লাহ এবং আলি নাসের যথাক্রমে ২৬ ও ২৪ রানে পান ৪টি করে উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান আরব আমিরাতের আলি নাসের।

 

 


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার