ঢাকা   রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

ফের নিম্নমুখী লেবাননের মুদ্রার মান

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম

ফের নিম্নমুখী লেবাননের মুদ্রার মান। দেশটির ব্যাঙ্কগুলো পুনরায় ধর্মঘটে ফিরে যাওয়ার মুদ্রার মান একদম তলানিতে ঠেকেছে। সর্বশেষ সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার কালো বাজারে প্রতি ডলারে এক লক্ষ লেবানিজ পাউন্ড লেনদেন করেছে। মঙ্গলবার ব্যক্তিগত মানি এক্সচেঞ্জারদের ব্যবহৃত মোবাইল অ্যাপে প্রতি ডলারে এক লক্ষ পাউন্ডের নতুন রেট পোস্ট করা হয়েছে। এক্সচেঞ্জ শপ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এই অ্যাপগুলো থেকে রেট ব্যবহার করে। কর্তৃপক্ষ বার বার চেষ্টা করেও অ্যাপগুলো বন্ধ করতে এবং সারা দেশে সন্দেহভাজন এক্সচেঞ্জারদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কর্তৃক অফিসিয়াল এক্সচেঞ্জ রেট ১ ডলারের ১৫ হাজার পাউন্ড নির্ধারণ করা হলেও, কালো বাজারের রেট এখন প্রায় সমস্ত লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এদিকে পাউন্ডের উপর আস্থা হারানোয় বেশিরভাগ মুদি দোকান, রেস্তোঁরা এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম ডলারে লেনদেন শুরু করেছে। যদিও এই “ডলারাইজেশন” এর লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি কমানো এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, তবে এটি আরও বেশি লোককে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়ে সংকটকে আরও গভীর করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা। ২০১৯ সালে লেবাননের আর্থিক মন্দা শুরু হওয়ার পর থেকে পাউন্ড তলিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে দেশটির রাজনৈতিক ও আর্থিক অভিজাতদের ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশটির অর্থনৈতিক দৈন্যদশা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ৬ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার লেবাননে তিন-চতুর্থাংশ মানুষ এখন দরিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে এবং প্রতিনিয়ত মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। লেবাননে অস্থিরতার সূত্রপাত হয়েছে মূলত ২০১৯ সালের অক্টোবরে। কয়েক দশকের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, প্রফুল্লতা ব্যয় ও আর্থিক অব্যবস্থাপনার পর এই সংকট শুরু হয়। ওই সময় ব্যাংকগুলো ডলার উত্তোলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এমনকি অর্থ উত্তোলন ও লেনদেন নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে, দেশটির সরকার আজও পর্যন্ত মূলধন নিয়ন্ত্রণ আইন গৃহীত করতে পারেনি। বিধিনিষেধের জেরে দেশটির জনগণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয়। আর এই ক্ষোভ গিয়ে পড়ে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। তবে, এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রাজনৈতিক নির্দেশনাকে দায়ী করছে ব্যাংকগুলো। গত লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী সাদি ছামি বলেছিলেন, ‘সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রথমে ব্যাংকগুলোকেই যেতে হবে।’ ধারণা করা হচ্ছে, সংকটের জন্য ব্যাংকগুলোর ক্ষতি হবে সাত হাজার ২০০ কোটি ডলার। আইরিশ এক্সামিনার, ইয়াহু ফিনান্স।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ব্যাখ্যা ছাড়াই ২০ অভিবাসন বিচারককে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
মালিতে স্বর্ণের খনি ধসে ৪৮ জন নিহত
ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের বিপক্ষে সউদী প্রিন্সের শক্ত অবস্থান
পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ৪ সৈন্য ও ১৫ সন্ত্রাসী নিহত
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপের জরুরি বৈঠক প্যারিসে
আরও

