ব্যাডমিন্টনে নির্বাচনী হাওয়া
০৬ মে ২০২৩, ১১:৩১ পিএম | আপডেট: ০৭ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম
দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে ঘরোয়া ব্যাডমিন্টনের লিগ বন্ধ। নানা কারণে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন এই সময়ের মধ্যে বাৎসরিক কোন পঞ্জিকাও দিতে পারেনি। নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষে গত আড়াই বছরে তিনটি এডহক কমিটি দেখেছে এই ফেডারেশন। যে কারণে দেশে খেলাটির মান ক্রমাগত পিছিয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব পরিমল সিংহ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের পুনর্গঠিত অ্যাডহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ করেই নির্বাচনের উদ্যোগ নেন। ফলে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে। বহুল প্রতিক্ষিত এই নির্বাচন আগামী ২২ মে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাডমিন্টনের বৃহত্তর স্বার্থে একটি সম্মিলিত প্যানেল গঠন করার আলোচনা চলছে। ব্যাডমিন্টন যখন ইতিবাচক ধারায় ফেরার অপেক্ষায়, ঠিক তখনি চিহ্নিত একটি মহল নানারকম বানোয়াট তথ্য দিয়ে ও মিথ্যাচার করে কুৎসা রটিয়ে এই উদ্যোগকে ব্যহত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, পরিক্ষীত ব্যাডমিন্টন সংগঠকদের নিয়ে একটি কমিটি হলে বিগত তিন বছর ধরে ফেডারেশনে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট বন্ধ হয়ে যাবে বলেই ওই মহলটি নানারকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ও কল্পকাহিনী ছড়াচ্ছে। যাতে নির্বাচন বানচাল হয়ে ফের অ্যাডহক কমিটির যাতাকলে চাপা পড়ে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক শাটলার জোবায়েদুর রহমান রানা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ব্যাডমিন্টনের বৃহত্তর স্বার্থে একটি কার্যকর ঐক্যবদ্ধ প্যানেল গঠনের জন্য আলোচনা করছি। নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করলে জনপ্রিয় এই খেলাটি হারিয়ে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি ষড়যন্ত্রকারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যারা গেড়ে বসেছে তারা স্বাভাবিকভাবেই ইতিবাচক উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে কাউন্সিলররাই তাদেরকে বয়কট করবেন এবং দেশের ব্যাডমিন্টন সুষ্ঠ ধারায় ফিরে আসবে। এই সিন্ডিকেটের প্রচার করা বিভ্রান্তিকর তথ্য, কুৎসা রটনা, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র নির্বাচনকে রুখতে পারবে না। দেশের ব্যাডমিন্টন খেলার উন্নয়নে কাজ করতে বৃহত্তর স্বার্থে সুষ্ঠধারায় ফিরে নির্বাচনে অংশ নিতে আমি তাদেরকে আহবান জানাই।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে কুৎসা রটানো সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে ২০১০-২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ের অ্যাডহক কমিটির তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। যারা নীট কনসার্ন ক্লাবের এক কোটি ১৮ লাখ টাকার হিসাব দিতে পারেনি। ওই ক্লাবের খেলোয়াড়দের বেতন ও ভাতাও তারা লোপাট করেছিল। এমনকি নি¤œমানের চারটি চায়নিজ ম্যাট (যার একেকটির মূল্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে) এনে ইউনেক্স লোগো লাগিয়ে তা ২০ লাখের অধিক টাকায় ফেডারেশনের নিকট বিক্রি করে। এছাড়া নিন্মমানের কপি শাটল ফেডারেশনের সরবরাহ করে বেশি দামে। এছাড়া এই সিন্ডিকেটের একজন জাতীয় দলের কোচ হয়ে খেলোয়াড়দের কাছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আমাদানীকৃত ক্রীড়া সামগ্রী কিনতে বাধ্য করেন। সূত্রে আরও জানা যায়, এই সিন্ডিকেটের পক্ষ নিয়ে আদাজল খেয়ে নেমেছেন ফেডারেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা তাদের পছন্দের লোকদের নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেটকে নির্বাচনে জিতিয়ে আনার বিষয়ে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নেতৃবৃন্দের উপর বিভিন্নভাবে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছেন।
বিভাগ : খেলাধুলা