গরমের দাবদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দিনে-রাতে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লুকোচুরি খেলা। সপ্তাহজুড়ে বিদ্যুতের এই ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মানুষ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা। দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে লোডশেডিং। সন্ধ্যা নামলেই প্রতিটি অঞ্চলজুড়ে বিরাজ করছে ঘুট ঘুটে অন্ধকার।

গত শুক্রবার উপজেলার বৈরাগ, গুয়াপঞ্চক, বারশত, বরুমছড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা দফায় দফায় লোডশেডিং হয়। ইফতারের পর ফের শুরু হয়ে দফায় দফায় লোডশেডিং। এই এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসাপাতা ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক।
বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর গুয়াপঞ্চক নবনূর জামে মসজিদের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিছ বলেন, ‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা। দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে লোডশেডিং। এমনকি মসজিদে নামাজ পড়ার সময়ও লোডশেডিং হচ্ছে। এতে গরমে মসজিদের মুসল্লী থেকে শুরু করে চরম কষ্ট হচ্ছে সকলের।’

বরুমছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক বলেন, দুঃসহ গরমের সঙ্গে দিনে-রাতে চলছে প্রচন্ড দাবদাহ। দিনে বিদ্যুৎ থাকে না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ থাকে না। ছোট বাচ্চাদের চরম কষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও সন্ধ্যা নামলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার ঘটনাসহ বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি ঘটনাও ঘটছে।

জানতে চাইলে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিদিন আনোয়ারায় বিদ্যুতের চাহিদা ২৪ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা পাচ্ছি। ফলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।’