সৌন্দর্যবর্ধনে সংকুচিত হচ্ছে রাঙামাটি পৌরমাঠ
২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় রাঙামাটি শহরে উন্মুক্ত মাঠ তেমন নেই। ক্রমবর্ধমান বসতির কারণে গড়ে উঠছে ইমারত। ক্রমান্বয়ে খোলা মাঠ হারিয়ে যাচ্ছে ৪৭ শতাংশ ঘনত্বের শহরটিতে। সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের উন্মুক্ত স্থান হিসেবে পরিচিত জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম ও পৌরসভা প্রাঙ্গণ। এবার পৌর কর্তৃপক্ষের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের কারণে খোলা থাকছে না পৌরসভা চত্বরটিও। সেখানে ফুলের বাগান ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করেছে প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা পৌরসভা।
পৌরসভার এমন উদ্যোগে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, পাহাড়ি এলাকায় খেলাধুলা ও সভা-সমাবেশের জন্য পরিচিত পৌর চত্বর ফুলের বাগানের নামে দখল করা হলে আরেকটি উন্মুক্ত স্থান কমবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পৌরসভার নতুন কমপ্লেক্স ভবনের প্রবেশ পথের দু’পাশে ফুলের বাগান সৃজনের জন্য মাটি খোঁড়া হয়েছে। পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও স্ক্যাভেটর মেশিন দিয়ে খোঁড়াখুড়ির কাজ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোঁড়াখুড়ি করা মাঠের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলছে শিশুরা।
যদিও মাঠের কতটুকু অংশজুড়ে ফুলের বাগান করা হবে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। জানতে চাইলে রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে। মোট মাঠের কতটুকু অংশে বাগান ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হবে এ নিয়ে কোনো জরিপ হয়নি। তবে মাঠের যে অংশে মাটি কাটা হয়েছে, সেখানে বাগান করা হবে।›
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট দেশের পৌরসভাগুলোয় প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। রাঙামাটি পৌরসভায় প্রশাসকের দায়িত্ব পান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা। পৌরসভায় নতুন প্রশাসক নিয়োগের পরই বাগান সৃজন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাঙামাটির সাবেক মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের সময়ে পৌর মাঠে বাগান সৃজনের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে নতুন কমপ্লেক্স পাস করে একটি অডিটোরিয়াম করার পরিকল্পনা রয়েছে মাস্টারপ্ল্যানে। এমন উদ্যোগ নেয়া হলে সভা-সমাবেশ ও খেলাধুলার সুযোগ থাকবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ উদ্যোগের পক্ষে নই।
ক্রীড়া সংগঠক ও খেলাঘর আসর রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক সৈকত রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ফুলের বাগান হয়তো পৌরসভার সৌন্দর্য বাড়াবে। তবে উন্মুক্ত স্থান ধ্বংসের ফলে অসুস্থ শহরে পরিণত হবে রাঙামাটি। পৌরসভার খোলা জায়গা নষ্ট করে স্থাপনা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।› জায়গা উন্মুক্ত রেখেই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজের অনুরোধ জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরীন সুলতানা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পৌরসভার মাঠটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এখন নতুন পৌর কমপ্লেক্সে প্রবেশ পথের দু’পাশে সৌন্দর্যবর্ধন ও লাইটিংয়ের ব্যবস্থা হবে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, মাঠটি পৌরসভার নিজস্ব জায়গা। সেখানে তারা সৌন্দর্যবর্ধন করবে নাকি অন্য কোনো কাজ করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। কেউ যদি তার জমিতে কিছু করতে চান, প্রশাসন তো মানা করতে পারে না।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত
কুরস্ক অঞ্চলের ৪০ ভাগ খোয়ানোর স্বীকারোক্তি ইউক্রেনের
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ চীনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী: বাণিজ্য উপদেষ্টা
হাজীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন
শরীয়তপুরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মী সভা
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে অচেনা ৭ জন
মৌলভীবাজারে কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা শুরু
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন
ব্রহ্মপুত্রে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু ব্যবসা
বাঘায় কৃষি শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
কেশবপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ
হামলার শিকার হয়েও মুখ খুলতে পারছে না বোয়ালমারীর বহু পরিবার
ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি
বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান
সাগরে মিলছে না আশানুরূপ ইলিশ হতাশায় মীরসরাইয়ের জেলেরা