ইমরুলের প্রতিপক্ষ রুহুল আমিনই!
১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১০ এএম
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের প্রতিপক্ষ হচ্ছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ফুটবল সংগঠক তরফদার মো. রুহুল আমিনই। এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রতিনিধির মাধ্যমে ফরম জমা দেন তরফদার রুহুল আমিন। তিনি সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে সমর্থন জানিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন ৩ জন। এরা হলেন- বাফুফের বর্তমান সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান, চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউন্সিলর তরফদার মো. রুহুল আমিন ও নারায়ণগঞ্জ মুরাপাড়ার তৃর্ণমূল সংগঠক মনির হাসেন। ইমরুল হাসান আগের দিন নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিলেও কাল মতিঝিলের বাফুফে ভবনে এসেও নির্ধারিত সময়ে ফরম জমা দিতে পারেননি মনির। ফলে এই পদে জমা পড়েছে দু’টি মনোনয়নপত্র। তাই ধরে নেয়া যায় সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ইমরুল-তরফদারই ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হবেন। তবে এটা নিশ্চিত হতে আগামী রোববার দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। বাফুফের নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ধার্য্য করেছে ১৯ অক্টোবর ও ২০ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত। এই সময়ে যদি ইমরুল বা তরফদারের মধ্যে কেউ নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন, তবে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আর ভোট হবে না। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদের কোনটিতেই নিজের মনোনয়ন জমা দেননি ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান। তবে সভাপতি পদের অন্য তিন প্রার্থী যথাক্রমে তাবিথ আউয়াল, আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরী ও মো. শাহাদাত হোসেন যুবায়ের জমা দিয়েছেন মনোনয়নপত্র। কাল দুপুরে তাবিথের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন তার ছোট ভাই আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি তাজওয়ার আউয়াল। আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরী ও মো. শাহাদাত হোসেন যুবায়ের স্বশরীরে বাফুফে ভবনে এসে ফরম জমা দেন। এদিকে রেদোয়ান সভাপতির মনোনয়নপত্র জমা না দেয়ায় এই পদে তাবিথ আউয়ালের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা। কারণ বিভিন্ন জরিপে মিজান ও যুবায়েরের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন তাবিথ। ফলে ধরেই নেয়া যায় বাফুফের আগামী সভাপতি হচ্ছে তাবিথ আউয়াল।
বাফুফের এবারের নির্বাচনে সব মিলিয়ে ৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল। সভাপতি পদে চারটি বিক্রি হলেও জমা পড়েছে তিনটি, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে তিনটি বিক্রি হলে পড়েছে দু’টি। সহ-সভাপতি পদে ১২ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত ৭ জন ফরম জমা দেন। সাবেক তারকা ফুটবলার সত্যজিত দাস রুপু ও ছাইদ হাসান কানন সহ-সভাপতি ও সদস্য পদে মনোনয়নপত্র কিনে শেষ পর্যন্ত শুধু সদস্য পদে ফরম জমা দেন। আর সদস্য পদে ৪৩ জন মনোনয়ন কিনে জমা দিয়েছেন ৪০ জন। আজ নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করবে। যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়নপত্রের ওপর আপত্তি দাখিল ১৭ অক্টোবর এবং শুনানি ১৮ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর ও ২০ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২০ অক্টোবর বিকালে। ২৬ অক্টোবর রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ।
বাফুফে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা- সভাপতি পদে: তাবিথ আউয়াল, আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরী ও মো. শাহাদাত হোসেন যুবায়ের। সিনিয়র সহ-সভাপতি: মো. ইমরুল হাসান ও তরফদার মো. রুহুল আমিন। সহ-সভাপতি: মো.ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী, ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম,মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, সাব্বির আহমেদ আরেফ, সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির, মো. শফিকুল ইসলাম মানিক ও মো. ইকবাল হোসেন।
সদস্য পদে: মাহমুদা খাতুন অদিতি, মো.নজরুল ইসলাম, সৈয়দ মো. শহিদুল ইসলাম, ইয়াকুব আলী, মো.মঞ্জুরুল করিম, আমিরুল ইসলাম বাবু,মো.ইকবাল হাসান জনি, মো. আব্দুল হাফিজ, মাহি উদ্দিন আহমেদ সেলিম, মো. সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া, কামরুল হাসান হিল্টন, এ বি এম মঞ্জুরুল আলম দুলাল, গোলাম গাউস, জাকির হোসেন চৌধুরী, মাহফুজা আক্তার কিরণ, মো.ইকবাল হোসেন, মো.সাইফুল ইসলাম,আ ন ম আমিনুল হক মামুন, মো.শাহিন হাসান,মো.এখলাস উদ্দিন, মহিদুর রহমান মিরাজ, মো. শাহাদাত হোসেন যুবায়ের, টিপু সুলতান, শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, রওশন আখতার ( ডেইজি জাফর), খন্দকার রকিবুল ইসলাম, মো. আমের খান, মো. সাইফুর রহমান মনি, সত্যজিত দাস রুপু, মানস চন্দ্র দাস, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, তাসমিয়া রেজোয়ানা বিনতি, জসিম উদ্দিন খান খসরু, মো. মাহবুবুর রহমান,মো. ছাইদ হাসান কানন, মো. রিয়াজউদ্দিন, মো.শফিকুল আজম ভূঁইয়া,এ কে এম নূরুজ্জামান ও বিজন বড়ুয়া।
বিভাগ : খেলাধুলা