ঢাকা   বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২২ কার্তিক ১৪৩১

হাতির তা-বে চরম আতঙ্কে গারো পাহাড়ের মানুষ

Daily Inqilab এস. কে. সাত্তার, গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চল থেকে

০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

শেরপুর গারো পাহাড়ের নালিতাবাড়ীর ধানখেতে জেনারেটর তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়। মৃত হাতিটি মাটিচাপা দেয়া হয়েছে গত শুক্রবার। ঐস্থানে প্রতি রাতে আসছে ৩০-৪০টি বন্যহাতির পাল। এসেই শুরু করছে তান্ডব, আর্তনাদ ডাক-চিৎকার। এতে প্রতিরাতেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে চরম আতঙ্ক। হাতির তা-বে রাতভর এলাকাবাসী নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তাছাড়াও আশপাশের ধানখেতে তা-ব চালিয়ে নষ্ট করেছে ৮-১০ একর জমির আধাপাকা আমন ধান ক্ষেত! এলাকাবাসী ধানের আশা ছেড়ে দিয়ে রাত জেগে বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাতকুঁচি টিলাপাড়া গ্রামে ধানখেতে কৃষকদের দেয়া জেনারেটরের তারে জড়িয়ে বন্যহাতির মৃত্যু হয়। শুক্রবার থেকেই ওই হাতির পালে আরও হাতি যোগ হয়ে বর্তমানে রাত-দিন তা-ব চালাচ্ছে। প্রায় আট-দশ একর জমির ধানসহ নষ্ট করেছে কমপক্ষে ৩-৪ একর সবজি ক্ষেত। দিন-রাত হাতির পাল ওই এলাকায় দাপটের সাথেই চষে বেড়াচ্ছে।
পোড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক বলেন, হাতিটিকে মাটিচাপা দেয়ার পর শুক্রবার রাত থেকেই এখন পর্যন্ত হাতিগুলো বাতকুঁচি টিলাপাড়ায় অবস্থান করছে। হাতিগুলো পাগলের মত এলাকা তছনছ করছে। এলাকাবাসি ধানের আশা ছেড়ে ঘরবাড়ি রক্ষায় পাহারা দিচ্ছে। হাতির তা-বে গত রাতেও লোকজন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। হাতি মৃত্যু ঘটনায় শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ বনবিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ অফিসার রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ১১ জনকে আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। জেনারেটর চালক শহিদুল ইসলাম (৪২)কে বনবিভাগ গ্রেফতার করে পুলিশে দিয়েছে। তাকে আদালত জেলহাজতে পাঠিয়েছে। নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফয়েজুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, হাতি মৃত্যু ময়নাতদন্তের আলামত সংগ্রহ করে সেখানেই মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। আলামত ঢাকা মহাখালী সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে হাতি মৃত্যুর কারণ।


বিভাগ : অভ্যন্তরীণ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তিন অঙ্গরাজ্যের ফল প্রকাশ,এগিয়ে ট্রাম্প

তিন অঙ্গরাজ্যের ফল প্রকাশ,এগিয়ে ট্রাম্প

ঘরের মাঠে ফের লজ্জার হার রিয়ালের

ঘরের মাঠে ফের লজ্জার হার রিয়ালের

লিসবনে বিধ্বস্ত ম্যানচেস্টার সিটি

লিসবনে বিধ্বস্ত ম্যানচেস্টার সিটি

দিয়াসের হ্যাটট্রিকে লিভারপুলের জয়যাত্রা অব্যাহত

দিয়াসের হ্যাটট্রিকে লিভারপুলের জয়যাত্রা অব্যাহত

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আর্জেন্টিনা দলে ফিরলেন মার্টিনেজ

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আর্জেন্টিনা দলে ফিরলেন মার্টিনেজ

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ‍্যালান্টকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ‍্যালান্টকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

শমী কায়সার গ্রেপ্তার

শমী কায়সার গ্রেপ্তার

শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬তম প্রতিষ্ঠঅ বাষির্কী উপলক্ষে মিলনমেলা ২০ নভেম্বর

শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬তম প্রতিষ্ঠঅ বাষির্কী উপলক্ষে মিলনমেলা ২০ নভেম্বর

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের স্পন্সর ওয়ালটন

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের স্পন্সর ওয়ালটন

সাভারে অভিযানের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভেজাল শিশু খাদ্য তৈরী কারখানা

সাভারে অভিযানের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভেজাল শিশু খাদ্য তৈরী কারখানা

সম্মান বজায় রেখে কাজ করুক সেনাবাহিনী প্রত্যাশা সাধারন মানুষের

সম্মান বজায় রেখে কাজ করুক সেনাবাহিনী প্রত্যাশা সাধারন মানুষের

যশোরবাসীর দুর্ভোগ আর প্রতারণার নাম পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্প!

যশোরবাসীর দুর্ভোগ আর প্রতারণার নাম পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্প!

আপনার প্রেমিকা খুব দামি গিফট চান! তাঁকে কী ভাবে সামলে নেবেন?

আপনার প্রেমিকা খুব দামি গিফট চান! তাঁকে কী ভাবে সামলে নেবেন?

টেকনাফে ৫০হাজার ইয়াবাসহ মিয়ানমারের নাগরিক আটক।

টেকনাফে ৫০হাজার ইয়াবাসহ মিয়ানমারের নাগরিক আটক।

ফ্যাসিবাদের বিচার এবং পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে

ফ্যাসিবাদের বিচার এবং পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে

কোনো পরাশক্তি নয়, জনগণের ঐক্যই বাংলাদেশের মূল শক্তি

কোনো পরাশক্তি নয়, জনগণের ঐক্যই বাংলাদেশের মূল শক্তি

হৃদয়ে তাঁর নাম লেখা হয়ে আছে

হৃদয়ে তাঁর নাম লেখা হয়ে আছে

শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে

শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রত্যেক বন্দীর জন্য মিলিয়ন ডলার দিতে প্রস্তুত নেতানিয়াহু

প্রত্যেক বন্দীর জন্য মিলিয়ন ডলার দিতে প্রস্তুত নেতানিয়াহু

অন্তর্বাস পরে হাঁটা সেই ইরানি তরুণী মানসিকভাবে অসুস্থ

অন্তর্বাস পরে হাঁটা সেই ইরানি তরুণী মানসিকভাবে অসুস্থ