শান্তর কঠগড়ায় উইকেট, ভিন্নমত দূর্জয়-লিপুর

Daily Inqilab স্পোর্টস রিপোর্টার

২৩ মে ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ১২:০৩ এএম

খেলা হলো মিরপুরের মতো চিরচেনা মন্থর, নিচু বাউন্স হওয়া উইকেটে। এমন উইকেটে নিজেদের সহজাত ব্যাটিং প্রদর্শনের কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। অথচ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মুখ থুবড়ে পড়ার পর উইকেটের ঘাড়েই দোষ চাপালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত, ‘আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। আমরা প্রথম দুই ওভারে ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাঝে উইকেট হারিয়েছি। আমরা আরও ২০ রান বেশি করতে পারতাম। তাহলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত।’
এর আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। সিরিজে যারা ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন সেই লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, শান্ত, সাকিব আল হাসানরা এদিনও ছিলেন ব্যর্থ। ধারাবাহীক এই ব্যাটিং ব্যর্থাতাকে শান্ত ঢাকতে চাইলেন উইকেটের উপর দোষ চাপিয়ে, ‘আমি এটাকে ভুলের পুনরাবৃত্তি মনে করি না। আমার মনে হয় আমরা ভালো উইকেটে খেলছি না। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ভালো উইকেটে খেলিনি। তবে এটা মানসিক ব্যাপার। আশা করি ব্যাটসম্যানরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’ হারের কারণ হিসেবে ডেথ ওভারের বাজে বোলিংয়ের কথাও তুলে ধরেন শান্ত, ‘সব স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছে। আমাদের পেসাররা শেষ দুই-তিন ওভারে পরিকল্পনা মতো বোলিং করেনি। আশা করি পরের ম্যাচে ওরা ভালো করবে।’
শান্তর বলা এই কথা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। ব্যাটারদের রান না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক দেশে যা বলে গেছেন, সেটাই শুনিয়েছেন হারের পর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কঠিন উইকেটে খেলা রেশ থেকেই নাকি এখনো সংগ্রাম করছেন ব্যাটাররা। তবে এই ব্যাখ্যা মানতে রাজী নন বিসিবি পরিচালক ও এইচপি প্রধান নাঈমুর রহমান দুর্জয়। গতকাল এইচপির খেলোয়াড়দের সঙ্গে নির্বাচকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আয়োজন শেষে গণমাধ্যমে সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘যদি কোনো রকম মন্থর উইকেট বানিয়েও থাকি, সেটা কিন্তু দলের চাওয়াতেই করা হয়। যদি আমরা সে প্রশ্নটা করি যে তোমরা উইকেটের অজুহাত দাও বিদেশ গেলে, তাহলে দেশে আমরা উইকেট যেভাবে বানিয়ে দিই, সবাই হোম কন্ডিশনের একটা সুবিধা নেয়। দলের চাওয়া থেকেই কিন্তু সেটা করা হয়; কোন উইকেট দিলে দল পারফর্ম করতে পারবে, সে চাহিদাটা কিন্তু টিম থেকেই আসে। কাজেই এখন উইকেটের দোহাই দিলে তো আমরা সেটা মানতে পারি না।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। লিটন দাস ১৫ বলে ১৪, সৌম্য সরকার ১৩ বলে ২০, অধিনায়ক শান্ত ছিলেন আরো মন্থর, করেন ১১ বলে ৩ রান। তাওহীদ হৃদয় ফিফটি করলেও খুব আগ্রাসী হতে পারেননি। রান পাননি সাকিব আল হাসানও। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বারবার একই কায়দায় ব্যর্থতার পর এমন দোষারোপের কোনো মানে হয় না জানিয়ে দূর্জয় বলেন, ‘জাতীয় দলটা তো পারফর্ম করার জায়গা, সেখানে আমি উইকেট নিয়ে দোহাই দিলে এগুলো কিন্তু গ্রহণযোগ্য না। কারণ, পারফর্ম করতে গিয়েছিল, আমরা জাতীয় দলে খেলছি । জাতীয় দল ওখানে যে পরিস্থিতিই হোক, পারফর্ম করতে হবে।’
আইসিসি সহযোগি সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হেরে যাওয়া মানতে পারছেন না প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও। তিনি জানান দলের পারফরম্যান্সে তারা চিন্তিত, ‘যেকোনো হারই কষ্টের ব্যাপার এবং এখানে আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতির মধ্য দিয়েই আমরা যাচ্ছি। নিশ্চয়ই এটা হতাশার, এখানে কোনো সন্দেহ নেই। একটা দুটা বিচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের থেকে দল হারলেও যদি দলগত পারফরম্যান্স ভালো হয়, প্রতিটা বিভাগে যেটা আশা করা হচ্ছিল, সেটা হচ্ছে না। আমার মনে হয় দুশ্চিন্তার কারণটা একটু বেশি।’

