৮৫ বছরেও জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড

মো. সম্রাট হোসাইন, পঞ্চগড় থেকে

২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

পঞ্চগড় সদর উপজেলার হারিভাষা ইউনিয়নের এক নিভৃত পল্লী দক্ষিণ মাটিয়া পাড়া এলাকায় বসবাস করেন মোছা. সহিদা খাতুন নামের এক ৮৫ বছরের বৃদ্ধা। ২৫ বছর পূর্বে মারা যান তার স্বামী আব্দুল কাদের।১১ সন্তানের জননী বৃদ্ধা সহিদা খাতুন।সবাইকে বিয়ে দিয়ে অটোভ্যান চালক সন্তানের ঘরে খেয়ে না খেয়ে চলছে এই বৃদ্ধার জীবনের বাকি দিনগুলো। অথচ আজ পর্যন্ত জোটেনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড।বার বার চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের কাছে ধর্না দিয়েও কোন ফল পাননি দাবি তাদের।
ছোট ছেলে শাহিনুরের ঘরে বসবাস। বয়সের ভারে এখন ঠিক মত চলতেও পারেন না। তার উপর রয়েছে বার্ধক্যজনিত নানা রোগবালাই। অভাব অনটনের সংসারে মায়ের চিকিৎসা ঠিক মতো করাতে পারছে না ভ্যানচালক সন্তানরা। সম্প্রতি সদর হাসপাতালে দেখা এই বৃদ্ধা ও তার ছেলে শফিজুল ইসলামের। তিনি অভিযোগ করে বলেন- ১৯৩৯ সালে জন্ম নেয়া আমার মা সহিদা খাতুন বয়স এখন ৮৫ বছরেরও বেশী। ৬২ বছর বয়স পূর্ণ হলে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার কথা। কেন বয়স্ক ভাতা পাবেন না। এর জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে ধর্না দিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি দাবি শফিজুল ইসলামের।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার জুলহাজ আলী বলেন, ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। ওই বৃদ্ধাকে বয়স্ক ভাতা প্রদানের জন্য সুপারিশ করবেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোছা. লায়লা আরজুমান, ভাতার কার্ড না হয়ে থাকলে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

বিভাগ : অভ্যন্তরীণ