ইরাক যুদ্ধের অনুমোদন প্রত্যাহার করছে সিনেট
০৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম

মার্কিন সেনাদের দ্বারা শেষ আক্রমণের ২০তম বার্ষিকীর আগে ইরাকে যুদ্ধের জন্য দেয়া অনুমোদন বাতিল করতে যাচ্ছে মার্কিন সিনেট। বুধবার সিনেটের একটি কমিটি বিষয়টি সমর্থন করেছে। ইরাকের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্য ১৯৯১ ও ২০০২ সালে অনুমোদন দেয়া হয়, যা দ্য অথরাইজেশন ফর ইউজ অব মিলিটারি ফোর্স (এইউএমএফ) নামে পরিচিতি। যুদ্ধে সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভ‚মিকা রয়েছে, তবে এই আইন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেয়ার চ‚ড়ান্ত ক্ষমতা দেয়। সিনেটে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি অনুমোদন বাতিলের জন্য ১৩-৮ ভোট দিয়েছে। সিনেটের ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেছেন, পূর্ণ সিনেট আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিলে ভোট দিতে পারে। যা ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০০৩ সালের এ দিনে শেষবার ইরাকে আক্রমণ করে মার্কিন বাহিনী। এইউএমএফ বাতিলের প্রচেষ্টাকারীদের অন্যতম সিনেটর টিম কাইন। তার মতে, এ অনুমোদন থাকার কোনো মানে হয় না। রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০০২ সালে ইরাক আমাদের শত্রæ ছিল। তারা এখন নিরাপত্তা অংশীদার। আমরা আইএসআইএস-কে পরাজিত ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্কতা অব্যাহত রাখতে তাদের সঙ্গে কাজ করছি। এইউএমএফ নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতারা অনেক দিন ধরে তর্ক করে আসছেন। তাদের মতে, প্রেসিডেন্টের সামরিক পদক্ষেপের ন্যায্যতা দেয়ার জন্য বছরের পর বছর এ আইন ব্যবহার করা হয়েছে। ইরাকে সিনিয়র ইরানি সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর ২০২০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প বলেছিলেন, এইউএমএফ তাকে আইনি কর্তৃত্ব প্রদান করেছিল। যদিও সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট নয় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসই যুদ্ধ ঘোষণা করার অধিকার রাখে। অবশ্য এই আইন নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে উভয় দলের সদস্যদেরই বাতিলের সমর্থন সত্তে¡ও উল্লেখযোগ্য বিরোধিতাও রয়েছে। বিদ্যমান এইউএমএফ বাতিল করার আগে সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি প্রতিস্থাপনের আহŸান জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রতিনিধি ও হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পর এইউএমএফ আইনে পরিণত হয়। এর অধীনে প্রেসিডেন্টকে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার জন্য দায়ী, তাদের সাহায্যকারী ও আশ্রয়দানকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত শক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দেয়া হয়। এইউএমএফ ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ১০৭তম কংগ্রেস পাস করে এবং প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবিøউ বুশ আইনটিতে স্বাক্ষর করেন। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান, রাওয়ালপিন্ডি-সহ একাধিক শহরে বসল যুদ্ধের সাইরেন

সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান কায়কোবাদের

সাগর-রুনির হত্যাকারী দু’জন, টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে দাবি

ফিলিস্তিনের পূণ্য ভূমির মর্যাদা রক্ষা ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ব

নেতাকর্মীদের জরুরি যে নির্দেশনা দিলেন মির্জা ফখরুল

পুরানা পল্টনের সাব্বির টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট

ঝিনাইদহের সাংবাদিক আব্দুল মান্নানের ইন্তেকাল

বাংলাদেশের মুসলিমরা বিশ্ব মুসলিমের সঙ্গে একাত্ম: মুসলিম লীগ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সম্মাননা পেলেন কুমিল্লার ছয় সাংবাদিক

মারা যাওয়া সন্তানের আকিকা দেওয়া প্রসঙ্গে।

সিলেট বিমানবন্দর হয়ে যাচ্ছেন না বেগম জিয়া !

ছাত্ররা যা করেছে তাদেরকে স্যালুট জানাই- ডা: সালাউদ্দিন বাবু

ছাগলনাইয়ায় মসজিদ মিশন এর উদ্যোগে ইমাম ও ওলামা সমাবেশ

মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের এই জনশ্রোত কেন ?

রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলেন বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের নুরুল হক

ফেনীতে চায়না -বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপহাসপাতাল স্হাপনের দাবিতে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ক্রীড়াঙ্গনে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

মির্জাপুরে মাটিমাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

সাংবাদিকদের সহযোগিতা আমার কর্মপথকে সহজ করেছে : বুড়িচংয়ের বিদায়ী ইউএনও

চট্টগ্রামের আল্লামা সুলতান যওক নদভী’র দাফন সম্পন্ন