পাকিস্তানে না হাইব্রিড মডেল- ভাগ্য নির্ধারণ কাল
২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ পর্যন্ত কোথায় হবে, কীভাবে হবে, সবকিছুর উত্তর জানা যেতে পারে আগামীকাল। সঙ্কট সমাধানের জন্য সেদিন সভা ডেকেছে আইসিসি। ভার্চুয়াল সেই বোর্ড সভায় আলোচনার বিষয় থাকবে ¯্রফে এটিই। এই সভার কথা অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি আইসিসি। টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি। তবে আইসিসির এক মুখপাত্র খবরটি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে। শেষ পর্যন্ত আইসিসি বোর্ডের ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়েবসাইটটি।
আইসিসির বোর্ডে আছেন ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশের প্রধান, সহযোগী দেশগুলির তিনজন প্রতিনিধি, আইসিসির চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী ও স্বাধীন একজন পরিচালক। আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের মেয়াদে শেষ সভা এটিই। আগামী রোববার থেকেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবেন ভারতীয় বোর্ডের সচির জয় শাহ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণে তার বড় ভূমিকা থাকবে এমনিতেও।
২০১৭ সালের পর থমকে থাকা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নতুন পথচলা শুরু হওয়ার কথা আগামী আসর দিয়ে। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ আট দলের এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা পাকিস্তানের তিন শহর লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। তবে আইসিসি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ জানায়নি। এমনিতে বৈশ্বিক আসরের ক্ষেত্রে ১০০ দিন আগেই পুরো সূচি প্রকাশ করা হয়। এবার সেটি এখনও করেনি আইসিসি। ভারতের সরকার ভারতীয় দলকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়াতেই সঙ্কটের শুরু। এখনও যা চলছে। গত এশিয়া কাপেও এই বাস্তবতা দেখা দিয়েছিল। ভারতীয় দল সেবারও পাকিস্তানে না যাওয়ায় ‘হাইব্রিড’ মডেলে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে হয়েছিল টুর্নামেন্ট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রেও একই পথ বেছে নেওয়ার আলোচনা চলছে।
তবে পিসিবির প্রধান মহসিন নাকভি এবার এই পদ্ধতি মানতে রাজি নন একদমই। গোটা টুর্নামেন্টই পাকিস্তানে করতে তারা বদ্ধপরিকর। ভারতীয় বোর্ডকে উন্মুক্ত আলোচনার প্রস্তাবও তারা দিয়ে রেখেছেন। আইসিসির সভায় শেষ পর্যন্ত মহসিন নাকভি কতটা শক্ত অবস্থানে থাকতে পারেন, সেটির ওপরও টুর্নামেন্টের ভাগ্য নির্ভর করবে অনেকটা। নাকভি শুধু পিসিবির সভাপতিই নন, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। ভারতীয় বোর্ডের সচিব ও আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান জয় শাহর বাবা ভারতের স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ। যদি ক্রিকেট রাজনীতির কারণে আইসিসি শক্ত ভূমিকা না নেয় এবং সভায় হাইব্রিড মডেলের সিদ্ধান্ত আসে তাহলে ভারতে হতে যাওয়া আগামী কয়েকটি আইসিসি আসরে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে পাকিস্তান। আগামী বছর নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে। এছাড়া ছেলেদের এশিয়া কাপের ভেন্যুও ভারত। ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকও ভারত।
২০০৮ সালের পর পাকিস্তান সফরে যায় না ভারত। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপর হামলার পর পাকিস্তানে কয়েক বছর কোন দলই ভ্রমণ করেনি। এই সমস্যা তারা কাটিয়ে উঠে পরে। গত চার-পাঁচ বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ সব দলই পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজ খেলেছে। তবে বরাবরই বেঁকে বসে ভারত। দুই দলের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজও বন্ধ সেই ২০১৩ সাল থেকে। পাকিস্তান অবশ্য ভারতে সফর করেছে গত বছরও। ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলো তারা।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আইপিএল নিলামে নাম না তোলার ব্যাখ্যা দিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার
‘চিকিৎসা নিতে করাচি যান, ভারতে নয়’, বাংলাদেশিদের ভিসা বাতিলের দাবি শুভেন্দুর
বৃষ্টির কবলে দ. আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট
ইসকন দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে - বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন
আওয়ামী নেতাদের নির্দেশে চট্রগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টির ব্যর্থ চেষ্টা
সাত কলেজ অনার্স প্রথম বর্ষের কালকের পরীক্ষা স্থগিত
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের ১২ নেতাকর্মীর পদত্যাগ কমিটি বাতিলের দাবি
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে মহা জট, ফড়নবিশকে জরুরি তলব দিল্লিতে
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ফখরুল ইসলামের
আইনজীবী সাইফুল হত্যাকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার
আইনজীবী হত্যার অবিলম্বে বিচার চাই -ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা দক্ষিণ
ফ্যাসিবাদের দোসর উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন’কে নিষিদ্ধ করা হোক আলহাজ হাফিজ সাব্বির আহমদ
ভারতের প্রেসক্রিপশনে ইসকন বাংলাদেশে অশান্তি করছে: হাসনাত
ডোমিনোজ পিৎজা এখন মহাখালীতে
বিএনপি জনগণের দল, 'ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিন' অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া
ইসকন ভারতের হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দেশব্যাপী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
ইসকনের মিথ্যাচার ও ভারতীয় মিডিয়ার সিন্ডিকেট নিউজ
ঋণগ্রহীতা মারা যাওয়ার পর পাওনাদার তার পাওনা মাফ করে দেওয়া প্রসঙ্গে।
সংস্কারের প্রাসঙ্গিকতা