নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আমদানি কমেছে
১১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:০৮ পিএম
শেরপুর গারো পাহাড়ের নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে অনুমোদিত ১৯ পণ্য আমদানির কথা থাকলেও মাত্র ১ পণ্য পাথর আমদানি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ভুটান থেকে কয়লা এলেও হঠাৎ সেটির আমদানিও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সব অবকাঠামোগত সুবিধা সত্যেও অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে স্থলবন্দরটি। ব্যবসায়ীগণ অনুমোদিত সকল পণ্য আমদানির জোর দাবি জানিয়েছেন। বন্দর দিয়ে সব বৈধ পণ্য আমদানি করতে না পেরে ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন লোকসান গুনছেন। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক ও রয়েছে কাজ সংকটে।
অপরদিকে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ব্যবসায়ীরা পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গাবরাকুড়া স্থলবন্দর, কড়ইতলা স্থলবন্দর ও জামালপুরের কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে ঝুঁকছেন।
জানা গেছে, এ বন্দর দিয়ে অনুমোদিত আমদানিযোগ্য পণ্যগুলো হলো- পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, বলক্লে, কোয়ার্টজ, চায়না ক্লে, গবাদি পশু, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মাছের পোনা, তাজা ফল, গাছ, বীজ, গম, মরিচ, রসুন ও আদা। এ বন্দরে ভারত থেকে শুটকী মাছ ও সুপারি আমদানি লাভজনক বলে ব্যবসায়ীরা জানান। শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কাজ করে আরও প্রায় ১ হাজার শ্রমিক। লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন, আমদানি রপ্তানিকারক সমিতি ছাড়াও শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। তারা এ বন্দরে কাজ করেই সংসার চালান। সেই সাথে সরকার পাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। কিন্তু ব্যসায়ীরা সব ধরনের বৈধপণ্য আমদানি করতে না পারায় স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
এলাকাবাসী জানান, সাবেক মন্ত্রী-সংসদ উপনেতা ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের এমপি বেগম মতিয়া চৌধুরী গত ১৯৯৭ সালে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁওয়ে শুল্ক বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৯ সালে তৎকালীন নৌ- পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেন। সাড়ে ১৩ একর জমির ওপর ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় স্থলবন্দরের অবকাঠামো। ২০১৫ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পরিচালনায় শুরু হয় কার্যক্রম।
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও সম্পাদক অরুণ চন্দ্র সরকার বলেন, বার বার তাগাদা দিয়েছি অন্য সব পণ্য আনার জন্য। কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। সহজ আমদানিযোগ্য পণ্যের অনুমতি ও দে’য়া হচ্ছে না। বিশেষ করে বন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ভারতের আসামের জাগির রোডে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শুঁটকির বাজার। দেশে চাহিদার পরও শুঁটকি আমদানি করা যাচ্ছে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে বারবার আবেদন করেও ফল হচ্ছে না। দ্রুত সময়ে সমাধান না হলে আমাদের পথে বসতে হবে। শ্রমিকরা না খেয়ে মরবে। সরকারের নিকট অনুমোদিত পণ্য আমদানির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছয় প্রার্থী লড়ছেন মার্কিন নির্বাচনে
নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ফলাফল জানা যাবে কখন?
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু
নিরাপত্তা তথ্য ফাঁসের দায়ে নেতানিয়াহু’র শীর্ষ চার কর্মকর্তা গ্রেফতার
ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা
যশোরে স্কুল ছাত্রীর হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার
জাল ফেললেই ওঠছে প্রচুর ইলিশ
ট্রাম্প না কমলা, কে পাবেন মুসলিম ভোট?
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন ‘অস্থিতিশীল উপস্থিতি’: ইরান
‘গণপিটুনিতে’ সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে নিহত
বিকেলে সিদ্ধান্ত এলপি গ্যাসের দাম কমবে না বাড়বে
ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল
বেরোবিতে ফের ছয় যুগল আটক
রাত পোহালে ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
ফের গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
পঞ্চগড়ে যুবদলের কর্মীসভায় ককটেল বিস্ফোরণ
যশোরে আলাদা অভিযানে মাদক দ্রব্যসহ ৪ জন আটক
শাকিব-পূজার প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললো পূজা চেরি
নেইমার ছিটকে গেলেন আবারও
প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড সফরে নারী দল