আইনি জটিলতায় নষ্ট হচ্ছে জেলেদের নৌকা
০৮ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ০৮ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রমে টাস্কফোর্সের অভিযানে জব্দ করা হয় জেলেদের ৬০টি নৌকা। প্রায় কোটি টাকা মূল্যের এসব নৌকা এখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শহরের মাদরাসা রোডে লঞ্চঘাটের দুই পাশে অভিযানে জব্দকৃত নৌকাগুলো অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। মামলাসহ বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই কেবল জেলেরা তাদের নৌকা ফিরে পাবেন। ততোক্ষণে হয়তো নৌকাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অবৈধভাবে নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের হাতেনাতে আটক ও তাদের হেফাজতে থাকা নৌকা জব্দ করা হয়। দুই মাসে আটক তিন শতাধিক জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানা করা হয়। এ সময় জেলেদের সঙ্গে থাকা জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং নৌকা মামলার আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ।
চাঁদপুর শহরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকার জেলে রমজান আলী, ইছহাক ও মহসীন মিয়া বলেন, আমরা গোপনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নেমে মাছ ধরেছি। যে কারণে দুই মাস জেল খাটতে হয়েছে। জেল থেকে বের হয়ে দেখি আমাদের নৌকাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আদালত যদি কম সময়ের মধ্যে আমাদেরকে নৌকাগুলো নেওয়ার নির্দেশ দেন তাহলে নিতে পারবো। বর্তমানে কিছু নৌকা ভেঙে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে।
চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, জাটকা রক্ষার এবারের অভিযান কঠোর হয়েছে। অভিযানে অনেক জেলে আটকসহ জাল, জাটাকা ও নৌকা জব্দ হয়েছে। এর মধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযানে এবং নৌ-পুলিশের অভিযানে মাছ ধরার নৌকা জব্দ হয়। সব বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ হয়েছে। জব্দ নৌকার বিষয়ে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, গত দুই মাসের মৎস্য অভিযানে যেসব নৌকা জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো পরবর্তী আইনানুগ নিষ্পত্তির জন্য কার্যক্রম চলমান আছে। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশক্রমে কিছু নৌকা মালিক ফেরত পেয়েছেন। বাকিগুলো সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, এ বছর দুই মাসের অভিযানে জেলা টাস্কফোর্স ৬০টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করে। এসব নৌকা বর্তমানে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। জেলা টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব নৌকা নিলামে বিক্রি করবে। আর নৌ পুলিশের হেফাজতে থাকা নৌকা আদালতের নির্দেশের পর মালিক নিতে পারেন।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রিটেনে ধনকুবেরদের তালিকায় শীর্ষে হিন্দুজা, রাজাকে টপকালেন সুনাক!
মেরিনড্রাইভ সড়কে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত
ইসরাইলে বিস্ফোরক পাঠাচ্ছে ভারত! অস্ত্র বোঝাই জাহাজ আটকাল স্পেন
পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলের কানেকটিভিটি বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লার সভায় ছুরি হাতে তাণ্ডব আততায়ীর
ইতালি কি ইথিওপিয়াকে ঔপনিবেশিক শোষণের ক্ষতিপূরণ দেবে?
সরকার নানা কায়দায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্যাতন শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
কালশীতে রিকশাচালক-পুলিশের সংঘর্ষে পথচারী গুলিবিদ্ধ
ইউরোপিয়ান সোশ্যাল বিজনেস ট্যুরে প্রফেসর ইউনূস
মুস্তাফিজের অভাব বোধ করেছে দল: চেন্নাই অধিনায়ক
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা চেয়ারম্যান প্রার্থী : টিআইবি
ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা কি সত্যিই বিস্ফোরিত হয়েছে?
গাজায় যুদ্ধাপরাধের তদন্ত দাবি করেছে জর্ডান
পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট রিফর্ম স্ট্রাটেজি প্রণয়নের কাজ শুরু
বাজার থেকে এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ
কোহলির যে কথায় মুগ্ধ আফ্রিদি
ভারতীয় ভাতাপ্রাপ্ত এজেন্সীগুলো দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে: রাশেদ প্রধান
ভারতীয় ভাতাপ্রাপ্ত এজেন্সীগুলো দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে: রাশেদ প্রধান
জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে উলামায়ে কেরামগণকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে : মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
মূল খেলোয়াড়দের ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর