বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় আমন ধান হেলে মাটিতে

ক্ষতির মুখে গোদাগাড়ীর কৃষক

বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় আমন ধান হেলে মাটিতে

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) থেকে মো. হায়দার আলী :

৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে আমন ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কাঁচা, আধাপাঁকা, আমন ক্ষেতের সাথে বেগুন, টমেটো, ভিন্ডি, সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকগণ বলছেন সব জমিতে ধান হেলে পড়ে যায় নি। বেশ কিছু জমির ধান ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সাথে নিয়ে হেলেপড়া কয়েকটি ধান গাছকে এক সাথে বেধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন যেন ফলন কমে না যায়।

গোদাগাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভার আমন ক্ষেতের কাঁচা ও অধাপাঁকা ধান গাছ মাটিতে হেলে পড়ায় ফলনে কম হওয়ার আশাংঙ্কা করছেন সচেতন কৃষকগণ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে এ বার আমন ধান চাষ হয়েছে তবে হেলে পড়া জমির পরিমান তাদের নিকট নেই।

গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিশালবাড়ী এলাকার বর্গাদার কৃষক আলাউদ্দিন জানান, তার তিন বিঘা জমির আমন ক্ষেত টানা বৃষ্টি, বাতাসে হেলে পড়েছে। হেলেপড়া ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে ফলন কমে যাবে। তিনি বলেন, এতে তার হাজার হাজার টাকা লোকসান হবে। ভাজনপুর এলাকার দুলুদেব, জানান, দু’বিঘা জমির জমির ধান হেলে পড়েছে এতে ব্যাপক ক্ষতি হবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতুনো সরকার বলেন, বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের আমন ধান ক্ষেতের ধান গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। সেগুলি কৃষকদের নিয়ে লজিং অপ করে দিচ্ছি। এটা হেলে পড়া কয়েকটি ধান গাছকে এক সাথে বেধে দাঁড় করানো হচ্ছে। গতকাল আমার ব্লকের ৫০ বিঘা জমির ধান গাছ এ পদ্ধিতিতে দাড় করানো হয়েছে। আজকেও করা হচ্ছে। এতে ফলনের সমস্যা হবে না।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোমিনুল ইসলাম বলেন, কি পরিমান ধান গাছ পড়ে গেছে তার তথ্য নেই। এ উপজেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিকে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। রাস্তার ধারে সামান্য জমির ধান গাছ হেলে পড়ে গেছে। মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের লজিং আপ করার পরামার্শ দিচ্ছি কৃষকদের পচনের স্পে করার করার কথা বলছি, কোন সমস্যা হবে না।

এ ব্যপারে আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, যে ধানের শীর্ষ সোনালী আকার বা চাউল এসেছে সেগুলি সমস্যা হবে না।

বিভাগ : অভ্যন্তরীণ