আরও পড়ুন

সালথায় বিএনপি নেতার ভাতিজাকে কোপাল শ্রমিকলীগ নেতার ভাতিজা: হামলা-ভাঙচুর

সালথায় বিএনপি নেতার ভাতিজাকে কোপাল শ্রমিকলীগ নেতার ভাতিজা: হামলা-ভাঙচুর

ঈশ্বরগঞ্জে আ.লীগের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ

ঈশ্বরগঞ্জে আ.লীগের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ

ব্যাখ্যা ছাড়াই ২০ অভিবাসন বিচারককে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

ব্যাখ্যা ছাড়াই ২০ অভিবাসন বিচারককে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করা কোন ইসলামী দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না : এ এম এম বাহাউদ্দীন

ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করা কোন ইসলামী দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না : এ এম এম বাহাউদ্দীন

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই: মির্জা ফখরুল

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই: মির্জা ফখরুল

নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের ফরম বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন  অনুষ্ঠিত

নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের ফরম বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আড়াইহাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত

আড়াইহাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের কাট্টলি বিলে বাঁশের ভেলা

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের কাট্টলি বিলে বাঁশের ভেলা

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সহয়তায় কুকি-চিনের অত্যচারে পালিয়ে যাওয়া পরিবার নিজ গৃহে ফিরছে

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সহয়তায় কুকি-চিনের অত্যচারে পালিয়ে যাওয়া পরিবার নিজ গৃহে ফিরছে

ফেনী নদীতে অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলন,বিলীন হচ্ছে আশ্রয়ন প্রকল্প,ঘরবাড়ি-কৃষিজমি

ফেনী নদীতে অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলন,বিলীন হচ্ছে আশ্রয়ন প্রকল্প,ঘরবাড়ি-কৃষিজমি

জুলাই আন্দোলনে বিতর্কিত পোস্ট, কলাপাড়ায় চিকিৎসকের শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর

জুলাই আন্দোলনে বিতর্কিত পোস্ট, কলাপাড়ায় চিকিৎসকের শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর

শব্দ দূষণে নাকাল বরগুনা শহরবাসী: চরম হুমকির মুখে রয়েছে স্কুল  শিক্ষার্থীরা

শব্দ দূষণে নাকাল বরগুনা শহরবাসী: চরম হুমকির মুখে রয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীরা

ফেঁসে যাচ্ছে হাসিনার দোসর মিডিয়াগুলো, প্রশংসায় ভাসছেন শফিকুল আলম

ফেঁসে যাচ্ছে হাসিনার দোসর মিডিয়াগুলো, প্রশংসায় ভাসছেন শফিকুল আলম

এবাদতকে বিমানবাহিনীর অনারারি কমিশন পদে বিবেচনা করা যেতে পারে – জুলকারনাইন

এবাদতকে বিমানবাহিনীর অনারারি কমিশন পদে বিবেচনা করা যেতে পারে – জুলকারনাইন

শেরপুরে সাবেক যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

শেরপুরে সাবেক যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

লাখো ভক্ত মুরিদের অশ্রুভেজা মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ফান্দাউক দরবারের মাহফিল সম্পন্ন

লাখো ভক্ত মুরিদের অশ্রুভেজা মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ফান্দাউক দরবারের মাহফিল সম্পন্ন

কিশোরগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

কিশোরগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

মতলবে নদী ভাঙনের কবলে তিনটি গ্রাম  হুমকির মুখে মেঘনা-ধনাগোদা বেড়ীবাঁধ

মতলবে নদী ভাঙনের কবলে তিনটি গ্রাম হুমকির মুখে মেঘনা-ধনাগোদা বেড়ীবাঁধ

হরিরামপুরে আমজাদ হত্যা মামলা : পরকীয়া প্রেমিকা সাজেদার দিকেই সন্দেহের তীর

হরিরামপুরে আমজাদ হত্যা মামলা : পরকীয়া প্রেমিকা সাজেদার দিকেই সন্দেহের তীর

মানুষের তৈরি আইন দিয়ে মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয় : মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

মানুষের তৈরি আইন দিয়ে মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয় : মাওলানা আবুল কালাম আজাদ