বড়াইগ্রামে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ

Daily Inqilab বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা

১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম

বড়াইগ্রামে ১২৪ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কচুগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে এবং আগের নাম পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিন শতাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী চলনবিল প্রবাহ সম্পাদক মাহমুদুল হক খোকনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) নাটোর জেলা সভাপতি ডা. এসএম জাকির হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা রাজিবুল হক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল হাসান ফারুক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান, সাবেক ইউপি সদস্য ওলিউল্লাহ ডাবলু, আ.লীগ নেতা আব্দুল মান্নান এবং ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান মন্টু বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, নেতিবাচক ভাবার্থ থাকা ও শ্রুতিকটু নামগুলো পরিবর্তনের কথা। কিন্তু কচুগাড়ি নামটি কোনভাবে নেতিবাচক বা শ্রুতিকটু নয়। তারপরও ১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে মতামত চাইলে গত ৩ ডিসেম্বর পরিচালনা কমিটি নাম পরিবর্তন না করার জন্য লিখিতভাবে শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানায়। কিন্তু তারপরেও বিদ্যালয়ের নাম মাধবীলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। এটা এ এলাকার লোকজন মানতে পারছেন না। আমরা অবিলম্বে কচুগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামটি পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা শুধুমাত্র নেংটাদহ ও ভবানীপুর স্কুলের নাম পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু অন্য স্কুলগুলোর নাম কিভাবে পরিবর্তন হলো তা আমার জানা নাই।

তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম নবী জানান, কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি যদি পূর্বনাম বহাল রাখতে চান, তাহলে তারা মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করতে পারেন।

 


বিভাগ : অভ্যন্তরীণ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুমকীতে কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-৫

দুমকীতে কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-৫

ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের ইন্তেকাল

ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের ইন্তেকাল

রাজবাড়ীতে ভোট চেয়ে বাড়ী ফেরার পথে একজনকে কুপিয়ে জখম

রাজবাড়ীতে ভোট চেয়ে বাড়ী ফেরার পথে একজনকে কুপিয়ে জখম

৫ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর

৫ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর

গোদাগাড়ীতে কৃষি মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহেল

গোদাগাড়ীতে কৃষি মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহেল

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্য পেলেই অভিযান : র‌্যাব পরিচালক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্য পেলেই অভিযান : র‌্যাব পরিচালক

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত

প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত

ফ্রান্সে ইহুদি উপাসনালয়ে আগুন, অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা

ফ্রান্সে ইহুদি উপাসনালয়ে আগুন, অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা

নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে

নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে

বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

নদী ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘূম রাত কাটে উপকূলবাসীর

নদী ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘূম রাত কাটে উপকূলবাসীর

দিঘিতে মিলল এক মণ ওজনের কোরাল, বিক্রি ৪০ হাজারে

দিঘিতে মিলল এক মণ ওজনের কোরাল, বিক্রি ৪০ হাজারে

সুধা রানীর হাদিসের প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে তোলপাড়, যে ব্যাখ্যা এনটিআরসির

সুধা রানীর হাদিসের প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে তোলপাড়, যে ব্যাখ্যা এনটিআরসির

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ চেয়েছে দ. আফ্রিকা

গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ চেয়েছে দ. আফ্রিকা

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

দৌলতপুরে পদ্মায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

দৌলতপুরে পদ্মায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

কলকাতায় ফের করোনা আতঙ্ক, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৫

কলকাতায় ফের করোনা আতঙ্ক, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৫

মুখোমুখি বিতর্কে রাজি বাইডেন ও ট্রাম্প, কবে হবে জোড়া বাকযুদ্ধ?

মুখোমুখি বিতর্কে রাজি বাইডেন ও ট্রাম্প, কবে হবে জোড়া বাকযুদ্ধ?

তিন দশকের মধ্যে গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে

তিন দশকের মধ্যে গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে