পটিয়া পৌরসভার পিয়ন কোটিপতি হওয়ার নেপথ্যে!
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
পটিয়া পৌরসভা মেয়র ও সচিব-এর স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন পিয়ন নাজিম উদ্দিন। এই টাকায় সে গড়ে তুলেছে একটি তিনতলা বিলাস বহুল বাড়ি। তার রয়েছে একটি প্রাইভেট কার ও ৬টি পিকআপ। ৮ বছরে জালিয়াতি করে সে পৌরসভা থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়লেও যুবলীগের সাথে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। ১২ বছর পর গত ২৮ নভেম্বর এসএম রেজা রিপন নামের এক ঠিকাদার পৌর মেয়রের দায়িত্বরত ইউএনও আলাউদ্দীন ভূইয়া জনীর কাছে উক্ত পিয়নের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে অষ্টম শ্রেণি পাশ নাজিম উদ্দিন পটিয়া পৌরসভার পিয়নের চাকরি পায়। ২০১২ সালে পটিয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ নাজিম উদ্দিনকে পৌরসভার সহকারী হিসাবরক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরে কয়েকজন ঠিকাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সহকারী হিসাবরক্ষক থেকে সরিয়ে কর আদায়কারী হিসেবে পদায়ন করে। এ সময় সে মেয়র ও সচিব-এর স্বাক্ষর জাল করে পটিয়া পৌরসভার নামে সোনালী ব্যাংক ও রুপালী ব্যাংকে পৃথক দুইটি একাউন্ট খোলেন। ঠিকাদারসহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দপ্তরে টাকা জমা দিতেন উক্ত নাজিম উদ্দিন। অধিকাংশ টাকা পৌরসভার রুপালী ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে তার খোলা একাউন্টে জমা রাখতেন। এই সুযোগ নিয়ে পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ভবিষ্যত তহবিলের টাকা আত্মসাত, পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের পাওনা চেক কৌশলে নিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন, সরকারি বিভিন্ন বরাদ্ধের টাকা ট্রেজারি থেকে প্রতারণার মাধ্যমে তুলে নিয়ে আত্মসাত, ঠিকাদারী ফাইল-এর ভ্যাট, আয়কর ভূয়া চালানের মাধ্যমে কৃত্রিম ভাউচার বানিয়ে সরকারি খাতে জমা না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। পৌরসভার ফান্ডের অসহায় ও দরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা ভূয়া চেকের মাধ্যমে আত্মসাত করে। এভাবে প্রায় ৮ বছর ধরে টাকা আত্মসাত করার পর ২০১৯ সালে তার টাকা আত্মসাৎ ও স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ তাকে পৌরসভা থেকে বহিস্কার করেন। যুবলীগের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় মেয়র পিয়ন নাজিমের বিরুদ্ধে মামলা করেনি। পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এসব টাকা হজম করতে সে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক শাখায়, পটিয়া ইউসিবিএল ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখায় ভিন্ন একাউন্ট খোলে। সেখানে আত্মসাত কৃত টাকা জমা রাখেন। পরবর্তীতে ঐ টাকায় পৌরসভার বাহুলী এলাকায় নাজিম তিন তলা বিশিষ্ট একটি বিলাস বহুল পাকা ভবন নির্মাণ করেন। ঠিকাদার এসএম রেজা রিপন জানান, পিয়ন নাজিম উদ্দীন ঠিকাদারদের টাকাসহ পৌরসভার প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে।
এ প্রসঙ্গে মেয়রের দায়িত্বরত ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি জানান, নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এবার ভারতের মালদহে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা
কিশোরগঞ্জের হাওর-অর্থনীতি বেগবান করতে চলছে কয়েকশ কোটি টাকার প্রকল্প
প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম
দেশের ৬৯ কারাগারের ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক
পায়রার রাজস্ব আয় বাড়বে তিনগুণ, দেশের অর্থনীতিতে রাখবে বড় ভূমিকা
মমতা ব্যানার্জির মনে গভীর কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদ : রিজভী
কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা
কুড়িগ্রামে সাবেক এমপি পুত্র সবুজ গ্রেফতার
ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদালের ওপর গুলিবর্ষণ
খুলনায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু
বাড়তি মেদ কমাতে ‘খাওয়া কমানো’ কতটা কার্যকর
কিশোরগঞ্জে সড়ক সংস্কার দাবিতে মানববন্ধন
আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে বিক্ষোভ
নগর ভবনের দায়িত্বশীলদের অবহেলায় নগরবাসীর দূর্ভোগসহ ঝুঁকিও ক্রমশ বাড়ছে
গ্যাস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘণ্টা থাকবে না যেসব এলাকায়
চিন্ময় দাস ইস্যুতে উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্নে মামলার তথ্য নেই বলে জানালো যুক্তরাষ্ট্র
রাজশাহীর পুঠিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব
মুন্নী সাহার অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা, নেটদুনিয়ায় আলোড়ন