মানিকগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

২৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ এএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ এএম

মানিকগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনা কাটা। ঈদের আর মাত্র বাকি আছে কয়েক দিন। প্রতি দিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে নামিদামী বস্ত্রবিতান, শপিংমহল। অপর দিকে নামিদামী বিপনী বিতানগুলোতে পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় লক্ষ করা গেছে।

মানিকগঞ্জ শহরের ডলিপ্লাজা, পালকি, সিঙ্গাপুর মার্কেট, তৃপ্তিপ্লাজা জেপিপ্লাজা, পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট রয়েছে। এসব মার্কেটে গত বছরের চেয়ে তুলনামূলক এবছর বিক্রি বেশি হচ্ছে বলে জানান দোকানের মালিকরা। ক্রেতারা বলেন, কালেকশন মোটামুটি ভাল দামও স্বাভাবিক। একটু কম দামে সাধ্যের মধ্যে ক্রয় করতে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখছেন ক্রেতারা। বেচাকেনা সম্পর্কে শহরের মায়ের দোয়া মার্কেটের তৈরি পোশাক বিক্রেতার সুকান্ত কুমার শান্ত বলেন, এবারের ঈদে মেয়েদের কচারি, পাঞ্জাব ও পাকিস্থানের তৈরী থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। দাম তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকায় ক্রেতারা এ পোশাকগুলো বেশী কিনছে।

মার্কেটে বিক্রেতারা জানান, ঈদের আর ২/৩ দিন বাকি থাকায় দম ফেলার সময় নেই।দোকানিরা ক্রেতাদের পোকাশ দেখাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দোকানিা জানান, এবছর পাকিস্থান, করাচি থেকে বিভিন্ন ধরনের নতুন ডিজাইনের পোশাক এসেছে যা ক্রেতাদের মধ্যে বেস সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে মেয়েদের পোকাশকের মধ্যে থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, স্কাট ও ফ্লোরটাচ ড্রেস রয়েছে।ছেলেদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পায়জামা। এছাড়া শাড়ির বাজারে রয়েছে কাতান, সিল্ক, তাঁত ও জামদানির সমাহার।

সুখ ফ্যাসনের মালিক মুনছের আহমেদ বলেন, ঈদ উপলক্ষে পায়জামা পাঞ্জাবির বেশ চাহিদা রয়েছে। দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার পাঞ্জাবি বেশি বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতিটি পাঞ্জাবির গায়ে নির্ধারিত মূল্য থাকায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারছে।

অন্যদিকে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভালো বেচাকেনা করছেন ব্যবসায়ীরা। যাদের বাজেট কম তারা ফুটপাতের দোকান থেকে পোশাক কিনতে ভিড় করছেন। ফুটপাতের দোকানগুলোতে তুলনামূলকভাবে দাম কম থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ সেখানে বেশি ভিড় করছেন।

বিভাগ : অভ্যন্তরীণ