কেপিএম সড়কের বেহাল দশা
১৭ জুন ২০২৩, ০৯:৫৮ পিএম | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩, ১২:০২ এএম
চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কেপিএম সড়ক সংস্কার না করায় হাজার হাজার মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি খ্রিস্ট্রিয়ান হাসপাতাল থেকে পেপার মিলের ২য় গেইট পর্যন্ত সড়কের অধিকাংশ স্থানই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে রোডের বেহাল দশা। এই ছোট-বড় খানাখন্দে ভরাসহ সড়কটি যানচলাচলের একদম সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শুধু যান চলাচল নয়, জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতেও চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্নস্থানে এইসব গর্ত হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকে। তাছাড়া এসব গর্তের উপর দিয়ে অটোরিকশা, মোটর সাইকেল, মালবাহী গাড়ি, কিংবা যাত্রীবাহী ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি লেগেই আছে। গত সোমবার ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, কেপিএম আবাসিক এলাকার থানাঘাট গেট থেকে খৃস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানের অবস্থা আরো ভয়াবহ। বিশেষ করে সড়কটির অধিকাংশ স্থানে সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো দিন দিন আরো বড় হয়ে ভয়াবহ হচ্ছে। এমতাবস্তায় ওই পানিবদ্ধতা ও কাদামাখা সড়কটি দিয়েই জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়া, সড়কের পাশে নদী ভাঙ্গন রোধে ধারক দেয়াল নির্মাণ করা হলেও সড়কের বেহাল দশায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দেয়ালটি।
যেকোন সময় সড়কের কিনারা ধসে পুরো সড়ক ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করেন পথচারীরা। উক্ত সড়কের কয়েকজন পথচারী বলেন, এই সড়কটি দিয়ে প্রায় সময় তাদের চন্দ্রঘোনা পোস্ট অফিস, সোনালী ব্যাংক এবং কর্ণফুলী পেপার মিল এলাকা, লিচুবাগান, খাঁনকা মাজার, খৃস্ট্রিয়ান হাসপাতালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তু সড়কের এমন বেহাল অবস্থায় তাদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালকেরা সহজে আসতে চায় না বলে তারা জানান। অনেক সময় দ্বিগুণ ভাড়ায় গাড়ি আনতে হচ্ছে । তাই তারা সকলেই এই সড়কটি দ্রæত সংস্কার করার জোর দাবি জানান।
সিএনজি চালকরা জানান, ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে সিএনজি চলাচল করতে হয়। কখন দুর্ঘটনা ঘটে যায় কে জানে। এই সড়কের পাশে খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের কবরস্থানের বাউন্ডারি দেয়াল করতে ঠিকাদারের অবহেলায় কবরস্থানের পাশের রাস্তায় মাটি ফেলে সড়ক সংকুচিত করে রেখে যায়, যার কারণে গাড়ি ক্রস করতে সমস্যা এবং বৃষ্টি পড়লে সড়কের নেমে আসে কাদামাটি। চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন বলেন, বারবার ঠিকাদারকে জানানোর পরও মাটি সরানো হয়নি। তিনি আরো জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য রাঙামাটি জেলা পরিষদ ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ঠিকাদার সংস্কারের কাজ শুরু করেনি। আমি আশা করি, সহসাই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করবে প্রতিষ্ঠান।
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক জানান, কেপিএম গেট-মিশন সড়ক সংস্কারের জন্য রাঙামাটি জেলা পরিষদে একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ থেকে ওই সড়ক সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জর্ডানে যৌথ সামরিক মহড়া
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে চীন-রুশ প্রেসিডেন্টের বিনিময় খুব গুরুত্বপূর্ণ
টোলের নামে চাঁদাবাজিতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম : সাঈদ খোকন
মাইজিপি অ্যাপেই খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাকাউন্ট
আ.স.ম আবদুর রবকে দেখতে গেলেন মির্জা ফখরুল
২৫ দিনেও ধরতে পারেনি সেই ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার
ইউরোপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবসায় প্রবেশপথ হবে বাংলাদেশ-তুরস্ক
লৌহজংয়ে সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কর্তন উদ্বোধন
মোরেলগঞ্জে যুবকের গলায় রশি পেচানো লাশ উদ্ধার
ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে
অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক
সকল শ্রেণির মানুষের জীবনমান উন্নয়নই এ সরকারের লক্ষ্য
ইবিতে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি শিক্ষক সমিতির
ইন্দুরকানী উপজেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
শোক সংবাদ
পটিয়ায় আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি
ইসরায়েলি ও ভারতীয় পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি ইসলামী আন্দোলনের
জেগে উঠল আগ্নেয়-দানব মাউন্ট ইবু! আকাশে পাঁচ কিলোমিটার ছড়াল ছাই
নতুন কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে বিএনপি : নজরুল ইসলাম খান