নিউজিল্যান্ডের বিদায় প্রায় নিশ্চিত!

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৪ জুন ২০২৪, ১২:২৮ এএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪, ১২:২৮ এএম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসর থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। তাদেরকে হারিয়েই সুপার এইটে উঠলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিনিদাদে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ১৩ রানে হারায় স্বাগতিক দল। আগে ব্যাট করে শেরফানে রাদারফোর্ডের হার না মানা ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ক্যারিবীয় পেসার আলজারি জোসেফের তা-বে ৯ উইকেটে ১৩৬ রান তুলতেই নির্ধারিত ওভার শেষ করে নিউজিল্যান্ড। ফলে দারুণ জয় পেয়ে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকেই সুপার এইটে ওঠে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। পরের দুই ম্যাচে উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউগিনিকে হারালেও কিউইদের কোনো লাভ হবেনা। কারণ গ্রুপে ইতোমধ্যে দুই খেলার দু’টিতেই জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। তারা বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই সুপার এইটে উঠবে। সেক্ষেত্রে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় পুরোপুরি নিশ্চিত হবে কেন উইলিয়ামসনদের।

কাল ঘরের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাত ওভারের মধ্যে দলীয় মাত্র ৩০ রানে ৫ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। ব্রান্ডন কিং ৯, জনসন চার্লস রোস্টন চেজ শূন্য, নিকোলাস পুরান ১৭ ও অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল মাত্র ১ রানে আউট হন। সেরা পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে স্বাগতিকরা যখন দিশেহারা তখন লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন ছয় নম্বরে নামা রাদারফোর্ড। ষষ্ঠ থেকে নবম উইকেটে ৮২ রান যোগ করে দলের রান ১৮.৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২তে নেন তিনি। এসময় ২৭ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন রাদারফোর্ড। এরপর শেষ দুই ওভারে ঝড় তুলে দলকে ৩৭ রান উপহার দেন এই ব্যাটার। ড্যারিল মিচেলের করা ১৯তম ওভারে ১৯ রান এবং মিচেল স্যান্টনারের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ১৮ রান তুলে নেন রাদারফোর্ড। এতে শেষ পর্যন্ত দেড়শ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩০ বা তার নীচের স্কোরে ৫ উইকেট পতনের পর টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান ক্যারিবীয়দের। ২টি চার ও ৬ ছক্কার মারে ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করেন রাদারফোর্ড। সংক্ষিপ্ত ভার্সনে এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা রান। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ছয় বা তার নীচের ব্যাটিং অর্ডারে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানে এটি দ্বিতীয় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সেরা সংগ্রহ। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ১৬ রানে ৩টি উইকেট পান। টিম সাউদি ২১ ও লুকি ফার্গুসন ২৭ রানে শিকার করেন ২টি করে উইকেট।

জয়ের জন্য ১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০ রানের সূচনার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ৬৩ রানে পঞ্চম উইকেট পতনে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা। এসময় ডেভন কনওয়ে ৫, ফিন অ্যালেন ২৬, রাচিন রবীন্দ্র ১০, অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ১ ও ড্যারিল মিচেল ১২ রান করেন। এরপর জেমস নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন গ্লেন ফিলিপস। দু’জনের সঙ্গে জুটিতে ২২ ও ২৩ রানে বেশি তুলতে পারেননি ফিলিপস। ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি কিউইরা। ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ফিলিপস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজারি জোসেফ ১৯ রানে ৪টি ও গুদাকেশ মোতি ২৫ রানে পান ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান বিজয়ী দলের শেরফানে রাদারফোর্ড। এ ম্যাচে ১৭ রানের ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন নিকোলাস পুরান। এতে ভেঙ্গে যায় ক্রিস গেইলের রেকর্ড। পুরান ৯১ ম্যাচে করেছেন ১৯১৪ এবং গেইলের আছে ৭৯ ম্যাচে ১৮৯৯ রান।

বিভাগ : খেলাধুলা