স্বচ্ছতার অভাবে একাদশ সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে : সিইসি
১৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৩২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সরকার স্বচ্ছতা বিশ্বাস করলে ও ভালো নির্বাচন চাইলে ভোটের দিন নেটওয়ার্কের গতি কমিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। স্বচ্ছতার অভাবে একাদশ সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। সেজন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। গণমাধ্যমের বিপক্ষে কখনোই আমাদের অবস্থান নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের যে কর্মকাণ্ড, সার্বিক স্বার্থে যদি নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন হয়, সেই জিনিসগুলো আমরা দেখব। নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি›র (আরএফইডি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় গতকাল সিইসি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনে কর্মরত সাংবাদিকরা নির্বাচনের সময় পেশাগত কাজ করতে গিয়ে নানা ধরণের হয়রানি ছাড়াও যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন সেসব বিষয় নির্বাচন কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের পুলিশি বাধার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন অনুমতি দেয়ার পরেও পুলিশ ঢুকতে না দিলে সিরিয়াসলি নিতে হবে আমাদের। পুলিশ ঢুকতে না দিলে ছবি তুলে দেখানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের ক্যামেরা থাকবে। তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে পুলিশের সঙ্গে সেই দৃশ্য আপনারা ক্যামেরায় ধারণ করে আমাদের অবহিত করতে পারেন। যতটুকু ক্ষমতা আমরা গণমাধ্যমকে দেবো, সেটা যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্য হয়তো কমিশন একমত হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়গুলো দেখব।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আপনাদের দায়িত্ব পালনে বিধি-বিধান সহায়ক হোক। আপনারা আরও উদার, বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চিত্র, সংবাদে ধারণ করে যদি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে আগামী নির্বাচন দেশবাসীর কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
তিনি বলেন, যতই সাংবাদিকদের বাধা দেয়া হবে ততই উনাদের মনে হবে-ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। এ ধরনের একটা ভাব সৃষ্টি হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি স্বচ্ছতা লাগবে। স্বচ্ছতা না হলে আমরা আবারও গত নির্বাচন যেভাবে বিতর্কিত হয়েছে হয়তো পুরোটাই সত্য নয়...কাজেই স্বচ্ছতার বিষয়টাতে আমাদের জোর দিতে হবে।
ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সেøা করা যদি অপকৌশল হিসেবে করা হয়, তাহলে নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত করবে। এটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত। সরকার যদি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে, তাহলে নির্বাচনের দিন এ জিনিসগুলো না করলেই বোধ হয় ভালো হবে। কেননা এতে সন্দেহের উদ্বেগ হবে। অনেকেই ভাববেন অপকর্মের জন্যই এটা করা হয়েছে। অন্য এক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের কর্তৃত্ব খর্ব করা ঠিক হবে না। তিনি ভোটের দিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে থাকেন। তবে তিনি কোনো অপকর্ম করলে আইনে বিধান আছে। এতে কোনো ঘাটতি থাকবে না।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়া ও আব্দুস সালাম পিন্টুর রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও শীতবস্ত্র বিতরণ
নকল ওষুধ কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: একজনকে কারাদণ্ড
পাহারা দিয়ে অস্ত্রসহ তিন চাঁদাবাজ ধরলেন গ্রামবাসী
লক্ষ্মীপুরে দেওয়ালে লিখে সমন্বয়ককে হত্যার হুমকি
তিতুমীর কলেজের মূল ফটকে বিশ্ববিদ্যালয় লেখা ব্যানার
চকরিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল
জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কাজ দেয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারী বৃষ্টিতে মক্কা-মদিনায় বন্যা
ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল চলাচল বন্ধ
দুই মাস পর চালু হলো পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন
ভারতের কাঁটাতারের বেড়ায় বাংলাদেশ, এখনও বিচার পায়নি ফেলানী
ঝিনাইদহে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের স্মারকলিপি পেশ
ইউক্রেনের কুরাখোভ শহর দখল, দাবি রাশিয়ার
দুমকি প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল, সম্পাদক সাইদুর
জকিগঞ্জে শীতার্তদের মাঝে পৌর আল-ইসলাহ'র শীতবস্ত্র বিতরণ
‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানো থিংকট্যাঙ্কের সাথে জড়িত শেখ রেহানার ছেলে-মেয়ে: দ্য টাইমস
অনৈতিক আচরণে মোনালির কনসার্ট ত্যাগ, ম্যানেজারকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, কি বললেন মোনালি?
১৫২ কর্মকর্তাকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে বললো ইসি
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন