ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ রাঙ্গুনিয়াবাসী
০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ঘন ঘন পল্লী বিদ্যুৎ-এর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার তৃণমূলে প্রায় জায়গায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। ৭ থেকে ১০ বারের বেশি লোডশেডিংয়ের হয়ে থাকে। এই ভোগান্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন গ্রাহকরা। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, উপজেলায় পরিছন্ন কাজ চলায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলা পোমরা, বেতাগী, সরফভাটা, চন্দ্রঘোনা, পারুয়া ইউনিয়নসহ, উত্তর ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার সর্বত্র লোডশেডিং চরম পর্যায়ে চলে গেছে। এর মধ্যে উপজেলার চন্দ্রঘোনায় দিনের ১৫ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। পোমরা ও বেতাগীতে ১০ থেকে ১৫ বার লোডশেডিংয়ের হয়ে থাকে। এতে চরমভাবে ক্ষেপে আছে এসব স্থানের সাধারণ লোকজন।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ রাঙ্গুনিয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ২ হতে ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এসব নির্দেশনা রয়েছে বিদ্যুতের কেন্দ্রের থেকে। অপরদিকে নতুন সংযোজনের কাজ চলমান আছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুতের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাহলে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে কেন? যখন গরম বেশি পড়ে, তখন লোডশেডিং বেড়ে যায়। এতে ভোগান্তি বেশি হয়। তারা বলেন, উপজেলায় ঘনবসতি বাড়ছে। অন্যদিকে ১৫ দিন আগে এলাকায় প্রচণ্ড গরম পড়ছিল। যার ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে আর বাসায় থাকা যায় না। মনে হয় যেন আগুনে জ্বলে পুড়ে মরে যাচ্ছি।
গতকাল রোববার ভোর থেকে বিকেল ৩টা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ও দোভাষী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ‘সকাল থেকে রাতে ১০ পর্যন্ত প্রায় বিদ্যুৎ থাকে না। যেভাবে লোডশেডিং এতে মনে হয় যেন পরিকল্পিতভাবে এ লোডশেডিং করা হচ্ছে। চন্দ্রঘোনার পাঠান পাড়ার বাসিন্দা মো. মহসিন চৌধুরী বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা এমন কোনো সময় নেই যে, লোডশেডিং হচ্ছে না। এমনকি সন্ধ্যায় পর্যন্ত বিদ্যুৎ চলে যায়। মাঝে মধ্যে দেখা যায় রাত্রে বিদ্যুৎ চলে গেলে ৩ ঘণ্টায় আর আসেনা। পদুয়া বাজারের ভাপা পিঠা দোকানি রুপা দাশ বলেন, ‘বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ার খেলা দেখে মনে হয়, বিদ্যুৎ আমাদের সাথে অভিনয় করছে। প্রচন্ড গরমের মুহূর্তে অর্ধেকের বেশি সময়ে বিদ্যুৎ ছিল না। অথচ বিল আসে বেশি।’
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ রাঙ্গুনিয়া সদর হেড অফিসের ডিজিএম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘ঠিকাদারের কাজ এর পাশাপাশি বিভিন্ন মহল্লায় সড়কে থাকা বিদ্যুৎ-এর কুটির সাথে গাছে আগাছা গুলি ছাঁটানোর কাজ চলছে। বিদ্যুৎলাইন একদিকে বন্ধ রেখে অন্যদিকে চালু রাখতে হয়। ওই কারণে লোডশেডিং লেগে থাকে। আর ওদিকে ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছা মতো কাজ করে থাকেন। ওরা আমাদের কোনো দিকনির্দেশনা মানেনা।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র বৈঠক, হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা থাকবে
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
প্রবাসীদের যে জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
জাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন, ফটকে তালা, মশাল মিছিল
মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
"নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন গ্লোবাল তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি"
ড. ইউনূসকে নিয়ে খালেদা জিয়ার পুরোনো যে বক্তব্য ভাইরাল
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের শুভ কামনা
আলোচনায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ‘টুস করে ফেলে দেয়ার’ হুমকি
দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি: খোকন
'ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে অভিনেতা তারিক আনাম খানের নাটক'
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