উইকেট নিয়ে আফগান কোচের ক্ষোভ

Daily Inqilab স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ জুন ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১২:১১ এএম

বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচ শেষ করে হোটেলে পৌঁছতেই বেজে গেছে রাত ৩টায়। সকাল ৮টায় হোটেল ছেড়ে আবার বিমানবন্দরে ছুটতে হয়েছে আফগানিস্তান দলকে। ফ্লাইট চার ঘণ্টা বিলম্বের পর সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে ত্রিনিদাদে পৌঁছেছেন তারা। এরপর অনুশীলন করা তো বহুদূর, বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগই কম। পরদিনই সেমি-ফাইনাল! টসের সময় অধিনায়ক রাশিদ খান তো বললেনই, পর্যন্ত ঘুমাতেই পারেননি তারা।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠের প্রথম সেমি-ফাইনালে আফগানিস্তান ১১.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ¯্রফে ৫৬ রানেই। এই সংস্করণে এত কম রানে ও এত কম ওভারে আগে কখনোই অলআউট হয়নি তারা। এমন বাজেভাবে হেরে যাওয়ার পর সেই ক্লান্তির কথা বললেন আফগানিস্তান কোচ জোনাথন ট্রটও। যদিও এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাননি তিনি। তবে উইকেট নিয়ে আপত্তির ককথা লুকালেন না ট্রট। তার মতে, সেমি-ফাইনালের মতো বড় ম্যাচ এই ধরনের উইকেটে হওয়া উচিত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রটের কাছে প্রশ্ন ছুটে যায় উইকেট নিয়ে। টুর্নামেন্টজুড়েই এবার প্রবল সমালোচনার খোরাক জুগিয়েছে উইকেটে। প্রথম সেমি-ফাইনালের পর আফগান কোচের কণ্ঠেও সেই অসন্তুষ্টি। আইসিসির শাস্তির ভয় ভাবনায় রেখেই নিজের মতামত দিলেন তিনি, ‘আমি নিজেকে বিপদে ফেলতে চাই না। “আঙুর ফল টক” এই ধরনের কোনো অনুভুতিও ছড়িয়ে দিতে চাই না। তবে ব্যাপারটি হলো, এই ধরনের পিচে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ কাম্য নয়, প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল। লড়াইটা ন্যায্য হওয়া উচিত। এমন বলছি না যে, পিচে কোনো স্পিন ধরবে না বা সিম মুভমেন্ট থাকবে না। তবে ফরোয়ার্ড খেলতে গেলে ব্যাটসম্যানরা ভয়ে থাকবে যে, বল মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে, এমন কিছুও হওয়া উচিত নয়। পায়ের কাজ নিয়ে, বা বলের লাইনে খেলার চেষ্টা কিংবা নিজের স্কিল দেখানোর চেষ্টায় সবার ভরসা থাকা উচিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যাপারটিই হলো আগ্রাসী হওয়ার, রান করার ও উইকেট নেওয়ার। এখানে টিকে থাকতেই ভোগান্তি হওয়ার কথা নয়।’
ঠাসা সূচির প্রসঙ্গও উঠে এলো সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই। সেখানে ট্রট নিজেদের পরিস্থিতি তুলে ধরলেও এটাকে হারের কারণ হিসেবে দাঁড় করালেন না, ‘গ্রুপ পর্বের (সুপার এইট) শেষ ম্যাচ খেলার পর প্রথম সেমি-ফাইনাল খেলাটা আদর্শ কিছু নয় অবশ্যই। তার পর ভ্রমণ ছিল, গতকাল এখানে এসে... সত্যিকার অর্থে কোনো “ডে অফ” ছিল না। তবে সূচি আমরা জানতামই, তাই এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। বিশ্বকাপের মতো আসরে খেলতে গেলে সবকিছুই নিজেদের পক্ষে আসবে না। লড়াই করতে হবে, কখনও কখনও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গেও খেলতে হবে। দল নিয়ে আমি গর্বিত। তবে এমন নয় যে, এই কারণে (ঠাসা সূচির ক্লান্তি) আজকে আমরা জিততে পারিনি।’
সেমি-ফাইনালে এমন পরাজয়ের পর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে আফগান কোচের। হতাশা আছে গোটা দলেই। তবে ইতিহাস গড়ার গর্বও আছে তাদের। ট্রট বললেন, এবারের শিক্ষা তারা কাজে লাগাবেন সামনে, ‘এই ধরনের ম্যাচ হারাটা সবসময়ই কষ্টের। কষ্ট পাওয়াই উচিত, কারণ ক্রিকেটাররা, কোচিং স্টাফ ম্যানেজমেন্ট, অফিসিয়ালরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে। কষ্ট তাই আছেই। আমরা উজ্জীবিত হয়েই মাঠে এসেছিলাম, শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লড়তে তৈরি ছিলাম। কিন্তু আজকে কাজটা আমরা করতে পারিনি। তবে ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত। আজকের (গতকাল) পারফরম্যান্স তাদের গোটা টুর্নামেন্টের পরিচায়ক নয়। তবে এটা আমাদেরকে এটুকু বলে দিচ্ছে যে, কোথায় কাজ করতে হবে এবং কোথায় আরও ভালো হতে হবে। গত নভেম্বরে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকে এক ধাপ এগোতে পেরেছি আমরা। ব্যাপারটি হলো, প্রতিটি পদক্ষেপ ধরে এগোনোর। আশা করি, আজকের (কালকের) অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখতে পারব। ব্যাটাররা তো অবশ্যই।’

 


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নুনেসের শেষের ম্যাজিকে জিতল লিভারপুল
হামজাকে ঘিরে জামালেরও স্বপ্ন
টিভিতে দেখুন
বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের দু’দলেরই বিদায়
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অধিনায়ক রোহিতই
আরও

আরও পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭

প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু

শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু

কী আছে তৌফিকার লকারে?

কী আছে তৌফিকার লকারে?

ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা

ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা

অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা

অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা

শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা

শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা

৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি

৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি

৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ

৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