 

 


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সোনালী ব্যাংকে হুইসেল ব্লোয়ার্স পলিসি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সোনালী ব্যাংকে হুইসেল ব্লোয়ার্স পলিসি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বীমা সেবার পরিধি বাড়াতে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স-ব্র্যাক হেলথকেয়ার স্ট্র্যাটিজিক পার্টনারশিপ চুক্তি

বীমা সেবার পরিধি বাড়াতে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স-ব্র্যাক হেলথকেয়ার স্ট্র্যাটিজিক পার্টনারশিপ চুক্তি

পদ্মায় পানি বেড়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভাঙন আতঙ্ক

পদ্মায় পানি বেড়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভাঙন আতঙ্ক

ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আওয়ামী লীগের জন্ম -আনন্দ র‌্যালি পূর্ব অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির উদ্দিন

ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আওয়ামী লীগের জন্ম -আনন্দ র‌্যালি পূর্ব অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির উদ্দিন

ডেঙ্গু ঝুঁকিতে বাকৃবি

ডেঙ্গু ঝুঁকিতে বাকৃবি

স্ট্রিট ফুডের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে

স্ট্রিট ফুডের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে

পাহাড় ধসে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই

পাহাড় ধসে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই

আবহাওয়ার পূর্বাভাস কেন সঠিক হয় না?

আবহাওয়ার পূর্বাভাস কেন সঠিক হয় না?

নেতানিয়াহু পদত্যাগ করুন, নয়তো জিম্মি বিনিময় অসম্ভব

নেতানিয়াহু পদত্যাগ করুন, নয়তো জিম্মি বিনিময় অসম্ভব

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে রুশ অ্যান্টি-ভাইরাস জায়ান্ট ক্যাসপারস্কি

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে রুশ অ্যান্টি-ভাইরাস জায়ান্ট ক্যাসপারস্কি

তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাইলেই চরম শাস্তি!

তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাইলেই চরম শাস্তি!

তীব্র তাপপ্রবাহ, মক্কা-মদিনায় জুমার খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ

তীব্র তাপপ্রবাহ, মক্কা-মদিনায় জুমার খুতবা সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে বিশাল দাবানল, নিহত অন্তত ১২

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে বিশাল দাবানল, নিহত অন্তত ১২

আফগানিস্তানে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে নিকারাগুয়া

আফগানিস্তানে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে নিকারাগুয়া

নেতানিয়াহুর আসন্ন সফর ও কংগ্রেসে ভাষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হোয়াইট হাউস

নেতানিয়াহুর আসন্ন সফর ও কংগ্রেসে ভাষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হোয়াইট হাউস

৩৩০০ বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ মিলল ভূমধ্যসাগরে

৩৩০০ বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ মিলল ভূমধ্যসাগরে

এনভিডিয়ার চমক শেষে ফের শীর্ষে মাইক্রোসফট

এনভিডিয়ার চমক শেষে ফের শীর্ষে মাইক্রোসফট

যৌথ মহড়ার জন্য দ.কোরিয়ায় পৌঁছেছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী

যৌথ মহড়ার জন্য দ.কোরিয়ায় পৌঁছেছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী

দক্ষিণ মেক্সিকোতে এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জন মেয়র নিহত

দক্ষিণ মেক্সিকোতে এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জন মেয়র নিহত

ইসরাইলের স্পর্শকাতর লক্ষ্যবস্তুর ফুটেজ প্রকাশ করল হিজবুল্লাহ

ইসরাইলের স্পর্শকাতর লক্ষ্যবস্তুর ফুটেজ প্রকাশ করল হিজবুল্লাহ