ফের নিম্নমুখী লেবাননের মুদ্রার মান
১৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম

ফের নিম্নমুখী লেবাননের মুদ্রার মান। দেশটির ব্যাঙ্কগুলো পুনরায় ধর্মঘটে ফিরে যাওয়ার মুদ্রার মান একদম তলানিতে ঠেকেছে। সর্বশেষ সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার কালো বাজারে প্রতি ডলারে এক লক্ষ লেবানিজ পাউন্ড লেনদেন করেছে। মঙ্গলবার ব্যক্তিগত মানি এক্সচেঞ্জারদের ব্যবহৃত মোবাইল অ্যাপে প্রতি ডলারে এক লক্ষ পাউন্ডের নতুন রেট পোস্ট করা হয়েছে। এক্সচেঞ্জ শপ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এই অ্যাপগুলো থেকে রেট ব্যবহার করে। কর্তৃপক্ষ বার বার চেষ্টা করেও অ্যাপগুলো বন্ধ করতে এবং সারা দেশে সন্দেহভাজন এক্সচেঞ্জারদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কর্তৃক অফিসিয়াল এক্সচেঞ্জ রেট ১ ডলারের ১৫ হাজার পাউন্ড নির্ধারণ করা হলেও, কালো বাজারের রেট এখন প্রায় সমস্ত লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এদিকে পাউন্ডের উপর আস্থা হারানোয় বেশিরভাগ মুদি দোকান, রেস্তোঁরা এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম ডলারে লেনদেন শুরু করেছে। যদিও এই “ডলারাইজেশন” এর লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি কমানো এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, তবে এটি আরও বেশি লোককে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়ে সংকটকে আরও গভীর করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা। ২০১৯ সালে লেবাননের আর্থিক মন্দা শুরু হওয়ার পর থেকে পাউন্ড তলিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে দেশটির রাজনৈতিক ও আর্থিক অভিজাতদের ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশটির অর্থনৈতিক দৈন্যদশা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ৬ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার লেবাননে তিন-চতুর্থাংশ মানুষ এখন দরিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে এবং প্রতিনিয়ত মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। লেবাননে অস্থিরতার সূত্রপাত হয়েছে মূলত ২০১৯ সালের অক্টোবরে। কয়েক দশকের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, প্রফুল্লতা ব্যয় ও আর্থিক অব্যবস্থাপনার পর এই সংকট শুরু হয়। ওই সময় ব্যাংকগুলো ডলার উত্তোলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এমনকি অর্থ উত্তোলন ও লেনদেন নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে, দেশটির সরকার আজও পর্যন্ত মূলধন নিয়ন্ত্রণ আইন গৃহীত করতে পারেনি। বিধিনিষেধের জেরে দেশটির জনগণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয়। আর এই ক্ষোভ গিয়ে পড়ে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। তবে, এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রাজনৈতিক নির্দেশনাকে দায়ী করছে ব্যাংকগুলো। গত লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী সাদি ছামি বলেছিলেন, ‘সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রথমে ব্যাংকগুলোকেই যেতে হবে।’ ধারণা করা হচ্ছে, সংকটের জন্য ব্যাংকগুলোর ক্ষতি হবে সাত হাজার ২০০ কোটি ডলার। আইরিশ এক্সামিনার, ইয়াহু ফিনান্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

৭০০ বছর আগের ঐতিহাসিক গরজরিপা বারদুয়ারি মসজিদ!

পেকুয়ায় চুরির সন্দেহে ১ হোটেল শ্রমিককে হত্যা

শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে ড্রামট্রাকের চাপায় নিহত ইজিবাইক চালক আহত ৫ যাত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড করে জুয়ার লাইভ

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান, রাওয়ালপিন্ডি-সহ একাধিক শহরে বসল যুদ্ধের সাইরেন

সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান কায়কোবাদের

সাগর-রুনির হত্যাকারী দু’জন, টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে দাবি

ফিলিস্তিনের পূণ্য ভূমির মর্যাদা রক্ষা ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ব

নেতাকর্মীদের জরুরি যে নির্দেশনা দিলেন মির্জা ফখরুল

পুরানা পল্টনের সাব্বির টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট

ঝিনাইদহের সাংবাদিক আব্দুল মান্নানের ইন্তেকাল

বাংলাদেশের মুসলিমরা বিশ্ব মুসলিমের সঙ্গে একাত্ম: মুসলিম লীগ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সম্মাননা পেলেন কুমিল্লার ছয় সাংবাদিক

মারা যাওয়া সন্তানের আকিকা দেওয়া প্রসঙ্গে।

সিলেট বিমানবন্দর হয়ে যাচ্ছেন না বেগম জিয়া !

ছাত্ররা যা করেছে তাদেরকে স্যালুট জানাই- ডা: সালাউদ্দিন বাবু

ছাগলনাইয়ায় মসজিদ মিশন এর উদ্যোগে ইমাম ও ওলামা সমাবেশ

মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের এই জনশ্রোত কেন ?

রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলেন বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের নুরুল হক

ফেনীতে চায়না -বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপহাসপাতাল স্হাপনের দাবিতে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত