কেন প্রতি বছর দশ লাখ আমেরিকান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেক্সিকো যায়?
০৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম

আমেরিকানরা প্রায়ই কম খরচে চিকিৎসা সেবার পাওয়ার জন্য মেক্সিকো ভ্রমণ করে। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্যসেবা পেতে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গত ৩ মার্চ কসমেটিক সার্জারির জন্য মেক্সিকোর উত্তর-পূর্ব রাজ্য তামাউলিপাসের মাতামোরোসে চার মার্কিন নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, এবং বাকি দু’জন বেঁচে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পেরেছে। মাতামোরোসে মতো সীমান্ত শহরগুলো মেক্সিকোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক। সেখানকার ড্রাগ কার্টেলগুলো তামাউলিপাস রাজ্যের বড় অঞ্চলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায়শই স্থানীয় আইন প্রয়োগকারীর চেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এই শহরগুলো কয়েক হাজার আমেরিকানদের জন্য শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা পর্যটন গন্তব্য, যাদের অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যসেবা বহন করতে পারে না। মেডিকেল সেবা নিতে আগ্রহীরা, বিশেষ করে যারা এ অঞ্চলের সাথে পরিচিত, তারা মেক্সিকোতে তাদের গাড়ির নিবন্ধন করার মতো সতর্কতা অবলম্বন করতে শিখেছে। তারা তাদের গাড়িতে করে মেক্সিকোতে প্রবেশ করার পরে সে দেশের লাইসেন্স প্লেট লাগিয়ে নেয়, যাতে তাদেরকে সহজে আমেরিকান বলে চিহ্নিত করা না যায় এবং পায়ে হেঁটে শহরগুলোর চারপাশে ঘোরাফেরা করতে না হয়।
দাম এবং নৈকট্য মেক্সিকো আমেরিকানদের জন্য একটি শীর্ষ চিকিৎসা পর্যটন গন্তব্য করে তোলে। ‘এটি অর্থনীতি,’ অভিবাসন অধ্যয়ন বিশেষজ্ঞ এবং অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক নেস্টর রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘মেক্সিকোতে ওষুধ এবং পরিষেবাগুলি সস্তা, বিশেষ করে দাঁতের চিকিৎসা। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে খরচ করবেন তার একটি ভগ্নাংশ দিয়ে আপনি আপনার দাঁত পরিষ্কার বা ইমপ্লান্ট করতে পারেন।’ মেক্সিকান কাউন্সিল ফর দ্য মেডিকেল ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির মতে, প্রতি বছর প্রায় দশ লাখ আমেরিকান মেক্সিকোতে চিকিৎসা সেবার জন্য ভ্রমণ করে। মেক্সিকান বংশোদ্ভ‚ত মার্কিন নাগরিক তাইদে রামিরেজ (৫৮) তার হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য সস্তা চিকিৎসা পেতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সান আন্তোনিওতে তার বাড়ি থেকে ঈগল পাস/পিড্রাস নেগ্রাস পর্যন্ত আড়াই ঘন্টার পথ পাড়ি সীমান্ত অতিক্রম করছেন। তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন যে, তিনি সাধারণত একটি পুরো দিন ভ্রমণের জন্য উৎসর্গ করেন এবং দক্ষিণে তার রুটে কখনও কোনও সমস্যার সম্মুখীন হননি। তবুও, নিরাপত্তার জন্য তিনি রাতে সীমান্ত অতিক্রম করেন না এবং অবিলম্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি সরাসরি তার অ্যাপয়েন্টমেন্টে চলে যান। ‘আমি কখনই একা যাই না। আমি সবসময় আমার বোনকে বা আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে যাই,’ তিনি যোগ করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সর্বশেষ উপদেষ্টা অপরাধ এবং অপহরণের কারণে তামাউলিপাসে ভ্রমণের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, যাত্রীবাহী বাস এবং ব্যক্তিগত যানবাহন প্রায়শই লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। অন্যান্য মেক্সিকো সীমান্ত রাজ্যগুলিতেও ভ্রমণ সতর্কতা রয়েছে। যদিও কিছু সীমান্ত শহর বিশেষ করে অভিবাসী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকারী আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য প্রতিক‚ল হয়ে উঠেছে, তবে ওই অঞ্চলে আমেরিকানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এখনও বিরল। রদ্রিগেজ বলেছেন, চার আমেরিকানকে অপহরণ এবং পরবর্তীতে দুজনকে হত্যা করা ‘আদর্শের বাইরে’। কিন্তু এটি একটি অনুস্মারক যে, সীমান্ত সত্যিই নিরাপদ নয়, রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘আমি আর কখনোই যাব না।’ সূত্র : বিবিসি নিউজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আজ থেকে কোরিয়ান রেকে চলবে সুবর্ন এক্সপ্রেস

আল হিলাল নয়,মেসিকে বার্সালোনায় দেখতে চান তার বাবা

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে চার আসামীসহ ২.১১৭ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার, ৪০০ বস্তা সিমেন্ট ও একটি কাঠের বোট জব্ধ

প্রতিশোধ নিতেই গতিতে ভর

রুবাইয়ার ফিফটির ‘হ্যাটট্রিক’

হার্ভার্ড শিক্ষিকাকে কোরআন শরীফ উপহার রিজওয়ানের

চিটাগাং মাস্টার্সের শিরোপা অক্ষুণœ

আফগানদের বিধ্বস্ত করল শ্রীলঙ্কা

বেনজেমার রিয়াল অধ্যায়ের ইতি

বাঁচতে চান তারকা গোলরক্ষক মহসিন

অদম্য আলকারাজ

বিদায় বলে দিলেন ফুটবলের বিস্ময়

টিভিতে দেখুন

খাইবার পাখতুনখোয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ সেনা নিহত

বিদ্যুৎ বিপর্যয় সঙ্কটে শিল্পখাত

আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ : শেখ হাসিনা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ৭০০১টি

হাসপাতালের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম যুক্ত করে বেইজ্জতি করা হয়েছে

লোডশেডিংয়ে ওষ্ঠাগত প্রাণ