হরিরামপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
২৪ জুন ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি কানাডায় বসবাস করি। জনগনের ভালোবাসায় আমি দেশে আসি এবং দুই বার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হই। আমি সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম দুটি নির্বাচনে একান্তভাবে তার সাথে কাজ করেছি। বেশ কিছুদিন ধরে হঠাৎ করেই তার অনুসারীরা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে আমি সভাপতি হলে ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমপি মমতাজ বেগমের লোকজন ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত এক অভিভাবক সদস্যকে মারধর করে এবং আমাকে হেনেস্তা করার চেষ্টা করে। সম্প্রতি সরকারীভাবে পদ্মা নদীর বালু মহাল ইজারা দিলে আমি ইজারা পাওয়ার পর থেকেই এমপির লোকজন বিরোধিতা করছে এবং আমার লোকজনকে মারধর করছে। থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকেও মামলা নেইনি।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেসহ আমার লোকজনের বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে এমপির লোকজন। আমি ৪০ বছর ধরে আ.লীগের রাজনীতি করি। আর এখন আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে তিনি নিরাপত্তার দাবি করে বলেন, আমার যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে এমপি মমতাজই এর জন্য দায়ী থাকবেন।
এমপি মমতাজ বেগমের অনুসারী সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলের বাহিনী ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতার হামলা করছে। অনেকে জখম হয়ে এখনও হাসপাতালে। আমার ওপর যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এমপি মমতাজের কোনো নিজস্ব বাহিনী নেই। তিনি আওয়ামী লীগের এমপি। হরিরামপুরে আ.লীগ যারা করেন, তারা সবাই এমপির লোক।’
মামলা না নেয়ার ব্যাপারে জানতে হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্যের মোবাইলে ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম জানান, ‘আমার কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী নেই, এটা হরিরামপুর নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষই জানে। কারণ আমি একজন শিল্পী। মা, মাটি ও মানুষের জন্য গান গাই এবং তাদের জন্যই রাজনীতি করি। আমার কর্মকা- এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের কর্মকা- হরিরামপুরের মানুষ জানে। আ.লীগের নেতাকর্মীর সাথে উপজেলায় চেয়ারম্যানের কেনো তার সখ্যতা নেই? তিনি কী কারণে আমার ওপরক্ষুদ্ধ আমি জানিনা। তবে তার ইন্দনে ও তার ছেলের নেতৃত্বে আ.লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতাদের ধারাবাহিকভাবে মারধর করেছে। আজও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তিনি ও তার ছেলে বেপরোয়া হয়ে গেছেন।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

চট্টগ্রামের আল্লামা সুলতান যওক নদভী’র দাফন সম্পন্ন

সাংবাদিকদের সহযোগিতা আমার কর্মপথকে সহজ করেছে : বুড়িচংয়ের বিদায়ী ইউএনও

মির্জাপুরে মাটিমাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

ক্রীড়াঙ্গনে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

ফেনীতে চায়না -বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপহাসপাতাল স্হাপনের দাবিতে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলেন বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের নুরুল হক

মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের এই জনশ্রোত কেন ?

ছাগলনাইয়ায় মসজিদ মিশন এর উদ্যোগে ইমাম ও ওলামা সমাবেশ

ছাত্ররা যা করেছে তাদেরকে স্যালুট জানাই- ডা: সালাউদ্দিন বাবু

ক্ষতিকর গেম বন্ধ করা হোক

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতা

জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে

সীমান্তে হত্যা-নির্যাতন বন্ধে সরকারকে আরো শক্ত অবস্থান নিতে হবে

সিলেট বিমানবন্দর হয়ে যাচ্ছেন না বেগম জিয়া !

মারা যাওয়া সন্তানের আকিকা দেওয়া প্রসঙ্গে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সম্মাননা পেলেন কুমিল্লার ছয় সাংবাদিক

সিনেমায় রেসলার হয়ে আসছেন ডোয়াইন জনসন

নতুন ধারাবাহিক ‘ছাত্রাবাঁশ’

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় ইকরি মিকরি প্রদর্শনী

স্পেনে সেরা মানবিক সিনেমার জন্য মনোনীত মাস্তুল